মির্জাপুরে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধে ঠাকুরকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দেবব্রত চক্রবর্তী (২৫) নামে এক ঠাকুরকে (ব্রাক্ষ্রণকে) ধারালো অস্্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আশংকা জনক অবস্থা তাকে সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ৬ নং আনাইতারা ইউনিয়নের আটঘড়ি গ্রামে এ অমানবিক ঘটনা ঘটেছে।
আজ রবিবার (১৮ জুন) গুরুতর আহত দেবব্রত চক্রর্তীর বাবা আনন্দ চক্রবর্তী এবং মির্জাপুর থানা পুলিশ সুত্র জানায়, আটঘড়ি গ্রামের চন্দন সরকার, প্রসাদী সরকার, অস্টরানী, আরতী , সুব্রত এবং রিভা রানী গংদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে জমিজমা এবং সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল শনিবার (১৭ জুন) বেলা সারে এগারটার দিকে চন্দন সরকার গংরা জোরপুর্বক সীমানা প্রচীর দিয়ে দেবব্রত চক্রবর্তীর জমি দখল নিতে আসে। এ সময় দেবব্রত চত্রবর্তী, তার বাবা আনন্দ চক্রবর্তীসহ পরিবারের সদস্যরা বাঁধা দিতে এলে চন্দন সরকার গংরা ধারালো অস্্র দিয়ে দেবব্রত চক্রবর্তীকে কুপিয়ে এবং লাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। স্থানীয় লোকজন আশংকা জনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মির্জাপুর সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করে। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকা জনক বলে হাসপাতালের চিকিৎসকগন জানিয়েছেন। অসহায় দেবব্রত চক্রবর্তীর পরিবার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে দেবব্রত চক্রবর্তীর পিতা আনন্দ চক্রবর্তী বাদী হয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত আটঘড়ি গ্রামের চন্দন সরকার, প্রসাদী সরকার, অস্টরানী, আরতী , সুব্রত এবং রিভা রানীকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর মির্জাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিনহাজ উদ্দিন বলেন, অভিযোগের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আহত দেবব্রত চক্রবর্তীর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এছাড়া বিবাদী পক্ষও একটি পাল্টা অভিযোগ জমা দিয়েছেন। এটিওর তদন্ত চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here