মির্জাপুরে আট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭১৮ জন

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
২০২২ সালের এসএসসি, দাখিল এবং কারিগরী (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঐতিহ্যবাহী নারী জাগরনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতেশ^রী হোমসসহ আট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাশ করেছে। গড় পাশের হার ৯১ দশমিক ৩৩। শতভাগ পাশ করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে, ভারতেশ^রী হোমস, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, কররা কাওয়ালজানি দাখিল মাদ্রাসা, পাথরঘাটা দাখিল মাদ্রাসা, তরফপুর দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা, তেলিনা দক্ষিণপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, ভাবখন্ড দাখিল মাদ্রাসা এবং দরানীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়। এসএসসি, দাখিল এবং কারিগরী (ভোকেশনাল) মিলে উপজেলার ৭৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গোল্ডেনসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭১৮ জন শিক্ষার্থী। গড় পাশের হার ৯১ দশমিক ৩৩। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হায়দার জানিয়েছেন, এসএসসি পরীক্ষায় এ বছরের ফলাফল সন্তোষ হয়েছে। আগামীতে মির্জাপুর উপজেলার ফলাফল যাতে আরও ভাল হয় সে জন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্র জানায়, চলতি বছর মির্জাপুর উপজেলায় এসএসসি (সাধারণ) শাখা থেকে ৫২ প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ৫ হাজার ৬৯৪ জন শিক্ষার্থী। পাশ করেছে ৪ হাজার ৯৯৪ জন। শতকরা পাশের হার ৮৭ দশমিক ৭১। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৩০ জন। শতভাগ পাশ করেছে ভারতেশ^রী হোমস ও মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ। ভারতেশ^রী হোমস থেকে ১০৮ জন ছাত্রী পরীক্ষা দিয়ে ৪৮ জন জিপিএ-৫সহ শতভাগ পাশ এবং মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে ৫০ জন ক্যাডেট পরীক্ষা দিয়ে ৫০ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। ১৪ দাখিল মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষার্থী ছিল ৩৪৭ জন। পাশ করেছে ৩২৯ জন। পাশের হার ৯৫ শতাংশ। ৬ টি জিপিএ-৫সহ ৫ টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাশ করেছে। শতভাগ পাশ করা মাদ্রাসা হচ্ছে কররা কাওয়ালজানি দাখিল মাদ্রাসা, পাথরঘাটা দাখিল মাদ্রাসা, তরফপুর দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা, তেলিনা দক্ষিণপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা এবং ভাবখন্ড দাখিল মাদ্রাসা। ৭ টি কারিগরী (ভোকেশনাল) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষার্থী ছিল ৩৪৪ জন। পাশ করেছে ৩১৪ জন। পাশের হার ৯১ দশমিক ২৮। একটি জিপিএ-৫সহ দরানীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় শতভাগ পাশ করেছে।
অপর দিকে মির্জাপুর পাইলট উচ্চ বালিকা থেকে ২২৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৪ জন, রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৯ জন, মির্জাপুর সরকারী এস কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৩২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৪ জন, দেওহাটা এ জে উচ্ বিদ্যালয় থেকে ১৮৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ জন, সিয়াম একাডেমি থেকে ৭৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭ জন, উত্তর পেকুয়া জাগরণী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪৬ জন পরীক্ষার্থীল মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন, বরাটি নরদানা বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১০১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জনসহ মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭১৮ জন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান এবং উপজেলা শিক্ষা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, দুই বছর করোনার মহামারীর পর ২০২২ সালের এসএসসি, দাখিল ও ভোকশনাল শাখায় পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মির্জাপুর উপজেলায় সন্তোষ জনক ফলাফল অর্জিত হয়েছে। আগামীতে সকল পরীক্ষার ফলাফল আরও ভাল হবে বলে তারা আশা করছেন।
এ ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, নানা প্রতিকুলতার মাঝেও উপজেলা প্রশাসন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের আন্তরিকতায় এ বছর মির্জাপুর উপজেলায় পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল অনেক ভাল হয়েছে। যারা কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ন হয়েছে তাদের সকলকেই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here