শ্রদ্ধা-ভালবাসায় আরপি সাহাকে স্মরণ ও কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় ১২৭ তম জন্মজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহাকে (আরপি সাহাকে) স্মরণ এবং কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. এর প্রতিষ্ঠা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) তার নিজ গ্রাম টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, তার সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান কুমুদিনী কমপ্লেক্্র, নারী জাগরণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ ভারতেশ^রী হোমস, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল ও বিএসসি নার্সিং কলেজ এবং তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ঢাকা ও নারানগঞ্জে দিন ব্যাপি নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দানবীরের ১২৭ তম জন্ম জয়ন্তীতে কুমুদিনী পরিবার এবং মির্জাপুর গ্রামবাসি কুমুদিনী কমপ্লেক্্ের তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ভারতেশ^রী হোমসের সবুজ চত্তরে আয়োজন করা হয় শহীদ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার উপর এবং কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. এর উপর প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন। সন্ধ্যায় ভারতেশ^রী হোমসের ছাত্রীদের অংশ গ্রহনে মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শন হয়। কুমুদিনী পরিবারের সদসস্য ও সুধীজনের উপস্থিতিতে প্রদীপ প্রজ্জলনের আয়োজন ছিল মনোমুগ্ধকর। আলোচনা সভায় কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শ্রী রাজিব প্রসাদ সাহা শহীদ দানবীর আরপি সাহার কর্মময় জীবন এবং কুমুদিনী ট্রাস্টের উপর বিস্তারিত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. এর শিক্ষা পরিচালক ভাষা সৈনিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রতিভা মুৎসুদ্দি, পরিচালক শ্রীমতি সাহা, সম্পা সাহা, কুমুদিনী হাসপাতালেল পরিচারক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, ও কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এম এ হালিম, কুমুদিনী হাসপাতালেল চিকিৎসক, ভারতেশ^রী হোমসের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক মন্ডলী, মির্জাপুর গ্রামবাসি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভারতেশ^রী হোমসের সিনিয়র শিক্ষক কবি ও সাহিত্যিক হেনা সুলতানা জানান, রনদা প্রসাদ সাহা ১৮৯৬ সালে মির্জাপুর গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দেবেন্দ্র পোদ্দার এবং মায়ের নাম কুমুদিনী দেবী। অভাব আর দারিদ্রের মাঝে বড় হয়ে তিনি দ্বিতীয় বিশ^ যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। যুদ্ধের সময় ভারতের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই সুবাদে তিনি ভারতে চলে যান। তার সাহস আর সততার জন্য ঐ ব্যবসায়ী রনদা প্রসাদ সাহাকে তার সম্পত্তির দেখা শোনার দায়িত্ব দেন। এভাবেই তিনি প্রচুর অর্থের মালিক হন। প্রচুর অর্থের মালিক হলেও তিনি সে টাকা নিজের কাজে ব্যয় করেননি। তার সমুদয় সহায় সম্পদ দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য দান করে যান। তিনি সেবার ব্রত নিয়ে দেশ দেশের কল্যাণের জন্য নিজেকে আন্তনিয়োগ করেন। তিনি আর্তমানবতার সেবায় গড়ে তুলেন কুমুদিনী হাসপাতাল, নারী শিক্ষার জন্য ভারতেশ^রী হোমস, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা বিশ^বিদ্যালয়, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল ও কলেজ, নারায়নগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রে কলেজ, টাঙ্গাইল কুমুদিনী মহিলা কলেজ, মির্জাপুর মহাবিদ্যালয় বর্তমানে মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারী কলেজ, মির্জাপুর এস কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় বর্তমানে মির্জাপুর এস কে পাইলট মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের জন্য বিভিন্ন স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠান করেন।
১৯৭১ সালে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রীয় ভাবে অংশ নিয়ে দেশ মার্তৃকার জন্য ঝাপিয়ে পরেন। যুদ্ধের সময় তার সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে বহু নারী পুরুষ আশ্রয় নিয়ে চিকিৎসা সেবা পান। ১৯৭১ সালের ৭ মে এ দেশের কিছু রাজাকার আল বদর বাহিনী ও পাকিস্তানী দোষররা মহান এই মানুষ দানবীর রনদা প্রসাদ সাহা ও তার একমাত্র পুত্র ভবানী প্রসাদ সাহা রবিকে ধরে নিয়ে যায়। আজও তাদের কোন খোঁজ মিলেনি। তার সেবাকর্মের তিনি যুগ যুগ ধরে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন। মহান এই ব্যক্তির ১২৭ তম জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী।
শ্রদ্ধা-ভালবাসায় আরপি সাহাকে স্মরণ ও কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় ১২৭ তম জন্মজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহাকে (আরপি সাহাকে) স্মরণ এবং কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. এর প্রতিষ্ঠা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) তার নিজ গ্রাম টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, তার সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান কুমুদিনী কমপ্লেক্্র, নারী জাগরণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ ভারতেশ^রী হোমস, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল ও বিএসসি নার্সিং কলেজ এবং তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ঢাকা ও নারানগঞ্জে দিন ব্যাপি নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দানবীরের ১২৭ তম জন্ম জয়ন্তীতে কুমুদিনী পরিবার এবং মির্জাপুর গ্রামবাসি কুমুদিনী কমপ্লেক্্ের তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ভারতেশ^রী হোমসের সবুজ চত্তরে আয়োজন করা হয় শহীদ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার উপর এবং কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. এর উপর প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন। সন্ধ্যায় ভারতেশ^রী হোমসের ছাত্রীদের অংশ গ্রহনে মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শন হয়। কুমুদিনী পরিবারের সদসস্য ও সুধীজনের উপস্থিতিতে প্রদীপ প্রজ্জলনের আয়োজন ছিল মনোমুগ্ধকর। আলোচনা সভায় কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শ্রী রাজিব প্রসাদ সাহা শহীদ দানবীর আরপি সাহার কর্মময় জীবন এবং কুমুদিনী ট্রাস্টের উপর বিস্তারিত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. এর শিক্ষা পরিচালক ভাষা সৈনিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রতিভা মুৎসুদ্দি, পরিচালক শ্রীমতি সাহা, সম্পা সাহা, কুমুদিনী হাসপাতালেল পরিচারক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, ও কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এম এ হালিম, কুমুদিনী হাসপাতালেল চিকিৎসক, ভারতেশ^রী হোমসের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক মন্ডলী, মির্জাপুর গ্রামবাসি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভারতেশ^রী হোমসের সিনিয়র শিক্ষক কবি ও সাহিত্যিক হেনা সুলতানা জানান, রনদা প্রসাদ সাহা ১৮৯৬ সালে মির্জাপুর গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দেবেন্দ্র পোদ্দার এবং মায়ের নাম কুমুদিনী দেবী। অভাব আর দারিদ্রের মাঝে বড় হয়ে তিনি দ্বিতীয় বিশ^ যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। যুদ্ধের সময় ভারতের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই সুবাদে তিনি ভারতে চলে যান। তার সাহস আর সততার জন্য ঐ ব্যবসায়ী রনদা প্রসাদ সাহাকে তার সম্পত্তির দেখা শোনার দায়িত্ব দেন। এভাবেই তিনি প্রচুর অর্থের মালিক হন। প্রচুর অর্থের মালিক হলেও তিনি সে টাকা নিজের কাজে ব্যয় করেননি। তার সমুদয় সহায় সম্পদ দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য দান করে যান। তিনি সেবার ব্রত নিয়ে দেশ দেশের কল্যাণের জন্য নিজেকে আন্তনিয়োগ করেন। তিনি আর্তমানবতার সেবায় গড়ে তুলেন কুমুদিনী হাসপাতাল, নারী শিক্ষার জন্য ভারতেশ^রী হোমস, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা বিশ^বিদ্যালয়, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল ও কলেজ, নারায়নগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রে কলেজ, টাঙ্গাইল কুমুদিনী মহিলা কলেজ, মির্জাপুর মহাবিদ্যালয় বর্তমানে মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারী কলেজ, মির্জাপুর এস কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় বর্তমানে মির্জাপুর এস কে পাইলট মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের জন্য বিভিন্ন স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠান করেন।
১৯৭১ সালে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রীয় ভাবে অংশ নিয়ে দেশ মার্তৃকার জন্য ঝাপিয়ে পরেন। যুদ্ধের সময় তার সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে বহু নারী পুরুষ আশ্রয় নিয়ে চিকিৎসা সেবা পান। ১৯৭১ সালের ৭ মে এ দেশের কিছু রাজাকার আল বদর বাহিনী ও পাকিস্তানী দোষররা মহান এই মানুষ দানবীর রনদা প্রসাদ সাহা ও তার একমাত্র পুত্র ভবানী প্রসাদ সাহা রবিকে ধরে নিয়ে যায়। আজও তাদের কোন খোঁজ মিলেনি। তার সেবাকর্মের তিনি যুগ যুগ ধরে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন। মহান এই ব্যক্তির ১২৭ তম জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here