মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
একুশে পদকপ্রাপ্ত, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক (৮৯) মারা গেছেন (ইন্না নিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন)। আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সারে নয়টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারনে টাঙ্গাইল শহরের নিজ বাসায় তিনি মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার ০৭ নং ওয়ার্শি ইউনিয়নের কহেলা গ্রামে। বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদের প্রয়ানে তার নিজ জন্মস্থান মির্জাপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরলে অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।
মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. সালাউদ্দিন আহমেদ বাবর, পৌরসভার সাবেক মেয়র বীল মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. মোশারফ হোসেন মনি জানান, ফজলুর রহমান খান ফারুক ১৯৪৪ সালের ১২ অক্টোবর ০৭ নং ওয়ার্শি ইউনিয়নের কহেলা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম আব্দুল হালিম খান এবং স্ত্রীর নাম সুরাইয়া বেগম। তিনি মির্জাপুরের কহেলা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণীর পাসের পর টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে ১৯৬০ সালে মেট্রিকুলেশন, ১৯৬৩ সালে সরকারি সাদত বিশ^বিদ্যালয় কলেজ থেকে আই. কম, ১৯৬৫ সালে জগন্মাত বিশ^বিদ্যালয় কলেজ থেকে বি এ পাশ করেন। ১৯৬৭-১৯৭৮ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে মাস্টার্স পাশ করেন। ১৯৬০ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬২ সালে টাঙ্গাইল মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে তৎকালিন পুর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে গণ পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহন সহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন ফজলুর রহমান খান ফারুক। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরের সাটিয়াচড়ায় সম্মুখ যুদ্ধে তিনি অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন। তিনি ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের ১১ নং সেক্টরের সর্বাধিনায়ক। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রার্থী হয়ে টাঙ্গাইল-০৭ (মির্জাপুর) আসনের এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে বাকশাল গঠিত হলে টাঙ্গাইল জেলা বাকশাল এর যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নিতনি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ২০১৭ থেকে অদ্যবর্তি পর্যন্ত তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে তিনি একুশে পদক পান। তিনি মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজ, মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ওয়ার্শি উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাপুর প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্যসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। টাঙ্গাইলের রাজনীতি, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়াঙ্গনেও ছিল তার অগ্রণী ভুমিকা। একাধারে তিনি রাজনীতিবিদ, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ বহু প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। মহান এই ব্যক্তির মৃত্যুতে টাঙ্গাইলসহ মির্জাপুরবাসি শোকাহত। বাদ আসর টাঙ্গাইল গোরস্থান জামিয়া ইসলামিয়া দারুস-সুন্নাহ মাদ্রাসা মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে ঐ মাদ্রাসার গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তার একমাত্র পুত্র খান আহমেদ শুভ টাঙ্গাইল-০৭ (মির্জাপুর) আসনের দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য।
ফজলুর রহমান খান ফারুকের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল বিডি লিমিটেড এর শিক্ষা পরিচালক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রতিভা মুৎসুদ্দি, ব্যাবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুর রহমান সহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলকসহ সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ গবীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের ইন্তেকাল
সৌরভ কে আর্থিক সহযোগিতা করলেন মানবসেবা ফাউন্ডেশন
শামীম মিয়া
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে লিভার ক্যান্সার আক্রান্ত মোহাম্মদ সৌরভ মিয়াকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে আর্থিক সহযোগিতা করলেন মানবসেবা ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।শুক্রবার সকাল প্রায় ১১ টার দিকে মানবসেবা ফাউন্ডেশনের সদস্যরা তার বাড়িতে গিয়ে এই আর্থিক সহযোগিতা করেন।
উপজেলার হালুয়াপাড়া গ্রামের মো.ফরমান মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ সৌরভ মিয়া।সে বর্তমানে এনায়েতপুর হসপিটালে ভর্তি আছেন বলে জানায় তার পরিবার।
সে সময় উপস্থিত ছিলেন মানবসেবা ফাউন্ডেশন,সভাপতি মো.রুবেল হাসান,সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন ফারুক,সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকী,সহ-সভাপতি সোহেল তাজ,সহ-সভাপতি জালাল কাজী,সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিলনসহ সৌরভের পরিবারের সদস্য ও ঐ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তি।
লিভার ক্যান্সার আক্রান্ত মোহাম্মদ সৌরভ মিয়ার চিকিৎসার জন্য দেশ ও বিদেশের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সাহায্যের আকুল আবেদন জানিয়েছেন তার পরিবার।সাহায্য পাঠাতে পারেন,মো.রুবেল হাসান বিকাশ পার্সোনাল নম্বর-01768-767600।।
মির্জাপুরে বাড়িঘর উচ্ছেদ ও জমি দখলের জন্য শারীরিক প্রতিবন্ধি ও তার স্ত্রীর হামলা
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ এবং জমি দখলের জন্য শারীরিক প্রতিবন্ধি পলাশ রায় ওরফে রানা ৯৫০) ও তার স্ত্রী রিতা রানী রায় (৪৫) উপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বাগজান গ্রামে এ অমানবিক ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসি জানায়, বাগজান গ্রামের সুশান্ত কুমার রায়ের ছেলে সজীব রায় রাজুর সঙ্গে শারীরিক প্রতিবন্ধি পলাশ রায় রানার সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে আজ বুধবার সকালে সজীব রায় রাজু ও তার স্ত্রী মায়া রায় মিলে শারীরিক প্রতিবন্ধি পলাশ রায় রানা ও তার স্ত্রী রিতা রানী রায়কে বাড়িঘর উচ্ছেদসহ জমি দখলের জন্য বাড়িতে গিয়ে ধারালো অস্্র ও লাঠিসোঠা দিয়ে হামলা চালায়। হামলায় প্রতিবন্ধি পলাশ রায় ও তার স্ত্রীর মাথা ও শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত হয়। আশপাশের লোকজন আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে জামুর্কি সরকারি হাসপাতারে ভর্তি করেছে।
এ ব্যাপারে গুরুতর আহত প্রতিবন্ধি পলাশ রায় রানা ও তার স্ত্রী রিতা রায় অভিযোগ করেন, আমাদের ছেলে সন্তান না থাকায় ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ ও জমি দখলের জন্য সজীব রায় রাজু ও তার স্ত্রী মায়া রায়সহ তাদের লোকজন দীর্ঘ দিন ধরে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ইতিপুর্বেও একাধিকবার হামলা করেছে। কোন বিচার পাইনি। আজ বুধবার আবার তাদের হত্যার চেষ্টা করে। কোন রকমে প্রাণে বেঁচে গেলেও এখন মেরে ফেলার হুুমি দেওয়ায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। জীবনের নিরাপত্তাসহ বাড়িঘর রক্ষার জন্য তারা মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অসহায় পরিবারটি সজীব রায় রাজুকে গ্রেফতারসহ ন্যায় বিচার দাবী করেছেন।
এ ব্যাপারে সজীব রায় রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চাচাতো ভাই পলাশ রায় রানার সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে আজ বুধবার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তাকেও মারপিট করা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, আহত পলাশ রায় রানা বাদী হয়ে সজীব রায় রাজু ও তার স্ত্রী মায়া রানীকে আসামী করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মির্জাপুরে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৩ জন, শতভাগ পাস ৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৩ জন শিক্ষার্থী। শতভাগ পাস করেছে ০৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শতভাগ পাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, ভারতেশ^রী হোমস, আলহাজ¦ শফিউদ্দিন মিঞা এন্ড একাব্বর হোসেন টেকনিক্যাল কলেজ, নতুন কহেলা কলেজ, গ্রাম বাংলা বিজনেজ ম্যানেজমেন্ট এন্ড টেকনিক্যাল কলেজ এবং বানিয়ারা বাবুল উলুম সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসা। আজ মঙ্গলবার মির্জাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার প্রবীর কুমার চৌধুরী এ তথ্য জানান। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছর মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ২ হাজার ৭৪১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। এর মধ্যে পাস করেছে ০১ হাজার ৭৮৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৩ জন। মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজ থেকে ২৩ জন, রাজাবাড়ি কলেজ থেকে ১৩ জন, নতুন কহেলা কলেজ থেকে ০১ জন, ভারতেশ^রী হোমস থেকে ২৮ এবং মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে ৪৮ জন মোট ১১৩ জন গোল্ডেনসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে। মির্জাপুর উপজেলায় এ বছর পাসের হার ৬৫ দশমিক ২৭।
অপর দিকে বিজনেজ ম্যানেজমেন্ট থেকে আলহাজ¦ শফিউদ্দিন মিঞা এন্ড একাব্বর হোসেন টেকনিক্যাল কলেজ থেকে ৭১ জন, নতুন কহেলা কলেজ থেকে ৮২ জন এবং গ্রাম বাংলা বিজনেজ ম্যানেজমেন্ট এন্ড টেকনিক্যাল কলেজ থেকে ৮০ জন এবং বানিয়ারা বাবুল উলুম সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৩১ জনসহ ২৬৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে সবাই পাস করেছে।
এদিকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় মির্জাপুর উপজেলায় ০৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস এবং ১১৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ায় তাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন, সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম, এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান, মির্জাপুর থানার াফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম।
এইচএসসি পরীক্ষায় মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে ৪৮ জনে ৪৬ জনই গোল্ডেন জিপিএ-৫
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ইংরেজী ভার্ষনে ৫৬ তম ব্যাচ থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ সেরা ফলাফল অর্জন করেছে। ৫৬ তম ব্যাচ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৪৮ জন ক্যাডেট এইচএসসি পরীক্ষায় ইংরেজী ভার্ষনে অংশ গ্রহন করে ৪৬ জনই গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ৪৬ জন ক্যাডেট গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়ায় এবং সেরা ফলাফল অর্জন করায় ক্যাডেট কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা এবং আনন্দ দেখা দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা গেছে উৎসাহ উদ্দীপনা। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ধারাবাহিক ভাবে সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞা ও সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল রিয়াজ আহমেদ চৌধুরী পিবিজিএম, পিএসসিসহ শিক্ষক মন্ডলী।
আজ মঙ্গলবার মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের এ্যাডজুট্যান্টসহ শিক্ষকমন্ডলীগন জানান, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ একটি অনন্য ও স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৬২ সালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন মনোরম পরিবেশে বিশাল এলাকা নিয়ে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষা গ্রহনের পাশাপাশি দেশ প্রেমের উদ্ধুদ্ব হয়ে ক্যাডেটদের নিয়ম-শৃঙ্খলা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চাসহ আদর্শ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। ক্যাডেট কলেজের পরিচালনা পরিষদ, কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক মন্ডলী, অভিভাবক এবং ক্যাডেটদের অক্লান্ত শ্রমের ফলেই প্রতি বছর জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ইংরেজী ভার্ষনে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলোরে মধ্যে মেধা তালিকায় স্থান দখল করে আসছে। এ বছরও এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফল সন্তোষ জনক হয়েছে।
এ ব্যাপারে ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল রিয়াজ আহমেদ চৌধরী পিবিজিএম, পিএসসিসহ বলেন, জ্ঞানই শিক্ত, বিদ্যাই বল এই শ্লোগানে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠিত। সেনা সদরের দিক নির্দেশনা, অধ্যক্ষের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান, বিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলীর ঐক্যান্তিক প্রয়াস, সু-সৃঙ্খল পরিবেশ, অভিভাবককবৃন্দের নিয়মিত অনুপ্রেরনাও ক্যাডেটদের কঠোর অনুশীলনের সমন্মিত রুপায়ন হচ্ছে এ অনন্য সাফর্য। এছা বিগত দিনেও সকলের সার্বিক সহযোগিতা ভাল ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের সুনাম যেন দেশে ও বিদেশে ছড়িয়ে পরে সে জন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
অপর দিকে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ সেরাফলাফল অর্জন ও শতভাগ জিপিএ-৫ পাওয়ায় তাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক, পুলিশ সুপার সাইফলু ইসলাম সানতু পিপিএম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষকা অফিসার নেবেকা সুলতানা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম, এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম।
মির্জাপুরে মন্ডপ পরিদর্মনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধূরী বলেছেন, রংধনুর দেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এ দেশ দ্বিতীয় বার স্বাধীন হয়েছে। আওয়ামীলীগকে দায়ী করে তিনি বলেন, ১৭ বছর তারা এ দেশকে কারাগার বানিয়ে রেখেছিল। সাধারণ জনগনের কোন মতামত ছিল না। এ দেশে খুন, গুম, অন্যায়-অত্যাচার, ধর্ষণ আর চাঁদাবাজি ছিল তাদের প্রধান টার্গেট। সবাইকে নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ন নির্বাচনের মাধ্যমে এ দেশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায়ই এখন বিএনপির মুল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য । তিনি আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শহীদ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা (আর পি সাহার) গ্রামের বাড়িতে পূজামন্ডপ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সঙ্গে এসব কথা বলেন। রাতে তিনি কুমুদিনী কমপ্লেক্্ের এসে পৌছালে কুমুদিনী পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং টাঙ্গাইল জেরা ও মির্জাপুর উপজেলার বিএনপি ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, ঢাবির মহসীন হলেল সাবেক জিএস ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ সোহরাব, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারন সম্পাদক এড. ফরহাদ ইকবাল, মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড আব্দুর রউফ, সাধারন সম্পাদক খন্দকার সালাউদ্দিন আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম শফিকুল ইসরাম ফরিদ, আলম মৃর্দা, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক এস এম মহসীন ও সভাপতি হযরত আলী মিঞা প্রমুখ।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধূরী কুমুদিনী কমপ্লেক্রোর বিভিন্ন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখে মির্জাপুর সাহাপাড়া গ্রামে শহীদ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার বাড়িতে পূজামন্ডপ পরিদর্শন ও ভারতেশ^রী হোমসের ছাত্রীদের অংশ গ্রহনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এ সময় কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি.) লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা, পরিচালক প্রতিভা মুৎসুদ্দি, সম্পা সাহা, শ্রীমতি সাহা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম, এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, জেনারেল ম্যানেজার অনিমেশ ভৌমিক লিটন, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. এম এ হালিম, ভারতেশ^রী হোমসের প্রিন্সিপাল মন্দিরা চৌধরী, নার্সিং স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল সিস্টার রীনা ক্রুস, মেট্রন সিস্টার দীপালী পেরেরা ও ভাইস প্রিসিন্সপাল সিস্টার শেফালী সরকার সহ কুমুদিনী পরিবারের সদস্যগন।
মির্জাপুরে পূজামন্ডপ ও কুমুদিনী কমপ্লেক্্র পরিদর্শনে প্রধান বিচারপতি
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচার পতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন আমাদের কাজ ও কর্মের মাধ্যমে এ দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। তিনি আরও বলেন, কে জামিন পেল আর কে জামিন পেল না এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। দেশে বিচার বিভাগ স্বাধীন ভাবে কাজ করবে এটাই আমাদের প্রত্যয়। তিনি বলেন শহীদ দানবীর আরপি সাহা ছিলেন একজন সমাজ সেবক। তার কৃতকর্মের জন্য তিনি যুগযুগ ধরে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। তিনি আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শহীদ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা (আর পি সাহার) গ্রামের বাড়িতে পূজামন্ডপ ও কুমুদিনী কমপ্লেক্্র পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ সথা বলেন। বিকেলে তিনি কুমুদিনী কমপ্লেক্্ের এসে পৌছালে কুমুদিনী পরিবারের সদস্যবৃন্দ, টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহাম্মদ নাজিমুদৌল্লাহ, জেলা প্রশাসক শরীফা হক চিঢ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শাহরিয়ার খান এবং পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানজু পিপিএম তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর তিনি কুমুদিনী কমপ্লেক্্েরর লাইব্রেরী মিলনায়তনে চা চক্রে মিলিত হন। এরপর তিনি কুমুদিনী কমপ্লেক্রোর বিভিন্ন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখে মির্জাপুর সাহাপাড়া গ্রামে শহীদ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার বাড়িতে পূজামন্ডপ পরিদর্শন ও ভারতেশ^রী হোমসের ছাত্রীদের অংশ গ্রহনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এ সময় কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি.) লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা, পরিচালক প্রতিভা মুৎসুদ্দি, সম্পা সাহা, শ্রীমতি সাহা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম, এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, জেনারেল ম্যানেজার অনিমেশ ভৌমিক লিটন, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. এম এ হালিম, ভারতেশ^রী হোমসের প্রিন্সিপাল মন্দিরা চৌধরী, নার্সিং স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল সিস্টার রীনা ক্রুস, মেট্রন সিস্টার দীপালী পেরেরা ও ভাইস প্রিসিন্সপাল সিস্টার শেফালী সরকার সহ কুমুদিনী পরিবারের সদস্যগন।
এর আগে বিশ^ ব্যাংকের ক্যান্টিডিরেক্টর মি. আবদুলাহে সেক এবং মিসেস হাজজা সাতে সেক, বাংাদেশে নিযুক্ত এসডাব্লিউ এসএসসের ডেপুটি হেড অব মিশন মিস কোরিনি হেনসস পিগনানি, সুইডেনেরে ডেপুটি হেড অব মিশন মিস ম্যারিয়া স্টেসম্যান, বৃটিশ হাইকশিনার মি. জেমস গোল্ডম্যান, কনসোলেট অব স্লোব রিপাবলিক অব লিথুনিয়ার পেরুুর মিসেস নায়ামিয়া আলী, সারা আলী, মিরান আলী, মিসাল আলী, ব্যাজিলের এ্যাম্বাসি পোলো প্যারেনডো ডিয়াস ফেরাজ এন্ড মিসেস ইলানি আলক্যান্টা ফেরাজ, নেপালের এ্যাম্বাসি মিসেস ইয়ানো বামজান, এভার কেয়ার হাসপাতালের ডা. মেরিনাল সরকার এবং মিসেস অমিতা, ওসানের মিসেস ব্রাউনহিডলি ডেসক্যাম্প,বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯৮ কম্পোজিট ব্রিগ্রেড বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মামুনুর রশিদ, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মো. মাহফুজ আনাম এবং তার স্ত্রী শাহিন আনাম, হলি সি এ্যাম্বাসি (নানসিও) কিভেন আর র্যান্ডডিল প্রমুখ।
মির্জাপুরে পূজামন্ডপ পরিদর্শনে পুলিশ সুপার
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সনজু। গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন। প্রথমে তিনি বানাইল ইউনিয়নের ভুসুন্ডি মন্ডপ পরিদর্শনে যান। এরপর মির্জাপুর উপজেলা সদরের কালিবাড়ি রোডে শ্রী শ্রী কালিমাতার মন্দিরের পূজামন্ডপ কুমুদিনী কমপ্লেক্্েরর মির্জাপুর গ্রাম এবং বাইমহাটি মন্ডপ পরিদর্শন করেন। এ সময় মির্জাপুর থানার অপিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন, ওসি তদন্ত সালাউদ্দিন, উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম, মন্ডপ কমিটির সদস্য, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক প্রমথেস গোষ্মামী সংকর, পৌরবিএনপির সাধারন সম্পাদক এস এম মহসীন, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম, লাভলু সিদ্দিকী, এড গোলাম মোস্তফা, নজরুর ইসলাম, ইমরান সিদ্দিকী, রমজান আলী, দেওয়ান ফজলু, তারিকুল ইসলাম ও জুয়েলা মিয়া প্রমুখ।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন বলেন, প্রতিটি মন্ডপে সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ন ভাবে পুজা উদযাপনের লক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য প্রস্তুত রয়েছে। পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নের বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ সুশিল সমাজের প্রতিনিধিগন সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এ জন্য জেলা পুলিশ সুপার, ডিসিসহ উপজেলা প্রশাসন এবং থানা পুলিশ প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে প্রস্তুত রয়েছে।
মির্জাপুরে পূজামন্ডপ ও কুমুদিনী কমপ্লেক্্র পরিদর্শনে বিশ^ ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শহীদ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা (আর পি সাহার) গ্রামের বাড়িতে পূজামন্ডপ ও কুমুদিনী কমপ্লেক্্র পরিদর্শনে এসেছিলেন বিশ^ ব্যাংকের ক্যান্টিডিরেক্টরসহ বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত। আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত তারা কুমুদিনী কমপ্লেক্্র এবং পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন। তাদের স্বাগত জানান কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি.) লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা, পচিালক সম্পা সাহা, শ্রীমতি সাহাসহ কুমুদিনী পরিবারের সদস্যগন।
কুমুদিনী হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার অনিমেশ ভৌমিক লিটন ও পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় জানান, কুমুদিনী পরিবারের আমন্ত্রণে অতিথিগন আরপি সাহার মির্জাপুর গ্রামের বাড়িতে দৃষ্টিনন্দন পূজামন্ডপ এবং কুমুদিনী কমপ্লেক্্েরর বিভিন্ন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। পূজামন্ডপে উপভোগ করেন ভারতেকশ^রী হোমসের ছাত্রীদের অংশ গ্রহনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অতিথিদের মধ্যে এসেছিলেন বিশ^ ব্যাংকের ক্যান্টিডিরেক্টর মি. আবদুলাহে সেক এবং মিসেস হাজজা সাতে সেক, বাংাদেশে নিযুক্ত এসডাব্লিউ এসএসসের ডেপুটি হেড অব মিশন মিস কোরিনি হেনসস পিগনানি, সুইডেনেরে ডেপুটি হেড অব মিশন মিস ম্যারিয়া স্টেসম্যান, বৃটিশ হাইকশিনার মি. জেমস গোল্ডম্যান, কনসোলেট অব স্লোব রিপাবলিক অব লিথুনিয়ার পেরুুর মিসেস নায়ামিয়া আলী, সারা আলী, মিরান আলী, মিসাল আলী, ব্যাজিলের এ্যাম্বাসি পোলো প্যারেনডো ডিয়াস ফেরাজ এন্ড মিসেস ইলানি আলক্যান্টা ফেরাজ, নেপালের এ্যাম্বাসি মিসেস ইয়ানো বামজান, এভার কেয়ার হাসপাতালের ডা. মেরিনাল সরকার এবং মিসেস অমিতা, ওসানের মিসেস ব্রাউনহিডলি ডেসক্যাম্প,বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯৮ কম্পোজিট ব্রিগ্রেড বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মামুনুর রশিদ, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মো. মাহফুজ আনাম এবং তার স্ত্রী শাহিন আনাম, হলি সি এ্যাম্বাসি (নানসিও) কিভেন আর র্যান্ডডিল প্রমুখ। এছাড়া এসেছিলেণ টাঙ্গাইলের জেরা প্রশাসক শরীফা হক, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামস সনতু পিপিএম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম, এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান সহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগন।
মির্জাপুরে সাবেক এমপি কালাম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মন্ডপে মন্ডপে পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মন্ডপে মন্ডপে বিএনপির নেতাকর্মীরা পরিদর্শনের পর আর্থিক সহায়তা প্রদান করছেন। প্রতিটি পূজামন্ডপে সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ন ভাবে শারদীয়া দূর্গাপূজা সম্পন্ন করার লক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীরা মন্ডপ পরিদর্শনসহ সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। ফলে এ বছর সনাতন ধর্মের লোকজন নির্বিগ্নে শারদীয়া পূজা উদযাপন করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) মির্জাপুর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিকাশ গোষ্মামী এবং সাধারণ সম্পাদক প্রমথেস গোষ্মামী সংকর জানান, এ বছর মির্জাপুর পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নে ২১২ মন্ডপে উৎসব মুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন হচ্ছে। প্রতিটি মন্ডপে সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ন ভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষে সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা পরিদর্শনের পর আর্থিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছেন। বিগত সময়ে তারা এমন নিরাপত্তা পাননি। এ বছর প্রতিটি মন্ডপে উপজেলা প্রশাসন, বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা ব্যাপক নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী বলেন, এ দেশে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বলতে কোন শব্দ নেই। আমার প্রথম পরিচয় আমি বাঙ্গালি। সবাই মিলেমিশে থাকবো এটাই বড় পরিচয়। আমাদের দলের বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মীর্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের দিক নির্দেশনায় মির্জাপুরে প্রতিটি মন্ডপে স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা দিনরাত পরিদর্শন করে যাচ্ছে। মির্জাপুর পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নের ্রপতিটি মন্ডপে সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ন ভাবে পূজা উদযাপন হচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে আর্থিক সহায়তা। তার সঙ্গে মন্ডপ পরির্দশন করছেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এ জি এস ডি এম শফিকুল ইসলাম ফরিদ, মো. আলম মৃধা, সহসভাপতি আলী এজাজ খান চৌধুরী রুবেল, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সালাউদ্দিন আরিফ, ভাপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রউফ মিয়া, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম মহসীন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. আব্দুল কাদের মিয়া, বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার আনোয়ার পারভেজ শাহআলম ও নুর মোহাম্মদ, ওয়াজেদ মৃধা, আজিজ রেজাসহ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিকদল ও স্বেচ্ছাবক দলের নেতৃবৃন্দ।