মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাতিজা রুবেল খানের হাতে তার চাচা রিয়াজ খান (৪৫) খুন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খুনের ঘটনায় মুল হোতা ভাতিজা রুবেল খান পালিয়ে গেলেও পুলিশ রুবেল খানের বাবা ছানোয়ার খান, মা মমতা বেগম ও স্ত্রী আখি আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। অপর দিকে বাইকেল কিনে না দেওয়ায় মা-বাবার সঙ্গে অভিমান করে রাফিন (৯) নামে দ্দিতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। আজ রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের আজগানা গ্রামে এই খুনের ঘটনা এবং পৌরসভার বাওয়ারকুমারজানি গ্রামে আত্নহত্যার এ ঘটেছে।
জানা গেছে, বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে বিরোধ চরে আসছিল। আজ রবিবার সীমানা নিয়ে চাচা রিয়াজ খান (৪৫) এবং ভাতিজা রুবেল খানের (৩২) মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে রুবেলের হাতে হাতে লাঠিসোঠা নিয়ে চাচা রিয়াজ খানের উপর হামলা চালায়। বাড়ির লোকজন ও আশপাশের লোকজন রিয়াজ খানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করলে রাস্তায় রিয়াজ খান মারা যান। খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রুবেল খানের বাবা ছানোয়ার খান, মা মমতা বেগম ও স্ত্রী আখি আক্তারকে আটক করেছে। মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো সালাহ উদ্দিন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে পৌরসভার বাওয়ারকুমারজানি গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে রাফিন বেশ কিছু দিন ধরে বাবা-মায়ের কাছে একটি বাইসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য বায়না ধরেছিল। বাইকেল কিনে না দেওয়ায় রাফিন বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আজ রবিবার নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। রাফিন দেওহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। নিহতের লাশ আইনী প্রক্রিয়া শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন রাতে গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার উিউটি অফিসার মো. রাহাত বলেন, ঝাতিজার হাতে চাচা খুনের ঘটনায় মামরা প্রক্রিয়াধীন। দ্বিতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় আইনী প্রক্রিয়া শেষে তার স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।