মির্জাপুরে নদীর চর দখল করে ইটভাটা

0
118

মো.সাজজাত হোসেন
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় প্রভাবশালী মহল নদী দখল করে অবৈধভাবে সাতটি ইটভাটা গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে নদীর গতিপথ পরিবর্তন ছাড়াও নদীর প্রশস্থতা ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। বছরের পর বছর এভাবে ইটভাটা চললেও প্রশাসন নির্বিকার । সেই সঙ্গে সরকার প্রতিবছর বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ভাটাগুলো হলো এসবিএম, এইচবিএম, কেইউবি, , এবিএম, কেবিএম, এসবিসি ও হাজী ব্রিকস ।

জানা গেছে, উপজেলার আজাগানা ইউনিয়নের বংশাই নদীর বেলতৈল ও চিতেশ্বরী এলাকায় বংশাই নদীর চর জেগে উঠলে গত প্রায় এক যুগ ধরে সেখানে সাতটি ইটভাটা স্থাপন করে বহাল তবিয়তে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে বংশাই নদীর ওপর নির্মিত হাটুভাঙ্গা ব্রিজের পশ্চিম পাশে এবং পূর্বপাশে নদীর উপর ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। হাটুভাঙ্গা ব্রিজের পশ্চিম পাশে স্থাপিত হাজী ব্রিকস ও এবিএম ইটভাটা দু’টির চিমনি রেকর্ডিয় জমিতে নির্মিত হলেও ইট তৈরি, শুকানো, মাটির স্তুপ নদীর চর দখল করে রাখা হচ্ছে।

এইসব ভাটার নদীর চর দখল পরিচালনার নেতৃত্ব দিচ্ছে আজগানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোক্তার আলী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো.মঞ্জুরুল কাদের বাবুল ।

এতে সাতটি ভাটা আনুমানিক দশ একর নদীর চর দখল করে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এতে ঐতিহ্যবাহী বংশাই নদীর ওই এলাকায় প্রশস্থতা কমে যাচ্ছে। এভাবে নদীর চর দখল হতে থাকলে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে নদীর নাব্যতা হারিয়ে যাবে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন।
উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো.মঞ্জুরুল কাদের বাবুল ও আজগানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোক্তার আলী জানান, ভাটার উত্তরপাশে নদীর কিছু জমি থাকতে পারে বলে তারা স্বীকার করেন। নদীগুলোতে পলি পড়ে এমনিতে ভরাট হয়ে গেছে। সেই মাটি কেটে ভাটায় নেওয়া হচ্ছে। নদীর পলি অপসারিত হচ্ছে। এতে বরং নদীতে পানির প্রবাহ বাড়ছে। ভাটার কাজে ট্রাক ব্যবহার করা হয়। সড়কের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না বলেও তারা দাবি করেন।

মির্জাপুর থানার ওসি মাসুদ করিম বলেন, ইটভাটা বন্ধ করার ক্ষমতা তাঁদের নেই। প্রশাসন ডাকলে অবশ্যই তাঁরা যাবেন।

মির্জাপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, নদীর বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড দেখে থাকেন । নদ-নদী এ দেশের জাতীয় সম্পদ। যারা নদী ও তার আশপাশ দখল করে অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here