বাংলা নিউজ
Friday, March 14, 2025
Home Blog Page 80

টাঙ্গাইলে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিল প্রথম স্ত্রী

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন খালেদা আক্তার (৩২) নামে এক গৃহবধূ। তিনি উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের রশিদ দেওহাটা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী।

শনিবার (২৫ জুন) সকালে উপজেলার ধেরুয়া রেল সেতু এলাকায় ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ঢাকা কমিউটার ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে আনোয়ার হোসেন মীর দেওহাটা গ্রামের খালেদা আক্তারকে বিয়ে করেন।

তাদের সংসারে তিন সন্তান রয়েছে। তবে তিনি গত দুই বছর আগে রশিদ দেওহাটা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে রাশেদা আক্তারকে গোপনে বিয়ে করেন। পরে বিয়ের খবরটি প্রকাশ হওয়ায় তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। আজ দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে প্রথম স্ত্রী খালেদার সঙ্গে ঝগড়া হয় আনোয়ারের। এতে অভিমান করে খালেদা ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

উপজেলার গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মির্জাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান জানান, ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। বিষয়টি রেলওয়ের গাজীপুর জিআরপি থানায় জানানো হয়েছে।

বাসাইলে পানিতে ডুবে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু

0

বাসাইল, টাঙ্গাইলঃটাঙ্গাইলের বাসাইলে পাশে পুকুরের পানিতে ডুবে সামিয়া (১৩) নামের এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

সামিয়া বাসাইল এস আর পাড়ার ছানোয়ার হোসেনের বড় মেয়ে।

স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, ২৪ জুন (শুক্রবার) সকালের খাবার শেষ করে সামিয়া পাশের বাড়িতে খেলতে যায়। অনেকক্ষণ বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোজাখুজির একপর্যায়ে প্বার্শবর্তী মন্দির সংলগ্ন পুকুরে সামিয়াকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। পুকুর থেকে উদ্ধার করে তাকে বেলা ১১ টায় বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাহিদ খান তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ডা. নাহিদ খান বলেন, হাসপাতালে আনার পূর্বেই সামিয়ার মৃত্যু হয়েছে।

সামিয়া বাসাইলস্থ্য রফিক রাজু ক্যাডেট স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেনির ছাত্রী

সৃষ্টি স্কুলের শিক্ষার্থী শিহাবকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে

টাঙ্গাইল শহরের সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের ছাত্রাবাসে শিশু শিক্ষার্থী শিহাব মিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে জানা গেছে।

রোববার (২৬ জুন) দুপুরে বিষয়টি টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হবে জানিয়েছে শিহাবের পরিবার।

গত সোমবার (২০ জুন) বিশ্বাস বেতকা সুপারি বাগান এলাকার স্কুলের ছাত্রাবাস থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় দায়িত্বরত শিক্ষকরা। পরে শিহাবের পরিবারকে জানানো হয়েছে শিহাব এক্সিডেন্ট করেছে। আবার ফোন করে জানানো হয় শিহাব মাথা ঘুরে পড়ে গেছে।

শিহাব সখীপুর উপজেলার বেড়বাড়ী গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী ইলিয়াস হোসেনের ছেলে। শিহাবের মরদেহ উদ্ধারের পর মৃত্যুর কারণ ও হত্যায় জড়িতদের শাস্তির জন্য দফায় দফায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
শিহাবের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য সৃষ্টিতে দিয়েছিলাম। আগে জানতাম সৃষ্টির মালিক রিপন মানুষ গড়ার কারখানা খুলছে। আমার ছেলেকে হত্যার পর জানলাম রিপন মানুষ হত্যার কারখানা খুলছে। আমার ছেলেকে যেভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঠিক সেই ভাবে আসামীদের ফাঁসির দাবি করছি।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনও তার হাতে আসেনি।

সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জানান, ময়না তদন্তের প্রতিবেদনের পর জানতে পারি শিহাবকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলটাইমস/এমএকিউ