মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের গায়রাবেতিল এলাকায় বনের ভিতরে একটি গ্রামে চোলাই মদ তৈরীর কারখানা ও বাড়িঘর ঘেরাও করে চার নারী মাদক কারবারিকে ধরে সেনাবাহিনী ও পুলিশে সোপর্দ করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি। আজ রোবরার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। আটককৃতরা মাদকারবারিরা হচ্ছে গায়রাবেতিল গ্রামের মহেন্দ্র মান্দাইয়ের তিন কন্যা কমলা রানী, সন্ধ্যা রানী ও গীতা রানী এবং সুভাষ মান্দাইয়ের কন্যা দিপালী রানী। অপর মাদককারবারি অনিল মান্দাইয়ের কন্যা সোনিয়া রানী, যুঁথি রানী এবং স্বপন মান্দাইয়ের কন্যা রত্না রানী পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসি ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে নাইম, সাব্বিরসহ একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বাঁশতৈল ইউনিয়নের নয়াপাড়া, গায়রাবেতিল, বংশীনগর, পেকুয়া, মোতারচালা, বালিয়াজান এবং আজাগানা ইউনিয়নের হাটুভাঙ্গা পলাশতলী, আজগানা ও খাটিয়ারঘাট এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে চোলাই মদ তৈরী হয়ে আসছে। এলাকার একটি সিন্ডিকেট চক্র মান্দাই সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষদের ব্যবহার করে চোলাই মদ তৈরী করে লাখ রাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া এসব এলাকায় গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা বিক্রি হয় নিয়মিত বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে এই দুটি ইউনিয়নে চুরি, ডাকাতি ছিনতাই, গরু চুরিসহ আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবন্ধ এবং শিক্ষার্থীরা গায়রাবেতিল এলাকায় মাদক নির্মুলের জন্য বিভিন্ন ভাবে অভিযানে নামে। আজ রোববার গায়রাবেতিল গ্রামের অনিল ও মহেন্দ্র মান্দাইয়ের বাড়িসহ কয়েকটি বাড়ি ঘেরাও করে বাংলা ও চোলাই মদ তৈরীর কারখানায় হানা দিয়ে সাত নারী মাদক কারবারিকে আটক করে। এ সময় ঐ এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারগন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে চার নারী মাদক কারবারিকে তাদের হাতে তুলে দেন এলাকাবাসি।
এ ব্যাপারে বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ হেলাল দেওয়ান বলেন, কয়েকজন নারী মাদক কারবারিকে ধরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার মো. নাজিউর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় নারী মাদকবারিদের আনা হয়নি। এছাড়া লিখিত কোন অভিযোগ হয়নি। লিখিত াভিযোগ হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।