মোঃ সাজজাত হোসেন স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বন্ধ হচ্ছে না বংশাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করায় প্রতি বছরই ভাঙনের মুখে পড়ছে ফসলি জমি, ঘর বাড়ি, রাস্তা-ঘাট। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে তিনটি সেতু, শতাধিক সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও ফসলি জমি। তবু বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন।
বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু বা মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ।
জানা গেছে, মির্জাপুর ত্রিমোহন এলাকার পাশে রয়েছে একাব্বর হোসেন সেতু ও গোড়াই এলাকায় চাঁনপুর ব্রীজ, হাটুভাঙ্গা ব্রীজ। মির্জাপুরে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কুফল ভোগ করছে চাকলেশ^র, হাটুভাঙ্গা,গোড়াই এবং পৌরসভার কুমারজানি এলাকার বাসিন্দারাও।
বছরের পর বছর আইন লঙ্ঘন করে বড় বড় ভেকু দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দের দাবি, তাদের প্রতিবাদ কোনো কাজে আসেনি। বরং নানা ধরনের হুমকি-ধামকির মুখে পড়তে হয়েছে। এতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে প্রশাসনের ভূমিকা।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে মির্জাপুরে কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, প্রতিবাদ করে অতীতে অনেকেই হয়রানির শিকার হয়েছেন। এখন তাই কেউ আর সাহস করেন না। গণমাধ্যমে কথা বললেও প্রভাবশালী মহল চড়াও হয়।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল বলেন, জরুরিভিত্তিতে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হলে মির্জাপুর এলাকায় সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হবে এবং স্থাপনাগুলো নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো.জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, ‘এলাকার ক্ষতি করে, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কেউ বালু উত্তোলন করতে পারবেন না। আমি ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) নির্দেশ দিয়েছি। জনস্বার্থে যা যা করণীয়, তা করা হবে।