মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
অবশেষে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধিনে শিক্ষকদের দক্ষতা অর্জনে পরিচালিত রিসোর্স সেন্টারে (ইউআরসিতে) ২০ বছর ধরে একই কর্মস্থলে কর্মরত থাকা সেই ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তারকে বদলী করা হয়েছে। আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) টাঙ্গাইল জেলা পিটিআইয়ের সুপার (চলতি দায়িত্ব) অমল চন্দ্র সরকার স্বাক্ষরিত বদলির আদেশে মির্জাপুর রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তারকে নাগরপুর উপজেলায় রিসোর্স সেন্টারে বদলী করেছেন। তার পুর্বের কর্মস্থল মির্জাপুর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারে নতুন করে ডাটা এন্টি অপারেটর পদে নিয়োগ দিয়েছেন নাগরপুরের রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্টি অপারেটর মীর রাজ্জাকুজ্জামানকে। আজ সোমবার মির্জাপুর রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর (প্রশিক্ষক) ড. মো. আব্দুর রহিম ইত্তেফাকের এই প্রতিনিধির নিকট বদলীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ২০ বছর ধরে মির্জাপুরে রিসোর্স সেন্টারে ডাটা এন্টি অপারেটর পদে একই কর্মস্থলে চাকুরী করায় প্রায় ১২শ শিক্ষক তার হাতে জিম্মি এবং তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে।
জানা গেছে, মির্জাপুর উপজেলা রিসোর্স সেন্টার (ইউআরসি) ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তার ২০০২ সালে মির্জাপুর অফিসে যোগদান করেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলায় হলেও ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধিনে শিক্ষকদের দক্ষতা অর্জনে পরিচালিত মির্জাপুরে রিসোর্স সেন্টারে (ইউআরসিতে) একই পদে কর্মরত প্রায় দুই যুগ। তদারকি না থাকায় এ রিসোর্স সেন্টারে অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সব কিছু নিয়ন্ত্রন করেন ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তার ও প্রশিক্ষক ড. মো. আব্দুর রহিম। অসহায় ও নিরীহ শিক্ষক অভিযোগ করেন, মন্ত্রনালয় থেকে পদন্মতি বা বদলীর ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ক্ষমতার দাফট আর অর্থের লোভে ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তার কখনো বদলী হননি। অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ বেশ কিছু কর্মকর্তা এবং শিক্ষক নেতার সঙ্গে সিন্ডিকেট করে বছরের পর বছর তিনি একই কর্মস্থ’লে ছিলেন। মির্জাপুর উপজেলার প্রায় ১২শ শিক্ষকদের জিম্মি করে প্রশিক্ষনের নামে তিনি বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন। তার চাহিদা মত টাকা না দিলে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ থেকে বাদ দেওয়া হতো। এদিকে ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তারের বদলীর খবর শুনে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে অসহায় ও ভুক্তভোগি শিক্ষকগন জানিয়েছেন। অনেকেই মিষ্টি মুখও করেছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) মির্জাপুর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর (প্রশিক্ষক) ড. মো. আব্দুর রহিম বলেন, ডাটা এন্টি অপারেটর শামীমা আক্তার দীর্ঘ দিন উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে কর্মরত থাকায় তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনায় টাঙ্গাইল জেলা পিটিআইয়ের সুপার (চলতি দায়িত্ব) অমল চন্দ্র সরকার মহোদয় শামীমাকে বদলী করে নাগরপুর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারে ন্যাস্ত করেছেন। মির্জাপুর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারে নতুন ডাটা এন্টি অপারেটর হিসেবে যোগদান করেছেন নাগরপুর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্টি অপারেটর মীর রাজ্জাকুজ্জামান।