মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুড়িপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ছাত্রীদের নিয়মিত ইভটিজিং ও যৌন হয়রানী করায় বখাটে ইভটিজার শাওন (২২)কে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ সময় শাওনের সহযোগি শুভ, সিয়াম, সাদ ও ইমনসহ ৬-৭ জন বখাটে ইভটিজার পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা করেছেন। আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) আজগানা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ এবং এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য বখাটে ও ইভটিজারদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির জন্য বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক মন্ডলী এবং এলাকার সচেতন মহল প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানিয়েছে।
বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক মন্ডলী অভিযোগ করেন, ইভটিজার শাওনের পিতার নাম ফারুক হোসেন। গ্রামের বাড়ি কুড়িপাড়া গ্রামে। শাওন ও তার সহযোগি শুভ, সিয়াম, সাদ ও ইমনসহ ৬-৭ জন বখাটে দল বেঁধে নিয়মিত বিদ্যালয়ের আশপাশে মোটর সাইকেল নিয়ে রেসলিং করে বিভিন্ন এলাকায় থেকে আসা ছাত্রীদের গতিরোধ করে ইভটিজিং ও যোৗন হয়রানী করে আসছে। তাদরে ভয়ে অনেক ছাত্রী পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আজ বুধবার এই গ্রুপের সদস্যরা বিদ্যালয়ের সামনে এসে ছাত্রীদের ইভটিজিং শুরু করলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জোট বেঁধে বখাটে ও ইভটিজার শাওনকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশানর (ভুমি) মাসুদুর রহমান এবং মির্জাপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়। এ সময় অপর বখাটেরা দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুদুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম নুরু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বখাটে ও ইভটিজার এই গ্রুপের সদস্যরা বিদ্যালয়ের আশপাশে নিয়মিত মোটর সাইকেল রেসরিং করে ছাত্রীদের ইভটিজিং ও যৌনহয়রাণী করে আসছ্ েতাদরে ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। ফলে বিদ্যালয়ের চাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। আজ বুধবার জীবন বাজি রেখে একজনকে আটক করে এসিল্যান্ড মহোদয় ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। অপর সদস্যরা পালিয়ে যায়। তিনি নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছেন বেল জানিয়েছেন। অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশানর (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুদুর রহমান বলেন, কুড়িপাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামসহ এলাকবাসি ও ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক বখাটে ও ইভটিজারকে ধরে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই পালিয়ে যায়। থানায় নিয়মিত অভিযোগ হয়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার (উপপরিদর্শক) মো. শফিউর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের পক্ষে প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। একজন আটক রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।