বিশেষ প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সরকারী রাস্তার নির্মান কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে সাব ঠিকাদার বাবুল আখতার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হচ্ছে যুবলীগ নেতা নিশাত ও ছাত্রলীগ নেতা অভি সিদ্দিকী, দেওয়ান নজরুল এবং মাহিম খান নাফিজ। এদের সবার বাড়ি গোড়াই শিল্পাঞ্চলে। আজ মঙ্গলবার ( ১০ অক্টোবর) মির্জাপুর থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। গতকাল সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলের গোড়াই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গোড়াই মীরপাড়া আশরাফ খানের বাড়ি হইতে তোফাজ্জল হোসেনের বাড়ি পর্যন্ত এবং গোড়াই মেইন রোড হতে শওকত হোসেন ফালুর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পাকা করনের কাজ পেয়েছেন ফিউচার কন্সট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের সাব ঠিকাদার হলেন বাবুল আখতার। গতকাল সোমবার তিনি রাস্তার জন্য পিচ ঢালাইয়ের কাজ করতে গেলে যুবলীগ নেতা নিশাত, অভি সিদ্দিকী, দেওয়ান নজরুল এবং মাহিম ঠিকাদার ও তার লোকজন নির্মান কাজে বাঁধা দিয়ে গালিগালাজ, মারপিট ও হুমকি প্রদান করে এবং কাজ বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ করেন। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পরেন ঠিকাদার। এ নিয়ে ঠিকাদারের লোকজনদের আতংক দেখা দেয়। বাধ্য হয়ে তিনি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে রাতেই সাব ঠিকাদার বাবুল আখতার বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা নিশাতসহ চার জন আসামী করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন বলে বাদী বাবুর আখতার বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা নিশাত বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। রাস্তার কাজে ব্যবহার করার জন্য আমার বাড়ির সামনে ঠিকাদারগন বিটুমিন পুড়িয়ে ধোয়ার সৃষ্টি করেছেন। আমার পিতা ক্যান্সার আক্রান্ত। বিটুমিনের কাল ধোয়ায় তার শ^াসকষ্টসহ নানাবিধ সমস্যা হচ্ছে। আমি তাদের অনুরোধ করেছি অন্যত্র বিটুমিন পোড়ানোর জন্য। এর চেয়ে বেশী কিছু বলিনি এবং হুমকিও দেয়নি। আমার নামে ও অপর কয়েক জনের নামে মিথ্যা ও সাজানো অভিযোগ দিয়ে মামলা করেছেন সাব ঠিকাদার বাবুল আখতার। যার কোন ভিত্তি নেই।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছেন ওসি তদন্ত মো. গিয়াস উদ্দিন এবং উপ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।