মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরেআজাগানা ইউনিয়নের হাটুভাঙ্গা এলাকার বেলতৈল গ্রামে চাঞ্চল্যকর আনোয়ারা বেগম খুনের ঘটনার দুই পর দ্বিতীয় স্বামী মুয়াজ মিয়াকে ঘাটাইল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পিতার নাম মৃত মফিজ মন্ডল। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাত আটটার দিকে তাকে গ্রেফতার কার হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম জহির নিশ্চিত করেছেন। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন ঘটনাস্তল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ জানায়, আনোয়ারা বেগমের তার পিতার নাম মো. মকবুল হোসেন। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার সৈয়দগ্রাম। ১১ বছর আগে তার বিয়ে হয়েছিল। আনোয়ারা বেগমের প্রথম স্বামীর নাম পলাশ মিয়া। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ঐ ঘরে আসিফ নামে পুত্র সন্তান হলে পারিবারিক ঝামেলায় ছাড়াছাড়ি হয়। পুত্র আসিফের বয়স এখন (৭) বছর। পরিবারের অভাব অনটনের মধ্যে দু,মুঠো ভাতের জন্য সন্তান নিয়ে গোড়াই শিল্পাঞ্চলে পোষাক কারখানা এবং হাটুভাঙ্গা এলাকায় বিভিন্ন মিলে শ্রমিকের কাজ করতো। গত কোরবানী ঈদের সময় চিতেশ^রী এলাকার নুরজাহান বেগম নামে এক ঘটকের মাধ্যমে মুয়াজ নামে এক যুবকের সঙ্গে তার বোন আনোয়ারার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। দ্বিতীয় বিয়ের পর হাটুভাঙ্গা বেলতৈল গ্রামে শহিদ মিয়ার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো। গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাতের খাবার খেয়ে স্বাস্বী ও সন্তান নিয়ে বাসায় ঘুমিয়ে পরে। পারিবারিক কলহের জের ধরে রাতের কোন এক সময় তার বোন আনোয়ারা বেগমকে নির্মম ভাবে খুন হয়। খুনের পর লাশ ঘরের মেঝেতে রেখে ঘাতক পালিয়ে যায়। সারা রাত মায়ের লাশের পাশে বসে ৭ বছরের শিশুপুত্র আসিফ কাঁদছিল। গত বুধবার সকালে শিশুর কাঁন্নার শব্দ পেয়ে বাড়ির মালিক শহিদের স্ত্রী দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন মেঝেতে তার বোন আনোয়ারা বেগমের লাশ পড়ে আছে। ঘটনার পর থেকেই দ্বিতীয় স্বামী পালিয়ে যায়। আনোয়ারা বেগমের ভাই আবুল হোসেন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকেই দ্বিতীয় স্বামী মুয়াজকে গ্রেফতারে মাঠে নামেন পুলিশের কয়েকটি ইউনিট। অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার পুলিশ অফিসার ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (উপ পরিদর্শক) মো. জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পর তার পরিবারের কাচে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুনের াভিযোগে দ্বিতীয় স্বামী মুয়াজকে গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, আনোয়ারা বেগম হত্যার অভিযোগে তার দ্বিতীয় স্বামী মুয়াজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে হত্যার মুল রহস্য উৎঘাটান হবে।