মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ এবং জমি দখলের জন্য শারীরিক প্রতিবন্ধি পলাশ রায় ওরফে রানা ৯৫০) ও তার স্ত্রী রিতা রানী রায় (৪৫) উপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বাগজান গ্রামে এ অমানবিক ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসি জানায়, বাগজান গ্রামের সুশান্ত কুমার রায়ের ছেলে সজীব রায় রাজুর সঙ্গে শারীরিক প্রতিবন্ধি পলাশ রায় রানার সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে আজ বুধবার সকালে সজীব রায় রাজু ও তার স্ত্রী মায়া রায় মিলে শারীরিক প্রতিবন্ধি পলাশ রায় রানা ও তার স্ত্রী রিতা রানী রায়কে বাড়িঘর উচ্ছেদসহ জমি দখলের জন্য বাড়িতে গিয়ে ধারালো অস্্র ও লাঠিসোঠা দিয়ে হামলা চালায়। হামলায় প্রতিবন্ধি পলাশ রায় ও তার স্ত্রীর মাথা ও শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত হয়। আশপাশের লোকজন আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে জামুর্কি সরকারি হাসপাতারে ভর্তি করেছে।
এ ব্যাপারে গুরুতর আহত প্রতিবন্ধি পলাশ রায় রানা ও তার স্ত্রী রিতা রায় অভিযোগ করেন, আমাদের ছেলে সন্তান না থাকায় ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ ও জমি দখলের জন্য সজীব রায় রাজু ও তার স্ত্রী মায়া রায়সহ তাদের লোকজন দীর্ঘ দিন ধরে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ইতিপুর্বেও একাধিকবার হামলা করেছে। কোন বিচার পাইনি। আজ বুধবার আবার তাদের হত্যার চেষ্টা করে। কোন রকমে প্রাণে বেঁচে গেলেও এখন মেরে ফেলার হুুমি দেওয়ায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। জীবনের নিরাপত্তাসহ বাড়িঘর রক্ষার জন্য তারা মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অসহায় পরিবারটি সজীব রায় রাজুকে গ্রেফতারসহ ন্যায় বিচার দাবী করেছেন।
এ ব্যাপারে সজীব রায় রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চাচাতো ভাই পলাশ রায় রানার সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে আজ বুধবার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তাকেও মারপিট করা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, আহত পলাশ রায় রানা বাদী হয়ে সজীব রায় রাজু ও তার স্ত্রী মায়া রানীকে আসামী করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।