মির্জাপুরে সেই অসুস্থ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল মিয়ার চিকিৎসার জন্য পাশে এসে দাড়িয়েছেন ইউএনও হাফিজুর রহমান

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
দৈনিক ইত্তেফাকে অনলাইন ভার্ষনে সংবাদ প্রকাশের সেই অসুস্থ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল মিয়ার চিকিৎসার জন্য পাশে এসে দাড়িয়েছেন মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জনবান্ধব দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান। গত ২৫ মার্চ দৈনিক ইত্তেফাকে সংবাদ প্রকাশের পর টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দারের নির্দেশনা ও সহযোগিতায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল মিয়ার চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের কাছে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) অর্থের চেক তুলে দিয়েছেন নির্বাহী অফিসার। এ সময় মির্জাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মোশারফ হোসেন মনি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাজাহান আলী মিয়া, কীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আল আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাইমুদ্দিন, এবং অসুস্থ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল মিয়ার পরিবারের পক্ষে তার মেয়ে এবং মেয়ের জামাই উপস্থিত ছিলেন। আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে লাল মিয়ার পরিবার দৈনিক ইত্তেফাক পরিবার এবং প্রশাসনের নিকট কৃতজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দীর্ঘ দিন ধরে জটিল রোগে আক্রান্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. লাল মিয়া (৭১) অর্থের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না। ইতিমধ্যে তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়েছে। হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল মিয়া। তার চিকিৎসার জন্য পরিবারটি এখন অসহায় হয়ে পরেছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের পুষ্টকামুরী গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল মিয়ার বাড়ি
উপজেলা আওয়ামীলীগের সহভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী জানান, লাল মিয়া একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় কর্তৃক জারিকৃত মুক্তিযোদ্ধা নম্বর-১৯৩০০০১৫৫৩। মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকায় (সেক্টর) নম্বর- ৫১৬০, লাল মুক্তিবার্তা নম্বর-০১১৮০৫০০৩৪ এবং বেসামরিক গেজেট নম্বর-২৯৪৩। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে শারীরিক নানা সমস্যসহ জটিল রোগে আক্রান্ত। বিছানা থেকে উঠতে ও বসতেও পারেন না। বেসরকারী বিভিন্ন ক্লিনিক, কুমুদিনী হাসপাতাল ও রাজধানী ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার ডান পা কেটে ফেলতে হয়েছে। এখন বাম পায়েও পচন ধরেছে। মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন। তাকে চিকিৎসা করাতে ইতিমধ্যে নিঃস্ব হয়ে পরেছে পুরো পরিবার।
এদিকে চিকিৎসকগন জানিয়েছেন তাকে বাঁচাতে হলে দেশের বাহিরে (বিদেশে) নিয়ে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। সে জন্য ৪০-৫০ লাখ টাকার দরকার। বিপুল পরিমান অর্থ যোগার করা অসহায় এই পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়সহ দেশবাসির নিকট আর্থিক ভাবে সাহায্যের জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন তার এক পুত্র ও এক কন্যা। তাকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা মো. লাল মিয়া, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর-৬০১৭০২৬০০০৭৬৭, সোনালী ব্যাংক, মির্জাপুর শাখা, টাঙ্গাইল। মোবাইল নগদ বিকাশ নম্বর ০১৭৩৮-৬২৬৩২৩।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ্য। এই ভাতার টাকায় তার চিকিৎসা ও পরিবারের ব্যয়ভার নির্বাহ করা খুবই কষ্টকর। জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়েছে। বিছানা থেকেও উটতে বসতে পারেন না। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় প্রশাসন থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক বাবে সহযোগিতা করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here