মির্জাপুরে স্বর্ন ব্যবসায়ীকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপন চেয়ে বাড়িতে চিঠি.নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
স্বপন কর্মকার (৪৫) নামে এক স্বর্ন ব্যবসায়ীর নিকট ১০ লাখ টাকা মুক্তিপন চেয়ে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা তার বাড়িতে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা তাকে ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ করা না হলে তার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। চিঠি পাওয়ার পর পুরো পরিবারটি ভেঙ্গে পরেছে। নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে অবশেষে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আট নম্বর ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বরাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্বর্ন ব্যবসায়ী স্বপন কর্মকার এই প্রতিনিধির কাছে এ চিত্র তুলে ধরেন। স্বপন কর্মকার জানান তার পিতার নাম সম্বল কর্মকার। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে বরাটী বাজারে স্বর্নের দোকান ও ব্যবসা করেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা তার বাড়িতে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপন চেয়ে চিঠি দেয়। চিঠি পেয়ে তিনি হতভম্ব হয়ে পরেন। চিঠিতে ১০ লাখ টাকার পাশাপাশি বাড়িতে তামা কাসা ও স্বর্নাংকার যা আছে সব দিতে হবে বলে উল্লেখ করেছেব। ৭ দিনের মধ্যে ১০ লাখ টাকাসহ মালামাল না পেলে তার বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিবে বরে হুমকি দেয়। চিঠি পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পরেন। ঘটনাটি তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বরসহ গন্যমান্য মাতাব্বরদের জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা তার বাড়িতে রাতের আধাঁরে আগুন দিয়েছে। স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে এলেও পুড়ে গেছে তার বসত ঘর। পালিয়ে যায় চক্রের সদস্যরা। এর পর থেকে তিনি আরও ভেঙ্গে পরেছেন। নিরুপায় হয়ে তিনি নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনার ৭ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক জিয়াউর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য তার বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তাসহ অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহমা¥দ ইউনুস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাসহ প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে ওসি (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ পাওয়ার জন্য জিয়াউর রহমান নামে মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক জিয়াউর রহমান ঘটনার তদন্ত করছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবারটির যাতে নিরাপত্তার কোন ঘাটতি না হয় সেজন্য পুলিশ প্রশাসন থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here