মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ১০ হাজার ২০০শ পিচ ইয়াবার চালানসহ মাদক ব্যবসায়ী স্বামী-স্ত্রী ডিবি পুলিশের জালে গ্রেফতার হয়েছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার মুল্য প্রায় ৩০ টাকা বলে ডিবি পুলিশ জানিয়েছে। টাঙ্গাইল দক্ষিণ ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে মির্জাপুর থধানায় ডিবি পুলিশ বাদী হয়ে মাদক আইনে মামলা করেছেন।
ইয়াবার চালানসহ গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীরা হচ্ছে মির্জাপুর উপজেলার সিট মামুদপুর গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে শাহআলম মিয়া (৩৮) এবং তার স্ত্রী মাদক কারবারী বাসরী খাতুন (২৮)। বাসরীর পিতার নাম আমিরুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ত্রিমোহনী গ্রামে। টাঙ্গাইল দক্ষিণ ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, শাহআলম ও তার স্ত্রী বাসরী খাতুন আন্তঃজেলা মাদক কারবারী। তারা দীর্ঘ দিন ধরে গোড়াই শিল্পাঞ্চলের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন মদিনা নুরানী প্রি-ক্যাডেট মাদ্রাসার পাশে বটটেকি এলাকায় চিকিৎসক মোতালেব মিয়ার বাসা ভাড়া নিয়ে মাদক ব্যবসা করতেন। গতকাল মঙ্গলবার (অক্টোবর) টাঙ্গাইল দক্ষিণ ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিনের নির্দেশে একদল ডিবি পুলিশ গোড়াই শিল্পাঞ্চলেল বটটেকি এলাকায় মোতালেব মিয়ার বাসায় হানা দিয়ে মাদক কারবারী শাহআলম ও তার স্ত্রী বাসরী খাতুনকে গ্রেফতার করে। এ সময় ব্যাগে অভিনব কায়দায় মোড়ানো বিভিন্ন প্যাকেটের ভিতর ১০ হাজার ২০০শ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল দক্ষিণ ডিবি পুলিশের ওসি মো. হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, গোপন সংবাদ পেয়ে সোর্স ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাদক ব্যবসায়ী শাহআলম ও তার স্ত্রী বাসরীকে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানায় মাদক আইনে মামলার পর রিমান্ডের আবেদন করে অপরাধীদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তাদের অপর সহযোগিদের গ্রেফতারে মাঠে নেমেছেন ডিবি পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগন।