মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
অবৈধ ভাবে নদীর বালি ও ফসলি জমির মাটি কাটায় মোবাইল কোর্টের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন এবং এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান অভিযান পরিচালনা করে দুইজনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। এ সময় বিপুল পরিমান পাইপ ধ্বংসসহ জব্দ, দুইটি মাহেন্দ্র ও দুইটি মাটি কাটার ভ্যেকু জব্দ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ইচাইল, জামুর্কি ইউনিয়নের কদিমধল্যা ও আগধল্যা, বানাইল ইউনিয়নের নরদানা এবং ফতেপুর ইউনিয়নের থলপাড়া এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় নরদানা এলাকায় রাস্তা থেকে মাটি ভর্তি রুহিদপুর গ্রামের সালাউদ্দিন ও শুভুল্যা গ্রামের মফিজ মিয়ার দুইটি মাহেন্দ্র আটক করে দুইজনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ইচাইল এলাকায় একটি ভ্যেকু জব্দ এবং আগধল্যা এলাকায় ড্রেজারের পাইপ ধ্বংস করে এক হাজার মিটার পাইপ স্থানীয় মেম্বারের জিম্বায় দেওয়া হয়। রাতে থলপাড়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ভ্যেকু জব্দ করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অফিস সুত্র জানায়, একটি চক্র উপজেলা প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিনের বেলায় ও রাতের আধাঁরে বংশাই এবং লৌহজং নদীতে ড্রেজার ও ভ্যেকু বসিয়ে ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালি চুরি করে আসছে। এছাড়া বিভিন্ন এরাকায় ফসলি জমির মাটিও কেটে নিচ্ছে। অবৈধ ভাবে মাটি কাটায় এক দিকে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অপর দিকে ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পরিবহন করায় রাস্তাঘাটের ক্ষতিসহ পরিবেশে বিপর্যয় নেমে এসেছে। দীর্ঘ দিন ধরে এ অবস্থায় মাটি চুরি হওয়ায় এলাকায় সাধারণ জনগনের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে গতকাল শনিবার নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুদুর রহমান মির্জাপুর থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করেন। বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ (১) ধারায় দুই জনকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও মাটি কাটার যন্ত্র আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন এবং মোবাইল কোর্টের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাসুদুর রহমান বলেন, নদীর তীরসহ ফসলি জমির মাটি চুরির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কোন অবস্থায় ছাড় দেওয়া হবে না। বালি ও মাটি চুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।