মির্জাপুরে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করোনার টিকা পাচ্ছে প্রাথমিকের ৬০ হাজার শিশু

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে করোনার টিকা পাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্টেন ও এবতেদায়ী মাদ্রাসার (৫-১১) বছর বয়েসের ৬০ হাজার শিশু। তাদের ফাইজারের টিকা (ব্যাকসিন) দেওয়া হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিভিন্ন বিদ্যালয়ে টিকাদান কর্মসুচীর আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করা হয়েছে। সকালে উপজেলার জামুর্কি ইউনিয়নের পাকুল্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিকাদান কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফরিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্টেন ও এবতেদায়ী মাদ্রাসা মিলে (৫-১১) বছর বয়েসের প্রায় ৬০ হাজার শিশু এ কার্যক্রমের আওতায় টিকা (ভ্যাকসিন) পাচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্র জানায়, মির্জাপুর পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নের ১৭০ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কিন্ডার গার্টেনের প্রায় ৬০ হাজার শিশু যাদের বয়স (৫-১১) বছর তারা টিকা পাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) থেকে টিকাদান কেন্দ্রে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১৩ দিন চলবে এই টিকাদন কার্যক্রম। মির্জাপুর পৌরসভা, মহেড়া, জামুর্কি, ফতেপুর, বানাইল, আনাইতারা, ওয়ার্শি, ভাতগ্রাম, ভাওড়া, বহুরিয়া, লতিফপুর, গোড়াই, আজগানা, তরফপুর এবং বাঁশতৈল ইউনিয়নের বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল নয়টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত শিশুদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার গোড়াইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাকুল্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাটিয়াচড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আগধল্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, শিশুরা লাইনে দাড়িয়ে আগ্রহ নিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ন পরিবেশে টিকা নিচ্ছে। কয়েকজন অভিভাবক বলেন, বর্তমান সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়, শিশুদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝূঁকি এড়াতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন এটা একটি মহতী উদ্যোগ। আমরা সরকার ও মন্ত্রনালয়কে ধন্যবাদ জানাই। প্রতিটি বিদ্যালয়ে অভিভাবকগন আগ্রহ নিয়ে শিশুদের নিয়ে এসে টিকা নিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক এবং স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ও মাঠ কর্মীরা আন্তরিকতার সঙ্গে শিশুদের টিকান কর্মসুচীতে কাজ করে যাচ্ছেন। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা রাখা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here