মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পরক্রিয়ার সম্পর্কের জেরে প্রবাসীর স্ত্রীকে আত্মহত্যার করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পরিবারের অভিযোগ পরক্রিয়ার প্রেমিক মাসুদ ও তার সহযোগি জহুরুল তাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাঁধ্য করেছে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভূঞাপুর পৌরসভার ঘাটান্দির গনেশমোড় এলাকার লাবলুর বাসা থেকে মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল আলীমের স্ত্রী নুরুন্নাহারের (৩৫) মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরআগে গত শুক্রবার রাতে নিহত নুরুন্নাহার থানায় অভিযোগ দিয়েছে বলে পরিবার জানিয়েছে। তবে পুলিশ অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছে।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরপৌলি গ্রামের প্রবাসী আলীম তার মামাতো বোন নুরুন্নাহারকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে একটা ১১ বছর বয়সী ছেলে সন্তান রয়েছে। তবে স্ত্রী নুরুন্নাহার স্বামী বাড়ি না থেকে ভূঞাপুরে ভাড়া বাসা নিয়ে সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। সম্প্রতি তার স্বামী মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেন। দেশে ফেরার পর জানতে পারেন তার শালিকার স্বামী জহুরুলের মাধ্যমে ঘাটাইল উপজেলার রুপের বয়ড়া গ্রামের মাসুদ নামের একজনের সাথে পরক্রিয়ায় লিপ্ত। পরে বিষয়টি তার স্ত্রীকে জানালে কোন জবাব দেয়নি। পরে গত শুক্রবার রাতে ভূঞাপুরের গনেশ মোড় এলাকার নির্জন জায়গায় পরক্রিয়া প্রেমিক মাসুদ ও জহুরুল স্বামী আলিমকে ডেকে নেয়। পরে স্ত্রী নুরুন্নাহারের সামনে স্বামীকে মারধর করা হয়। পরে এলাকায় না থাকার শর্তে এবং প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে বিষয়টি স্ত্রীর ভাই মনিরুজ্জামানকে ফোনে জানালে ঘটনা জানতে পারে পরিবার। এঘটনার জের ধরে শনিবার সকালে স্ত্রী নুরুন্নাহার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহত নুরুন্নাহারের স্বামী আলীম বলেন, বিদেশ থেকে ফিরেই ভাইড়া ভাই (জহুরুল) মাধ্যমে জানতে পারি স্ত্রী পরক্রিয়ায় লিপ্ত। পরে জহুরুল আমার স্ত্রীর ও মাসুদের গভীর সম্পর্কের ছবি ও ভিডিও দেখায়। পরে জহুরুল আমার কাছে টাকা দাবী করে। পরে বিষয়টি স্ত্রীকে জানালে তিনি কোন জবাব দেয়নি। এরপর শুক্রবার রাতে মাসুদ ও জহুরুল মিলে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে মারধর করে। সেখানে স্ত্রীও উপস্থিত ছিল। পরে তাদের বিভিন্ন শর্ত রাজি হয়ে প্রাণভয়ে ভূঞাপুর থেকে পালিয়ে যাই। এরপর স্ত্রীর ভাইকে ফোনে বিস্তারিত বললে বিষয়টি পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়।
তিনি আরো বলেন, স্ত্রীকে বিদেশ থেকে পাঠানো প্রায় ৫ লাখ টাকা মাসুদ বিভিন্ন কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া আরো ৫লাখ টাকা ঋণ করেছে স্ত্রী।
থানায় অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মরদেহের সুরুতহাল করার সময় একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তবে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ রয়েছে।