মীর আনোয়ারর হোসেন টুটুল
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৩৬, টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে নৌকার টিকেট পেতে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এক নারী নেত্রীসহ ৯ জন আওয়ামীলীগ নেতা। ৯ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। দলীয় টিকেট নিশ্চিত করতে হ্যাবিওয়েট প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্ধারে দ্ধারে ঘুরছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি এমপি প্রার্থীরা নিজ এলাকায় বিভিন্ন দলীয় ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড ছাড়াও কর্মীসভা, উঠান বৈঠক, খেলাধুলা, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গনসংযোগ করছেন। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পর্যন্ত মির্জাপুর উপজেলায় ৯ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে দলীয় সুত্র নিশ্চিত করেছেন। আগামী বৃহস্পতিবার আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দলীয় প্রার্থী চুড়ান্ত করা হবে বলে দলীয় সুত্র জানিয়েছেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৩৬, টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে নৌকার মাঝি হতে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত ও সাবেক গণপরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা ফজলুর রহমান খান ফারুকের পুত্র বর্তমান সাংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান আহমেদ শুভ, মির্জাপুর উপজেলা আওায়ামীলীগের সভাপতি, মা ফাতেমা স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক ভিপি মীর শরীফ মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও প্রয়াত চার বারের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মো. একাব্বর হোসেনের পুত্র ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, উপজেলা আওায়ামীলীগের সহসভাপতি ও হংকং শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি শিল্পপতি আলহাজ¦ আবুল কালাম আজাদ লিটন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য ও মধুমতি ব্যাংকের স্পন্সর ডাইরেক্টর এবং ইবিএল গ্রুপের চেয়ারম্যান রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি, আওয়ামীলীগ নেতা ও বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক মেজর (অব.) ড. খন্দকার এ হাফিজ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল, বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল এবং বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহবুবা শাহরীন।
টাঙ্গাইলের ৮টি আসনের মধ্যে টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপর নির্বাচনী এলাকা একটি গুরুত্বপুর্ন আসন। এখানে এক সময় জাতীয় পার্টি ও পরে বিএনপি দখলে নিয়ে শাসন চালিয়েছেন। জাপা ও বিএনপির দুর্গ ভেঙ্গে নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এ্ই আসনটি আওয়ামীলীগের দখলে ্আসে। টানা চার বার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. একাব্বর হোসেন। তিনি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নের স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্রিজ-কালভার্ট, রাস্তা-ঘাটসহ প্রতিটি ক্ষেত্র্ইে সুষম উন্নয়ন করেছিলেন। ২০২১ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর উপনির্বাচনে নৌকার টিকেটে এমপি নির্বাচিত হন খান আহমেদ শুভ। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে গত দুই বছরে তিনি প্রতিটি এরাকায় সুষম উন্নয় অব্যহৃত রেখেছেন। দিন রাত জনগন সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাওয়ার দৃর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
এ ব্যাপারের বর্তমান সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার বাবা ফজললুর রহমান কান ফারুক জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক গনপরিষদ সদস্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত। টাঙ্গাইলের আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে তিনিই টিকিয়ে রেখেছেন। এ দলের মধ্যে নেতাকর্মীদের মত বিরোধ থাকলেও ভোটের সময় কারও মতবিরোধ নেই। বর্তমান সরকারের আমলে গত দুই বছরে মির্জাপুরে যে উন্ননয়ন হয়েছে, দেশ স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও তা হয়নি। আমার বিশ্বাস আগামীতে আমি মনোয়ন পেলে মির্জাপুরকে একটি আদর্শ ও মডেল হিসেবে উপহার দিতে পারবো।
মীর শরীফ মাহমুদ বলেন, আমার পরিবারটি মুলত আওয়ামীলীগের। বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের রাজনীতিরি সঙ্গে ৪৪ বছর পার করেছি। কলেজের ভিপি, বিআরডিবির চেয়ারম্যান, দীর্ঘ দিন দলের সাধারন সম্পাদক ও বর্তমানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। তৃণমুলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অত্যান্ত সুসম্পর্ক রয়েছে। আমার বিশ^াস এ বছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ নেত্রী এবং দল আমার কাজের মুল্যায়ন করবেন।
ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত বলেন, আমার বাবা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ একাব্বর হোসেন এই আসনের চার বারের এমপি ছিলেন। আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে তিনি অনেক ত্যাগ ও সংগ্রাম করে নেত্রীকে এই আসনটি উপহার দিয়েছিলেন। এলাকায় তিনি ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। উপজেলা আওয়ামীলীগকে তিনিই সুসংগঠিত করেছেন। বাবার আদর্শকে ধরে রাখতে ও তরুণ হিসেবে দলীয় নেতাকর্মী, সাধারন জনগন এবং ভোটারগন আমাকেই এমপি হিসেবে যাচ্ছেন। আশা করছি দল ও প্রধানমন্ত্রী আমাকেই নৌকার টিকেট দিবেন। দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে শতভাগ আশা করেছেন শিল্পপতি আলহাজ¦ আবুল কালাম আজাদ লিটন, রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি, মেজর (অব.) ড. খন্দকার এ হাফিজ, সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল, খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল এবং মাহবুবা শাহরীন।