মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নামাজ থেকে বাসায় ফেরার পথে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম (২০) কে এক দল অস্্রধারী সন্ত্রাসী চাইনিজ কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বর্তমানে তার অবস্থা খুবই আশংকা জনক বলে চিকিৎকগন জানিয়েছেন। আতিকুলকে হত্যা চেষ্টা ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে থমথমে অবস্থা ও বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর থানায় মামলা করায় চিকিৎসাধীন আতিকুল ও মামলার বাদী মোবারক হোসেনসহ তার পরিবারকে নানা ভাবে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে মামলার বাদী অভিযোগ করেন। ফলে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
জানা গেছে আতিকুল ইসলামের পিতার নাম মো. নুরুল ইসলাম। বাড়ি মির্জাপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাইমহাটি পালপাড়া। সে মির্জাপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আতিকুলের বড় ভাই মোবারক হোসেন অভিযোগ করেন, গতকাল বৃহস্পতিবার এশার নামাজ শেষে রাত আনুমানিক সোয়া আটটার দিকে বাইমহাটি এলাকায় বাসার দিকে আসলে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার নাহিদ, সিয়াম, শুভ মিয়া, সুজন, রাফি, সিদ্দিক ও শাওনসহ একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী চাইনিজ কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে এলাপাতারি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। স্থানীয় রোকজন আতিককে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে জামুর্কি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করে। সেখানে অবস্তার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে পরে কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে তার অবস্থা খুবই আশংকা জনক বলে চিকিৎসকগন জানিয়েছেন।
এদিকে হামলাকারী ও অস্ত্রধারী নাহিদ, সিয়াম, শুভ মিয়া, সুজন, রাফি, সিদ্দিক ও শাওনসহ সন্ত্রাসীদের আসামী করে আতিকুর ইসলামের বাই মোবারক হোসেন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা হলেও আসামীরা একন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। বরং মামলা করায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আতিকুল ও মামলার বাদী মোবারক হোসেনসহ তার পরিবারকে নানা ভাবে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে মামলার বাদী অভিযোগ করেন। ফলে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম বলেন, ছাত্রলীগ নেতা আতিকুলের উপর হামলার ঘটনায় তার ভাই মোবারক হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকেই অপরাধীরা পলাতক রয়েছে। মামলার পর পুলিশের পক্ষ থেকে আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সর্বাত্তক চেষ্টা চলছে।