মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে বাড়ি ফেরার পথে র্যাব পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে ১৯ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার ৬ দিন পর প্রাইভেটকারসহ দুই ভুয়া র্যাব সদস্যকে েেগ্রফতার হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন। গ্রেফতারকৃত ভুয়া র্যাব সদস্যলা ময়মনসিংহ জেলার কতোয়ালী থানার আইয়ুব আলী ছেলে সফর উদ্দিন ওরফে মুন্না (২২) এবং কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার দরিগাও গ্রামের মোশারফ হোসেনের চেলে মামীম হোসেন ওরফে সবুজ (৩৩)। মুন্নাকে ময়মনসিংহ এবং সবুজকে সাতক্ষিরা থেকে ছিনতাউকৃত প্রাইভেটকার, এক লাখ টাকা, একটি মোটর সাইকেল ও বেশ কিছু অস্্রসহ গ্রেফতার করে মির্জাপুর থানা পুলিশ এবং ডিবি পুলিশের একটি চৌকুস দল। গত ২২ আগস্ট ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার শুভুল্লা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটেচিল। ব্যবসায়ী হেলাল মোল্লার বাড়ি মহেড়া ইউনিয়নের গবড়া গ্রামে।
আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার উল্লেখ করেন, গত ২২ আগস্ট ব্যবসায়ী হেলাল মোল্লা মির্জাপুর উপজেলা সদরের কলেজ রোডের সোনালী ব্যাংক থেকে ১৯ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। টাকা উত্তোলন করে একটি বাগে ভর্তি করে মির্জাপুর বংশাই রোডের বাইপাস যান। সেখান থেকে টাঙ্গাইলগামী একটি বিনিময় পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসে নাটিয়াপাড়া যাওয়ার জন্য উঠেন। বাসটি কুরনি যাওয়ার পর একটি সাদা প্রাইভেটকার বাসটিকে অভার টেক করে শুভুল্লা নামক স্থানে গিয়ে বাসকে ব্যারিকেট দেয়। প্রাইভেটকার থেকে ৪/৫ জন লোক র্যাবের পোষাক ও সাথে হ্যান্ডকাপসহ নিজেদের র্যাব পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ী হেলাল মোল্লাকে জিম্মি করে টাকা ভর্তি ব্যাগসহ প্রাইভেটকারে উঠান। হেলাল মোল্লাকে মারপিট করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের জামুর্কি এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে টাকার ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়।
এদিকে ঘটনার পর গত ২৩ আগস্ট হেলাল মোল্লা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মির্জাপুর থানায় এসে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরফুদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর-নাগরপুর) সার্কেল এ এস এম আবু মনসুর মুসা, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, ওসি (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন, পুলিশ কর্মকর্তা আবুল বাশার মোল্লা, মো. মজিবুর রহমান, র্যাব-১২ টাঙ্গাইল এবং টাঙ্গাইলের ডিবি পুলিশের একটি চৌকুস দল মির্জাুপর কলেজ রোডের সোনালী ব্যাংক শাখা পরিদর্শন করেন। পুলিশ কর্মকর্তাগন ব্যাংকের কর্মকর্তা, নিরাপত্তা কর্মচারী এবং টাকা খোয়া যাওয়া ব্যবসায়ী হেলাল মোল্লা এবং তার ভাই প্রাবসি ইয়াকুব মোল্লার সঙ্গে কথা বলেন। অপরাধীদের সনাক্ত এবং টাকা উদ্ধারে সোনালী ব্যাংক এবং তার আশপাশের এলাকার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেন।
এদিকে মামলার সুত্র এবং ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের পর ভুয়া র্যাব সদস্যদের গ্রেফতারে মাঠে নামে মির্জাপুর ও টাঙ্গাইল জেরা পুলিশ, ডিবি পুলিশ , সিআইড এবং র্যাব সদস্য। তথ্য প্রুক্তি ব্যবহার করে গতকার সোমবার ছিনতাইয়ের হোতা ভুয়া র্যাব সদস্য মুন্নাকে ময়মনসিংহ এবং সবুজকে সাতক্ষিরা থেকে গ্রেফতার করা হয। উদ্ধার করা হয় ছিনতাইকৃত প্রাইভেটকার। ছিনতাইকৃত ১৯ লাখ টাকা উদ্ধার হয়নি।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, পুরিশ সুপার মহোদয়ের সঠিক দিক নির্দেশনায় অপরাধীদের গেগ্রফতার করা সম্ভব হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে মাঠে কাজ করছেন পুলিশ।