মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে অচেতন অবস্থায় বন্ধিদশা থেকে এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত পাঁচ দিন ঐ কিশোরী বন্ধি দশায় ছিল। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাহিদা বেগম (৪৩) নামে গৃহবধুকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে বিচার তাকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের বিল্লাল মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। কিশোরীকে তার বাবার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মির্জাপুর থানা পুলিশ জানায়, আটক গৃহবধুর স্বামীর নাম বিল্লাল হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি উত্তর বঙ্গে হলেও মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলে কাজের সুবাদে আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামে বাড়ি করে বসবাস করেন। উদ্ধারকৃত কিশোরীর বাড়িও একই এলাকায়। গত ১০ সেপ্টেম্বর ঐ কিশোরী সাহিদা বেগমের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সাহিদা বেগম কৌশলে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। নানা প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে কোমল পানীয় জলের সাঙ্গ নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে অচেতন করে বন্ধি রাখে। এভাবে কেটে যায় চার দিন।
আজগানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদের সিকদারসহ এলাকার লোকজন অভিযোগ করেছেন, আটক সাহিদা বেগমের মুল পেশাই হচ্ছে তার বাড়িতে বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সের তরুনী ও কিশোরীদের এনে অনৈতিক ভাবে যৌন কাজ করা। ভয়ে এতদিন কেউ মুখ ভুলেনি। পুলিশ সাহিদা বেগমের বাড়ি থেকে যৌন উত্তেজক বিভিন্ন ঔষধের খোসা উদ্ধার করেছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সাহিদা বেগমের বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল কয়েকজন শ্রমিক। কৌশলে কিশোরী বের হয়ে তাদের ঘটনা বলে। পরে শ্রমিকরা তার বাবাকে খবর দিলে তিনি জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার এবং বাড়ির মালিক সাহিদা বেগমকে আটক করে। পরে সাহিদা বেগমকে মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুলেল আদালতে হাজির করেন। ঘটনার সতত্যা পেয়ে বিচারক তাকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, কিশোরীকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত গৃহবধু সাহিদা বেগমকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।