মির্জাপুরে ভাতিজার হাতে চাচা খুনের ঘটনায় প্রধান আসামীসহ দুইজন গ্রেফতার

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভাতিজার হাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর সাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক চাচা কাজী আশরাফুল আলম (কাজী আলম) খুনের ঘটনার প্রধান আসামী কাজী কামরুজ্জামান পলাশ (২৯) এবং তার মা কহিনুর বেগম (৫৫) গ্রেফতার হয়েছে। প্রধান আসামী কাজী কামরুজ্জামানকে র‌্যাব-১২ টাঙ্গাইল এর অধিনায়ক মেজর মনজুর মেহেদী ইসলামের নেতৃত্বে ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকা থেকে এবং তার মা কহিনুর বেগমকে কুরনী এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ভাতিজা নিজ বাড়িতে ঢুকে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ও লাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে চাচাকে খুন করেছে বলে কাজী আলমের পরিবার অভিযোগ করেছেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তিন নম্বর ফতেপুর ইউনিয়নের কুরনী গ্রামে এ অমানবিক খুনের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ভাতিজার হাতে খুনের শিকার কাজী আলমের ছেলে কাজী হারিজ জানান, তার চাচা কাজী রফিকুল ইসলাম বাবুলের সঙ্গে বাড়ির সীমানাসহ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ৩০ মার্চ শনিবার বাড়ির সীমানা ও জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে গত রবিবার (৩১ মার্চ) চাচাতো ভাই প্রকৌশলী কাজী কামরুজ্জামান পলাশ বাড়িতে এসে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার বাবাকে হত্যার জন্য মরিচের গুড়া চোখে মুখে ও শরীরে ছিটিয়ে ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার প্রথমে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার (১ এপ্রিল) ভোর রাতে তিনি মারা যান। ঘটনার পর থেকেই কামরুজ্জামান পলাশ পলাতক ছিল। র‌্যাব অভিযান চালিয়ে গতকাল বুধবার তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তার মা কহিনুর বেগমকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার খুনের ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারী কাজী কামরুজ্জামান পলাশকে প্রধান আসামী করে কাজী আলমের পুত্র কাজী আব্দুল্লাহ আল আরিফ বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা হয়। হত্যাকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান পলাশ আগারগাঁও এলজিইিডি অফিসে কর্মরত। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাজী কামরুজ্জামান পলাশসগ জড়িতদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে কাজী আলমের পরিবার।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ওসি মো. রেজাউল করিম বলেন, মামলার পর কাজী আলম খুনের ঘটনায় মামলার পর তদন্তকারী অফিসার নবী হোসেন অভিযান চালিয়ে প্রথমে কহিনুর বেগমকে এবং পুরে র‌্যাব টাঙ্গাইল অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী কামরুজ্জামান পলাশকে গ্রেফতার করেছে। তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here