মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভাইরাস জনিত চোখ ওঠা রোগের সংক্রমন ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় চোখের ড্রপের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। দুই থেকে তিন গুন দামেও ঔষধ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই সুযোগে একটি চক্র চোখের ড্রপের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। চোখ ওঠা রোগ নিয়ে চরম বিপাকে পরেছেন শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন। বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে দুচিন্তায় অভিভাবকগন। আজ রবিবার (৯ অক্টোবর) উপজেলা সদরের বিভিন্ন ঔষধের দোকানে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে চোখের ড্রপের তীব্র সংকট।
জানা গেছে, গত ১০-১৫ দিন ধরে হঠাৎ করেই ভাইরাস জনিত কারনে চোখ ওঠা রোগের সংক্রমন বেড়ে যায়। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে প্রথমে এই রোগ প্রভাব বিস্তার করে। এরপর আস্তে আস্তে বড়দের মধ্যে ছড়িয়ে পরে। মির্জাপুর উপজেলা সদরসহ পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে এখন প্রধান রোগ হয়ে দাড়িয়েছে চোখ ওঠা। চিকিৎসকগন জানেিয়ছেন, আবহাওয়া ও সিজনের পরিবর্তনের কারনেই এই রোগ দেখা দিয়েছে। এছাড়া রয়েছে সচেতনতার অভাব।
এদিকে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে চোখের ড্রপের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দুই থেকে তিন গুন দামে বিক্রি করছে। চোখের ড্রপের মধ্যে রয়েছে আইভেন্টি,অপটিমাস, ফ্রকজালন, মক্্িরব্যাগ, মক্্িরগ্রাম, টিমাইসিন, মক্্িরজেন, মক্্রকুয়েন, কিলজেন, অক্্রাইসিম, ফ্লোমাক্্র, মক্্িরভিন, মক্্িরলুসিনসহ বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর ড্রপ। কয়েকজন রোগীর সঙ্গে কথা বলে তারা অভিযোগ করেন, আগেচোখ ওঠা ড্রপের দাম ছিল কোম্পানী ভেদে ৩০-৫০ টাকা। এখন সেই ড্রপ বিক্রি করছে ৬০-১২ টাকায়। তাও পাওয়া যাচ্ছে না। ঔষধ ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন কোম্পানী রিপ্রেজেনট্রেওটিপ চক্র সিন্ডিকেট করে ঔষধের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বাজারে সরকারী কর্মকর্তাদের মনিটরিংয়ের ব্যবস।তা না থাকায় সাধারন মানুষ একদিকে যেমন অর্থ ব্যায় করছে, অপর দিকে লাভবান হচ্ছে সিন্ডিকেট চক্র। বিষয়টির দিকে নজর দেওয়ার জন্য তারা জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আবহাওয়া ও সিজন পরিবর্তন এবং জনজাংটিভাইটিস ভাইরাসের কারনে চোখ ওঠা রোগ ছড়িয়ে পরেছে। তবে আতংক হওয়ার কিছু নেই। এই ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে তিন থেকে পাঁচ দিন বা সর্বোচ্চ সাত দিন থাকতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চোখের ঔষধ ড্রপ বা প্যারাসিটামল দেওয়ার জন্য তিনি সবাইকে পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া কিছু অসাধু চক্র বাজারে ঔষধের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে লাভবান হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী বলে তিনি মনে করেন।