মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা পরিবেশবিদ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যে কোন মুল্যে দখল হয়ে যাওয়া নদী-বনাঞ্চল উদ্ধার ও সারা দেশের বাজার থেকে অবৈধ পলিথিন বিক্রি এবং ইটভাটা বন্ধ করা হবে। তিনি বলেন অবৈধ দখলদার এবং কোন পেশী শক্তির কাছে মাথা নত করা হবে না। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় সারা দেশে আমাদের অভিযান শুরু হয়েছে এবং এগুলো বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।
তিনি আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) সন্ধায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্্ের উপস্থিত হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং ভারতেশ^রী হোমস এবং নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর তিনি কুমুদিনী হাসপাতাল, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল এন্ড কলেজ, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, ভারতেশ^রী হোমস, শহীূদ দানবীর আরপি সাহার পৈত্রিক বাড়ি এবং কুমুদিনী হাসপাতাল সংলগ্ন লৌহজং নদীর পার রক্ষা প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপচিালক মো. এনায়েত উল্লাহ, প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফ উদ্দিন, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এস এম আরিফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাসুদুর রহমান, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন, কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার শিক্ষা পরিচালক একুশে পদকপ্রাপ্ত ও ভাষা সৈনিক প্রিন্সিপাল প্রতিভা মুৎসুদ্দি, পরিচালক শ্রীমতি সাহা, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, জিএম অনিমেশ ভৌমিক লিটন, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. এম এ হালিম, নার্সিং কলেজের প্রিন্সিপাল সিস্টার রীনা ক্রুস এবং মেট্রন সিস্টার দিপালী পেরেরাসহ কুমুদিনী পরিবারের সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, টাঙ্গাইল জেলা একটি ঐতিহ্যবআহী জেলা। এখানে মধুপুর অঞ্চলে প্রায় ৪১ হাজার একর বনাঞ্চল ছিল। প্রভাবশালী মহল দিন দিন এই বনাঞ্চলের অধিকাংশ জমি দখল করে নিয়েছে। এই বনাঞ্চল উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, টাঙ্গাইল শহরের লৌহজং নদীর আশপাশ দখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধার চলছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সারা দেশ থেকে পলিথিন বন্ধ এবং অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে কোন ইট ভাটার লাইসেন্স এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না। যে কোন মুল্যে এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। কারো কাছে আমরা মাথা নত করবো না।