মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
প্রায় ১৭ লাখ টাকা ব্যায়ে উপজেলার পৌরসভার মির্জাপুর পুরাতন বাস স্টেশন সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মান করা হয়েছে। আগামীকাল ১৫ ফেব্রুয়ারী বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করবেন সাবেক গণপরিষদ সদস্য টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুর রহমান খান ফারুক। এ সময় খান আহমেদ শুভ এমপি, পৌর সভার মেয়র সালমা আক্তার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান ও এসিল্যান্ড মো. আমিনুল ইসরাম বুলবুলসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগন উপস্থিত থাকবেন। এর আগে উপজেলা পরিষদ চত্তরে একটি শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ অর্জন নির্মান করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসন সুত্র জানায়, স্বাধীনতার ৫২ বছর পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ২১ ফেব্রুয়ারীর আগেই একটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ১৪ ইউনিয়নে ১৭ শহীদ মিনার উদ্ধোধন করা হচ্ছে। প্রায় কোটি টাকা ব্যায়ে এসব শহীদ মিনার নির্মান হয়েছে। খান আহমেদ শুভ এমপি এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর দিক নির্দেশনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় এবং উপজেলা প্রকৌশল অফিসার মো. আশরাফুজ্জানের তত্বাবধানে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই শহীদ মিনার নির্মান করা হয়েছে বলে এসিল্যান্ড মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানিয়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হায়দার মির্জাপুর এস কে পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, দেওহাটা এ জে উচ্চ বিদ্যালয়, সিয়াম একাডেমিসহ ১৪ ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে ১৭ শহীদ মিনার নির্মান করা হয়েছে। ইতিমদ্যে এগুলোর নির্মান শেষ হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারীর আগেই প্রতিটি শহীদ মিনার উদ্ধোধন করা হচ্ছে।
এদিকে গতকাল সোমবার খান আহমেদ শুভ এমপি সিয়াম একাডেমি, বানাইল ও আনাইতারা ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে নবনির্মিত শহীদ মিনার আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেছেন। এ সময় মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালে মাসুদ করিম, বানাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, আনাইতারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ওয়ার্শি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম মল্লিক হুরমহল প্রমুখ। আজ মঙ্গলবার বহুরিয়া ইউনিয়নে একটি শহীদ মিনার উদ্ধোধন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে খান আহমেদ শুভ এমপি বরেন, দীর্ঘ দিন পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে শহীদ মিনার নির্মান হওয়ায় শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। জানতে পারবেন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতহাস। মুক্তিযুদ্ধ বিজরিত মির্জাপুরের প্রতিটি এলাকায় পর্যায়ক্রমে শহীদ মিনার ও সম্মৃতি স্তম্ভ নির্মান করা হবে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে সকল ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।