মির্জাপুরে পিস্তল ও দেশীয় অস্্রসহ আটক ছিনতাইকারী রিফাত শান্তা মারিয়াম বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র

0
1120

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
গাড়ি ছিতাইয়ের সময় পিস্তল ও দেশীয় অস্্রসহ আটক ছিনতাইকারী রিফাত রহমান (২৪) শান্তা মারিয়াম বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র বলে পুলিশ জানিয়েছেন। গতকাল রবিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাকুল্যা এলাকায় গাড়ি ছিনতাইয়ের সময় চালক ও এলাকাবাসির সহযোগিতায় রিফাতকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রিফাতের পিতার নাম মো. ইলিয়াজ রহমান। বাড়ি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার টোকনিখোলা গ্রামে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মির্জাপুর থানা পুলিশ সুত্র জানায়, রবিবার বিকেলে টাঙ্গাইল থেকে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করে রিফাত। চালক হালিমকে জানায় দেলদুয়ারের পাথরাইল থেকে তার মা-বাবাকে নিয়ে ঢাকায় যাবে। সেখানে গিয়ে চালককে জানায় তার মা-বাবা যাবে না। তাকে উত্তরা নামিয়ে দিতে হবে। রিফাতকে সন্দেহ হলে চালক যাবে না বলে তাকে জানায়। পরে রিফাত চন্দ্রা নামিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। পরে পাকুল্যা বাস স্টেশনে নামিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চালক প্রাইভেটকার নিয়ে পাকুল্যা বাস স্টেশনে আসে। সেখানে এসে তাকে নামতে অনুরোধ করলে রিফাত বলে তাকে সামনের স্টেশনে নামানোর জন্য। পাকুল্যা বাস স্টেশন থেকে একটু এগিয়ে আছিমতলা নামক স্থানে চালক গাড়ি থাকায়। এ সময় রিফাত পকেট থেকে পিস্তল বের করে গুলি করে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। চালক হালিম প্রান ভয়ে গাড়ি থেকে নেমে আশপাশের লোকজনের সাহায্য চায়। লোকজন এগিয়ে এলে এ সময় রিফাত তার সঙ্গে থাকা পিস্তল ও ধারালো অস্্র ব্যাগে ভরে রাস্তার পাশে ফেলে পালানোর চেষ্টা করে। লোকজন তাকে ধরে মির্জাপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে রিফাতকে আটক এবং ব্যাগ থেকে চাপাতি, ছোড়া ও পিস্তল উদ্ধার করে। থানায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখতে পান পিস্তলটি আসলে খেলনা। ভয় দেখানোর জন্য এটি ব্যবহার করেছে। তার ভিতরে কোন গুলি ছিল না। রিফাত পুলিশের কাছে জানিয়েছে সে টাঙ্গাইল হাজী মোহাম্মদ দানেজ কলেজ (হ্যাবিট) থেকে এইচএসসি পাশ করে ঢাকার শান্তা মারিয়াম বিশ^বিদ্যালয়ে বিএসসিতে পরাশোনা করছে। রিফাত পড়াশোনার পাশাপাশি ছিনতাইকারী চক্রের সক্রীয় সদস্য বলে পুলিশ ধারনা করছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, রিফাতকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here