মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শ্রমিক নেতা ও মির্জাপুর সদরের সমবায় সুপার মার্কেটের নাইট গার্ড আবুল হাসেম ওরফে হাসু মিয়া হত্যার প্রতিবাদ এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতারসহ ফাঁসির দাবীতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। আজ রবিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর পুরাতন বাস স্টেশন এলাকায় ঘন্টা ব্যাপি এ কর্মসুচী পালিত হয়। হাসুর অসহায় পরিবার এবং এলাকাবাসি এ কর্মসুচীর আয়োজন করে। মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মির্জাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মোশারফ হোসেন মনি, সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুর রহমান শহিদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক ভিপি মো. আবু আহমেদ, শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. সালাউদ্দিন আহমেদ বাবর, পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ভিপি মো. হযরত আলী মিঞা, সাধারন সম্পাদক এস এম মহসীন, আওয়ামীলীগ নেতা মো. বাবুল খান, মো. ফরহাদ উদ্দিন আছু, সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল এবং মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগন বলেন, গত শুক্রবার (৩১ মার্চ) উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের সরিষাদাইর গ্রামে মো. হাসু মিয়া (৬০) নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। তার পিতার নাম মোকছেদ আলী বেপারি। গ্রামের বাড়ি মির্জাপুর পৌরসভার পুষ্টকামুরি মধ্যপাড়া গ্রামে। তার মেয়ে রুবিনা আক্তারের স্বামী জুয়েল মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে প্রবাসে থাকেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে শ^শুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করে জমি দখলের চেষ্টা করলে রুবিনা তার পিতা হাসু মিয়াকে। গত শুক্রবার সকালে তিনি সরিষাদাইর গ্রামে গেলে মেয়ের শ^শুর বাড়ির লোকজন হাসু মিয়ার উপর হামলা চালালে তিনি নিহত হন। নিহত হাসু মিয়ার মেয়ে রুবিনা ঘাতক সজল, আমির হামজা, লাইলী, নিলুফ ও ঝুমাকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। মালার পরও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার না করায় তারা হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আসাদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে আরও কঠোর আন্দোলন দেওয়া হবে বলে বক্তাগন হুশিয়ারী দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। থানায় মামলা করেছেন নিহত হাসু মিয়ার মেয়ে রুবিনা আক্তার। মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তাদের মধ্যে লাইলী বেগমকে গতকাল শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের ধরতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ চিরুনি অভিযান শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। নিহত হাসু মিয়ার পরিবার যাতে ন্যায় বিচার পান সে জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।