নিজস্ব প্রতিবেদক
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ওয়ার্শি ইউনিয়নের চন্দনতারা গ্রামের বাসিন্দা ও মস্তমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি এবং ধামরাই উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের নিকলা জনতা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আওলাদ হোসেন ফিরোজ (৫৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না নিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন)।
তার পারিবারিক সুত্র জানায়, গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে তিনি মারা যান। আজ মঙ্গলবার নিকলা জনতা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম নামাজে জানাজা এবং মস্তমাপুর ঈদগা মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে মির্জাপুর ও ধামরাই উপজেলার শিক্ষক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মির্জাপুরে প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেনের ইন্তেকাল
মির্জাপুরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসুচী
নিজস্ব প্রতিবেদক
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসুচীতে কয়েক শতাধিক রোগী বিনা মুল্যে চিকিৎসা সেবাসহ ঔষধপত্র পেয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগি সংগঠন আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) মির্জাপুর বাইপাস এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্ধোধন করেন বিএনপির জাতয়ি নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী। হালিম আধুনিক হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. উজ্জল হোসেন, ডা. শাজাহান ও ডা. আশিফুর রহমান মজুদারসহ একদল চিকিৎসক মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করেন। এ সময় জেলা বিএনপির নেতা মো. আব্দুর কাদের মিয়া, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আব্দুর রউফ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সালউদ্দিন আরিফ, সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. আলী এজাজ খান চৌধুরী রুবেল, যুগ্ম সম্পাদক দেওয়ান শওকত আকবর, সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান শফিকুল ইসলাম ফরিদ, মো. আলম মৃধা, বিএনপি নেতা আহাজারুল ইসলাম আজাহার, পৌর বিœেপির সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. জুলহাস মিয়া, বর্তমান সাধারন সম্পাদক এস এম মহসীন, আলতাব মিয়া, শ্রমিকদলের নেতা কুব্বত আলী মৃধা, যুবদলের আহবায়ক গোলাম মোস্তফা জীবন, সদস্য সচিব ও ইউপি চেয়ারম্যান ডি এ মতিন, যুবদলের নেতা আজিজ রেজা, ফরিদ মিয়া, হাসান সিদ্দিকী ও তমাল মৃধা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীরা বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবাসহ ঔষধপত্র পেয়েছে বলে বিএনপি ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।
মির্জাপুরে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার (২৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে কেন্দ্রীয শহীদ মিনার চত্বরে এই মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মোহসীন হলের ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস মো. সাঈদুর রহমান সাইদ সোহরাব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি পৌর বিএনপির সভাপতি হজরত আলী মিঞা, লতীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন রনি, পৌর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি খন্দকার মোবারক হোসেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক দুলাল মিয়া প্রমুখ।
মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করেন ডা. হাফিজুর রহমান। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শতাধিক রোগী স্বাস্থ্য সেবা নিয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলা ও পৌর যুবদল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করে।
মির্জাপুরে নিখোঁজের এক দিন পর এসএসসি পরীক্ষার্থী বাঁধনের লাশ উদ্ধার
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিখোঁজের এক দিন পর এসএসসি পরীক্ষার্থী বাঁধন সরকার (১৬) লাল উদ্ধার হয়েছে। আজ শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের গাজেশ^রী গ্রামের একটি কাঁঠাল গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাঁধনকে কি খুন করা হয়েছে না সে নিজেই আত্নহত্যা করেছে বিষয়টি রহস্য জনক।
জানা গেছে, বাঁধন সরকারের পিতার নাম বাবু লাল সরকার। গ্রামের বাড়ি তরফপুর ইউনিয়নের গাজেশ^রী গ্রামে। বাঁধন এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে পাথরঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র এবং নির্বাচনী পরীক্ষা দিচ্ছে। তার পিতা বাবু লাল সরকার জানান, গতকাল শুক্রবার থেকে বাঁধন হঠাৎ করে নিখোঁজ ছিল। বিভিন্ন জায়গা এবং আত্বীয়-স্বজনদের বাড়ি খোঁজ খবর নেওয়ার পরও তার কোন সন্ধান মিলেনি। আজ শনিবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন বাড়ির পাশে একটি কাঁঠাল গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুঁলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখে আমাদের খবর দেয়। পরে বিষয়টি মির্জাপুর থানা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। বাঁধন কি আত্নহত্যা করেছে না কেউ তাকে হত্যা করে লাশ জুঁলিয়ে রেখেছে বিষয়টি তিনি সঠিক করে কিছুই বলতে পারছেন না। এ ব্যাপারে তিনি মির্জাপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দুলাল আকন্দ বলেন, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। ময়না তদন্তের পর লাম তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার পিতা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মির্জাপুরে গুলিতে অন্ধ স্কুল ছাত্র হিমেল পৃথিবীর আলো দেখতে চায় মানবেতর জীবন
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে দুটি চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুল ছাত্র হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান হিমেল (১৭) আবার পৃথিবীর আলো দেখতে চায়। অভাব অনটনের সংসারে হিমেলের চিকিৎসা করাতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছে পরিবারটি। এখন পর্যন্ত সরকারী ভাবে পায়নি কোন আর্থিক সহযোগিতা। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ১০ নং গোড়াই ইউনিয়নের গোড়াই লালবাড়ি গ্রামে হিমেলের বাড়ি। আজ শনিবার (২৬ অক্টোবর) হিমেলের বাড়িতে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে পরিবারটি করুন চিত্র। ছেলেকে চিকিৎসা করাতে না পেরে তার মা নাসিমা বেগম চোখের পানি ফেলছেন। একই অবস্থা বড় ভাই জনি ও বৃদ্ধা দাদী পরিভানুর।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, হিমেলের পিতার নাম আফাজ উদ্দিন। মা নাসিমা বেগম। হিমেল ও তার বড় ভাই জনিকে রেখে তার বাবা আফাজ উদ্দিন মাকে ফেলে চলে গেছে অনেক আগেই। দরিদ্র ও অসহায় নাসিমা বেগম বাড়ি বাড়ি কাজ করে দুই ছেলেকে আগলে ধরে বাপের ভিটায় কোন রকমে পরে আছেন। কোন দিন খেয়ে আবার কোন দিন না খেয়ে চলে তাদের সংসার। হিমেল গোড়াই উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। পাশাপাশি ভ্যান গাড়ি চালায়। গত ৪ আগস্ট তার পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার। কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই সোহাগপাড়া এলাকায় পুলিশের সঙ্গে মুখোমুখি গুলাগুলি শুরু হলে হিমেলের মাথায় ও চোখে গুলি এসে লাগে। রাস্তায় আর্তনাত করতে থাকে হিমেল। সন্ধার দিকে স্থানীয় লোকজন হিমেলকে রাস্তার পাশে পরে থাকতে দেখে উদ্ধার করে তার মাকে খবর দেয়। তাকে প্রথমে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসার উন্নিতি না হওয়ায় পরের দিন চিকিৎসকগন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকগন তাকে আবার সিএসএইচ হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে আবার জাতীয় চক্ষু ইন্সটিটিউট হাসতালে পাঠান। চিকিৎসকগন পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর তার পরিবারকে জানিয়ে দিয়েছেন গুলিতে তার দুটি চোখই অন্ধ হয়ে গেছে। তার দুটি চোখের আলো ফিরিয়ে আনতে হলে অন্ততপক্ষে ১৫-২০ লাখ টাকার প্রয়োজন। এত অর্থ কোথায় পাবে এই চিন্তায় পরিবারটি এখন দিশেহারা। এখন পর্যন্ত সরকারী ভাবে পায়নি কোন ক্ষতিপুরন। গত আড়াই মাস ধরে পরিবারটি বিভিন্ন জনের কাছে ছোটাছুটি করছে হিমেলকে বাঁচানোর জন্য।
এ ব্যাপারে অন্ধ স্কুল ছাত্র হিমেল জানায়, আমার তো কোন দোষ ছিল না। আমি গরীব পরিবারের সন্তান। পুলিশ অন্যায় ভাবে আমার উপর গুলি ছুড়েছে। পুলিশের গুলিতে দুটি চোখ হারিয়েছি। আমি প্রথিবীর আলো দেখতে চাই। আমি বাঁচতে চাই। তার মা নাসিমা বেগম, বড় ভাই জনি এবং বৃদ্ধা দাদী পরিভানু এই প্রতিনিধিকের কাছে বুকফাঁটা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমরা অসহায় ও অতিদরিদ্র পরিবার। বাড়ি বাড়ি কাজ করে জীবন চালাই। এখন হিমেলকে নিয়ে আমরা কোথায় যাবো কিছুই বুছতে পারছি না। অর্থের অভাবে চিকিৎসা এখন বন্ধ। যা ছিল তাকে চিকিৎসা ও বাঁচাতে সবই শেষ হয়ে গেছে। আমরা অন্তবর্তীকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টামন্ডলীর সকল সদস্যসহ দেশ ও বিদেশে বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চাই। হিমেলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের ঠিকানা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সোহাগপাড়া বাজারের দক্ষিন দিকে গোড়াই ইউনিয়নের গোড়াই লালবাড়ি। মোবাইল ও বিকাশ নম্বর ০১৮৩০-৮৭২৯০৬।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হিমেলের পরিবারটি খুবই অসহায় ও দরিদ্র। ঘটনার পর তার কার্যালয় থেকে হিমেলের পরিবারকে আর্থিক ভাবে কিছু সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। সরকারি কোন অনুদান এলে আবার তাকে সহযোগিতা করা হবে।
শ^শুর বাড়িতে ছাত্রদল নেতার রহস্যজনক মৃত্যু বাবার উপর হামলা, পরিবারের দাবী পরিকল্পিত ভাবে হত্যা
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
শ^শুর বাড়িতে জাহাঙ্গীর আলম (২৫) নামে ছাত্রদলের নেতার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক। জাহাঙ্গীরের পরিবারের দাবী শ^শুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা করেছে। মৃত্যুর কারন জানতে চাইলে তার শ^শুর ও লোকজন মিলে জাহাঙ্গীর আলমের বাবা এবং পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়েছে। জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে।
আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মোশারফ হোসেন সাকিল আহমেদ জানান, জাহাঙ্গীরের পিতার নাম আমজাদ হোসেন। জাহাঙ্গীর বাঁশতৈল মো. খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজের ছাত্র। ন¤্র ও ভদ্র ছেলে হিসেবে এলাকায় সুপরিচিত ছিল। তার পরিবার বিএনপি ও জাহাঙ্গীর আলম ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর ¯েœহ ও আস্থাভাজন ছিল। গত চার মাস পুর্বে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মেদি খালপার নামাসুলাই গ্রামের মামাতো বোন শিফার সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয়। শিফার বাবার নাম সালাউদ্দিন মিয়া। শিফা ও জাহাঙ্গীরের মধ্যে প্রেম করে বিয়ে হলেও দুই পরিবারের মধ্যে তেমন বনিবনা ছিল না। দুই পরবিারের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো বলে অভিযোগ রয়েছে। জাহাঙ্গীরের পিতা আমজাদ হোসেন অভিযোগ করেন গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সুস্থ্য সবল জাহাঙ্গীর শ^শুর বাড়িতে যায়। সকালে শ^শুর বাড়ি থেকে খবর আসে রাতে তার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের লোকজন নিয়ে তার শ^শুর বাড়ি কালিয়াকৈর উপজেলার মেদি খালপার নামাসুলাই গ্রামে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। মৃত্যুর কারন জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরের শ^শুর সালাউদ্দিন ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালায়। জাহাঙ্গীরের বাবা আমজাদ হোসেন, তার সহপাঠী এবং এলাকাবাসির অভিযোগ শ^শুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিত ভাবে জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যা করেছে। বিষয়টি সন্দেহ জনক হলে মির্জাপুর ও কালিয়াকৈর থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে ময়না তদন্তের জন্য জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে জাহাঙ্গীর আলমের হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন তার বাবা আমজাদ হোসেন।
এ ব্যাপারে জাহঙ্গীরের শ^শুর সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে খাবর পর জাহাঙ্গীর ঘুমাতে যায়্ হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে রাতেই মারা যায়। তাকে হত্যা করা হয়নি বলে তিনি দাবী করেন। বিভিন্ন অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ রিয়াদ মাহমুদ পিপিএম সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রদলের নেতা জাহাঙ্গীর আলমের শ^শুর বাড়িতে রহস্য জনক মতৃ্যু হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। তার বাবা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ময়ন তদন্ত রিপোর্ট এবং অভিযোগ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলমের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়াসসহ তার পরিবারের উপর গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রউফ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সালাউদ্দিন আরিফ, যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার আনোয়ার পারভেজ শাহআলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম শফিকুল ইসলাম ফরিদ ও আলম মৃধা।
মির্জাপুরে হত্যা মামলার আসামী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানকে অতিথি করায় ওয়াজ মাহফিল পন্ড
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সোহাগপাড়া এলাকায় একজন হত্যা মামলার আসামী এবং অপরজন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এই দুই আওয়ামীলীগ নেতাকে অনুষ্ঠানে অতিথি করায় দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্ধ ও সংঘর্ষের আশংকায় দুই দিন ব্যাপি ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ। আজ শুক্রবার এবং আগামীকাল শনিবার ওয়াজ ও দোয়া মহাফিল হওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহর্তে এসে সভা পন্ড হওয়ায় এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি এবং দুই গ্রুপের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সোহাগপাড়া এলাকায় খোঁজ নিয়ে ও মুসুল্লিদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। সোহাগপাড়া এলাকার মুসুল্লিগন জানান, সোহাগপাড়া বাজার জামে মসজিদ ও মাদ্রাসাতুত ত্বাকওয়ার উদ্যোগে প্রতি বছর ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর এলাকার মুসুল্লিগন ২৫ ও ২৬ অক্টোবর রোজ শুক্রবার ও শনিবার ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। মাহফিলের প্রথম দিন দবির উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু হানিফকে। প্রধান বক্তা করা হয় ক্বারী শুয়াইব আহম্মেদ আশরাফীকে এবং দ্বিতীয় বক্তা করা হয় মুফফতি মুতাসিম বিল্লাহ আতিকীকে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি করা হয় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার আনোয়ার পারভেজ শাহআলম এবং সহিদুর রহমানসহ আরও ১০-১২ জনকে। দ্বিতীয় দিন আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি করা হয় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মীর এনায়েত হোসেন মন্টুকে। প্রধান বক্তা করা হয় মুফতি হেদায়েত উল্লাহ আজাদীকে এবং দ্বিতীয় বক্তা করা হয় নুরুল আমীন আল ফরিদীকে। বিশেষ অতিথি করা হয় ১০ নং গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং কোটা সংস্কার ষৈম্যবিরোধী আন্দোলনের কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলার আসামী আলহাজ¦ হুমায়ুন কবীরকে। এছাড়া অনুষ্ঠানে আবুল হাসেম ও সোহরাব হোসেন বাদশাসহ ১০-১২ জনকে অতিথি করা হয়।
এদিকে ওয়াজ মাহফিলে হত্যা মামলার আসামী এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানসহ আওয়ামীলীগ নেতাদের নাম দিয়ে অতিথি ও পোষ্টার করায় এলাকায় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদলসহ সাধারন লোকজনের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। অনুস্ঠান বন্ধ রাখার জন্য এলাকার পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং মির্জাপুর থানার ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগ আসায় ওসি ও ইউএনও এায়াজক কমিটির সদস্যদের ঢেকে এনে অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্ধ এবং সংঘর্ষের আশংকায় উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দুই দিন ব্যাপি ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে পন্ড হয়ে যায় ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান।
এ ব্যাপারে সোহাগপাড়া বাজার জামে মসজিদ ও মাদ্রাসাতুত ত্বাকওয়ার সভাপতি মো. ফারুক হোসেন সিকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে অতিথি নিয়ে দ্বন্ধ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসির) নিকট এলাকার কিছু লোকজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলার যাতে কোন অবনতি না ঘটে সে জন্য প্রশাসন ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করার নির্দেশ নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল নিয়ে এলাকার পক্ষ থেকে অভিযোগ আসায় আয়োজক কমিটির সঙ্গে কথা বলে ওয়াজ মাহফিল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
মির্জাপুরে দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে তিন দিন ব্যাপি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সমাপনী দিনে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়েছে। আজ বুধবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিজয়ীদের মাঝে অতিথিবৃন্দ এ পুরষ্কার তুলে দেন। উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. মফিজুর রহমান স্বপন এর সভাপপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মাসুদুর রহমান, দুর্নীতি দমন কমিশন টাঙ্গাইলের সহকারী পরিচারক মো. রবিউল ইসলাম, মির্জাপুর উপজেরা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসরাম এবং একাডেমিক সুপার ভাইজার প্রবীর কুমার চৌধূরী।
গত ২১ অক্টোবর সোমবার থেকে উপজেরা পরিষদ মিলানয়তনে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে বিতর্ক প্রতিযোগিা শুরু হয়। আজ বুধবার ছিল সমাপনী অনুষ্ঠান। প্রথম হয়েছে মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং দ্বিতীয় হয়েছে রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়।
মির্জাপুরে সুইসাইড নোট লিখে নববধু কলেজ ছাত্রীর আত্নহত্যা
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
এই পৃথিবীতে আমি খুবই ক্লান্ত, সবাইকে মুক্তি দিলাম আজ। ভালবাসি সবাইকে, তবে মরার আগে দুঃখ একটাই রয়ে গেল, কেউ আমাকে বুঝলো না। আমি বুঝতে পারছি যে, আমার আর বেঁচে থাকার কোন ইচ্ছে বা প্রয়োজন নেই। মনের গহীনে জমানো বিভিন্ন কষ্টের কথা সুইসাইড নোটে লিখে (কাগজে লিখে) আত্নহত্যা করেছে অর্পনা রাজবংশী মনি নামে নববধু এক কলেজ ছাত্রী। মাত্র সাত মাস আগে তার বিয়ে হয়েছিল। মনির আত্নহত্যার পর থেকেই স্বামী সজল রাজবংশী পলাতক। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরের পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। এটা কি আত্নহত্যা না মনিকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। মনির এই আত্নহত্যার ঘটনা তার সহপাটী, পরিবার ও এরাকাবাসি কেউ মেনে নিতে পারছে না।
আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) মির্জাপুর পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তাপস সাহা এবং মনির প্রতিবেশী লতিফুর রহমান জানান, অর্পনা রাজবংশী মনির পিতার নাম ভরত রাজবংশী। বাড়ি পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া মাঝিপাড়া গ্রামে। মনি মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। মনির অসহায় পিতা ভরত রাজবংশী এবং বড় বোন বিমলা রাজবংশীসহ বাড়ির লোকজন অভিযোগ করেন, সাত মাস পুর্বে অর্পনা রাজবংশী মনির বিয়ে হয় সাভার উপজেলার শৈলমাসিন গ্রামের সজল রাজবংশীর সঙ্গে। স্বামী সজল রাজবংশী সাভার ও ঢাকায় স্বর্নের ব্যবসা করতো বলে তারা জানায়। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন মনির উপর নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতন চালাত্।ো এক পর্যায়ে বাবা মায়ের সঙ্গে পরামর্শ করে মনির বড় বোন বিমলা রাজবংশী তাকে মির্জাপুর সাহাপাড়া গ্রামের ডা. প্রদীপ কুমার রায়ের বাড়িতে নিচতলায় বাসা ভাড়া করে দেন। এখানে থেকেই মনি কলেজে পড়াশোনা করতো। মনি পড়াশোনা করুক এটা তার স্বামী সজল রাজবংশী এবং তার পরিবার ভাল চোখে দেখতেন না। এ নিয়ে মনির উপর নানা ভাবে নির্যাতন করতো বলে তারা অভিযোগ করেন। প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মনির পরিবারকে হত্যার হুমকি দিতো।
এদিকে গতকাল সোমবার রাতে স্বামী ও তার পরিবারের অত্যাচার নির্যাতনের কথা এবং জীবনের বিভিন্ন দিক সুইসাইড নোটে লিখে মনি ভাড়া বাসায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। আশপাশের লোকজন ঘটনা জানতে পেরে মির্জাপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। আজ মঙ্গলবার ময়না তদন্ত শেষে রাতে মনির লাশ সাহাপাড়া কেন্দ্রীয় স্মশানে দাহ্য করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মনির পিতা বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। মনির অসহায় পরিবার, সহপাঠী,ও এলাকাবাসি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার বদিউর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মির্জাপুরে তিন দিন ব্যাপি বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে তিন দিন ব্যাপি বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রথম দিনে উপজেলার মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাপুর এস কে পাইলট সরাকরি উচ্চ বিদ্যালয়, রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, রানাশাল উচ্চ বিদ্যালয়, বানিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়, জামুর্কি নবাব স্যার আব্দুল গণি উচ্চ বিদ্যালয়, ড. আয়েশা রাজিয়া খোন্দকার উচ্চ বিদ্যালয় এবং টাঙ্গাইল কটন মিলস উচ্চ বিদ্যালয় এই আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় আংশ গ্রহণ করে। তীব্র প্রতিদ্বন্ধিতার মধ্যে এতে মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, রানাশাল উচ্চ বিদ্যালয় এবং বানিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় চারটি প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয় রাউন্ডে উন্নিত হয়েছে। আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ্রপেিতাযগা এবং পুরষ্কার বিতরন বলে উপজেরা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সবাপতি মো. মফিজুর রহমান স্বপন এবং সাধারন সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন।
এদিকে বিচারক ও মডারেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেরা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার ভাইজার প্রবীর কুমার চৌধূরী, সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. এমরান হোসেন ও পরিসংখ্যান অফিসারসহ কয়েকজন কর্মকর্তা।