মির্জাপুরে কুমুদিনী নার্সিং কলেজের ছাত্রীর আত্মহত্যা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী নার্সিং কলেজের ডিপ্লোমা নার্সিং চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী সুজারলিন জার্লেট গোমেজ (২২) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কুমুদিনী নার্সিং হোস্টেলের একটি কক্ষে ফ্যানের সাথে উড়না পেচিয়ে আত্মহত্য করে বলে জানা গেছে। ছাত্রীর আত্নহত্যার ঘটনায় নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরেছে। সম্প্রতি কুমুদিনী নার্সিং কলেজের অপর এক ছাত্রীও আত্নহত্যা করেছেন। কি কারনে বার বার ছাত্রীর আত্নহত্যার ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক কুমুদিনী নার্সিং কলেজে ছাত্রীর আত্নহত্যার ঘটনা ঘটলেও রহস্য উৎঘাটন ও পরিবার পাচ্ছে না কোন ন্যায় বিচার। মির্জাপুর থানা পুলিশ ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের পর লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছেন ।
সুজারলিন জার্লেট গোমেজ গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার চড়াখোলা গ্রামের জেরোম গোমেজের মেয়ে বলে জানা গেছে। সে কুমুদিনী হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে কাজ করতো।
আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মির্জাপুর থানা পুলিশ এবং কুমুদিনী নার্সিং কলেজরে ছাত্রীরা জানায়, নার্সিং হোস্টেলের ওই কক্ষে চারজন ছাত্রী থাকতো। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সে ছাড়া বাকি তিনজন কুমুদিনী হাসপাতালে ডিউটি করতে যায়। এরই কোন এক সময় সে কক্ষের ভেতরেই ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। বেলা আড়াইটার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাত্রীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করেন। সন্ধায় পুলিশের এসআই মাহাফুজুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ সুরতহাল করে থানায় নিয়ে যান ।
এ ব্যাপারে কুমুদিনী নার্সিং কলেজ ও কুমুদিনী হাসপাতালের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিত জানার জন্য যোগাযোগ করা হলেও তারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম জানান, খবর পেয়ে ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদতন্তের পর ছাত্রীর লাশ তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ছাত্রীর পরিবার একটি অপমৃত্যুর অভিযোগ দিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here