মির্জাপুরে জমি দখল ও গাছ কাটায় বাঁধা দেওয়ায় মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
স্বামীর ভিটার জমি দখল ও গাছ কাটায় বাঁধা দেওয়ায় বিধবা সাজেদা বেগম ও তার কন্যা রুমাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী বাদশা দেওয়ান গংরা। আশংকা জনক অবস্থায় মা-মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ৮ নং ভাতগ্রাম ইউনিয়নের দুল্যাবেগম গ্রামে এ অমানবিক ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় সাংসদ খান আহমেদ শুভ এমপি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারসহ অসহায় বিধবা ও তার পরিবারকে নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
অসহায় সাজেদা বেগম জানায়, গত দুই বছর পুর্বে তার স্বামী আব্দুর রউফ মিয়া দুই কন্যা রেখে মারা যান। পুত্র সন্তান না থাকায় তার স্বামীর ভাই বাদশা দেওয়ান, ও সুরুজ দেওয়ান তার ভিটেবাড়ি, জমিসহ বাড়িঘর দখল করতে উঠে পরে লেগেছে। তাকে বাড়িছাড়া করার জন্য তাদের নানা ভাবে হুমকি ও ভয়ভিতি দেখাচ্ছেন। বিষয়টি তিনি স্তানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন। তারপরও কোন কাজ হয়নি। তাদের হুমকিতে দুই কন্যা নিয়ে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে াভিযোগ করেন।
এদিকে আজ শনিবার উল্লেখিত সন্ত্রাসী বাহিনী বাদশা দেওয়ান ও সুরুজ দেওয়ান সাজেদা বেগমের জমি দখল ও গাছ কাটার জন্য গেলে তিনি ও তার কন্যা রুমা বাঁধা দিতে যায়। এ সময় বাদশা দেওয়ান, সুরুজ দেওয়ান, লায়লা বেগম, হালিমা বেগম, আলিফ ওরফে লোহান, সখিনা ও সুমাইয়াসহ তাদের সহযোগিরা ধারালো অস্্র দিয়ে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। আশপাশের লোকজন খবর পেয়ে আহত মা-মেয়েকে উদ্ধার করে জামুর্কি সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে বিকেলে সাজেদা বেগম বাদী হয়ে বাদশা দেওয়ান, সুরুজ দেওয়ান, লায়লা বেগম, হালিমা বেগম, আলিফ ওরফে লোহান, সখিনা ও সুমাইয়াকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে খবর পেয়ে স্থানীয় সাংসদ খান আহমেদ শুভ এমপি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষীদের গ্রেফতারসহ অসহায় বিধবা ও তার পরিবারকে নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা করা হবে বলে ঘোষনা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাুপর থানায় যোগাযোগ করা হলে ওসি মো. রেজাউল করিম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here