মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পৌরসভার আট নং ওয়ার্ডের সাহাপাড়া, বণিকপাড়া, সুত্রধরপাড়া ও ঘোষপাড়ায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘ দিনের জলাবদ্ধতায় ৩০-৩৫ পরিবারের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারনে এ বছর শারদীয় দূর্গাপূজাও উদযাপন করতে পারছেন না বলে ভুক্তভোগি পরিবারগুলো অভিযোগ করেছেন। আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) মির্জাপুর পৌরসভার আট নং ওয়ার্ডের সাহাপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে জলাবদ্ধতার কারনে পরিবারগুলো বাসাবাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না।
আজ শনিবার সাহাপাড়া ও বণিকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ঔষধ ব্যবসায়ী সমির বণিক, রাজিব বণিক, গৌতম বণিক, গোপাল বণিক, দিলীপ চক্রবর্তী ও জয়দেব বণিকসহ ২০-২৫ জন নারী পুরুষ অভিযোগ করেন, পৌরসভার আট নং ওয়ার্ড দীর্ঘ দিন ধরে অবহেলিত। প্রতি বছর পৌরসভার আয়কর বাড়ানো হলেও নাগরিক সুবিধা বলতে তেমন কিছুই হয়নি। সাহাপাড়া, বণিকপাড়া, সুত্রধরপাড়া ও ঘোষপাড়ায় পানি এবং পয়নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা আজও হয়নি। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাট ও বাসাবাড়ির উঠানে কখনো হাটুপানি ও কখনো কোমর পানি পর্যন্ত জমে যায়। মির্জাপুর সাহাপাড়া নদীর ঘাট থেকে সরিষাদাইর পর্যন্ত প্রধান রাস্তায় পাকা ড্রেন নির্মান করা হলেও বাসাবাড়ি থেকে ড্রেন উচু হওয়ায় ড্রেনের ময়লা এবং পানি এখন বাসা বাড়িতে প্রবেশ করছে। এতে করে চরম বিপাকে পরেছেন ৩০-৩৫ পরিবার। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য এই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রিপন চক্রবর্তী, তাপস সাহা, মহিলা কাউন্সিলর চন্দনা দে এবং পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুর রহমান সহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মোশারফ হোসেন মনি, সালমা আক্তার শিমুল ও প্রয়াত মেয়র সাহাদত হোসেন সুমনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। তাদের সে আবেদন আজও আলোর মুখ দেখেনি। আজ পর্যন্তও তাদের ড্রেন নির্মান করা হয়নি। আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজায় এ বছল এই কয়েকটি পাড়ায় আনন্দমীয় যুবসংঘ, ঘোষপাড়া যুবসংঘ, নেতাজি সংঘসহ ১০-১২ টি পূজামন্ডপ তৈরী করা হচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারনে তাদের সকল আনন্দ উৎসব মাটি হতে চলছে। জলাবদ্ধতার কারনে তারা বাসবাড়ি থেকে বের হতেই পারছে না। ফলে তাদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। জিলাবদ্ধা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরসনের জন্য পৌরসভার প্রশসকসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট তারা জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে িেমর্জাপুর পৌরসভার প্রশাসক ও মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মাসুদুর রহমান বলেন, পৌরসভার আট নং ওয়ার্ডের সাহাপাড়া, বণিকপাড়া, সুত্রধরপাড়া ও ঘোষপাড়ায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতায় ৩০-৩৫ পরিবার দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছেন বলে জানতে পেরেছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।