মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
ক্রীড়াঙ্গনকে চাঙ্গা, উজ্জীবিত ও ঢেলে সাজাতে ৪৫ বছর পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের মাটি ভরাটসহ দৃষ্টি নন্দন এবং উন্নয়ন করা হচ্ছে। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের। পাট ও বস্্র মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপির নিজস্ব অর্থায়নে শেখ রাসেল মিনি স্টেঢিযামের উন্নয়ন হওয়ায় খুঁশি এলাকাবাসি। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা সদরের বাইমহাটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে দ্রুত গতিতে উন্নয়ন কাজ হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে মির্জাপুর উপজেলার অবস্থান। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্পাঞ্চল ও যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক দিয়ে উন্নত হলেও মান সম্মত একটি ভাল খেলার মাঠের অভাবে খেলাধুলার দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে এই উপজেলা। ফলে যুব ও তরুণ সমাজ এবং নতুন প্রজন্ম খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ যেন বাতির নিচেই অন্ধকার। ১৯৭৯ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রতিশ্রুতি প্রকল্প ঢাকা বিভাগীয় উন্নয়ন বোর্ডের অর্থে নির্মানাধীন তৎকালিন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল ইসলাম মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাইমহাটি মৌজায় বিশাল এলাকা নিয়ে একটি ক্রীড়া সংস্থার ভবন এবং খেলার মাঠের ভিত্তিপ্রস্তর করেন। দীর্ঘ ৪৫ বছর পার হলেও খেলার মাঠের উন্নয়ন হয়নি। একটু বৃষ্টি হলেই মাঠে কোমর পানি জমে। বছরের অধিকাংশ সময় জলাবদ্ধতা থাকায় বিভিন্ন খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তরুণ সমাজ। এছাড়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ভবনটির খুবই জরাজীর্ন ও করুন অবস্থা। রক্ষনাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে এটি এখন পরিত্যাক্ত। ভবনটি যে কোন সময় ভেঙ্গে পরে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
এদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় ২০১৬ সালে সারা দেশে একটি করে শেখ রাসেল রাসেল মিনি স্টেডিয়াম তৈরী করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাইমহাটি মৌজায় উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা সংলগ্ন খেলার মাঠকে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম ঘোষনা দিয়ে একটি ছোট্র ভবন নির্মান করেন। খেলার মাঠের কোন উন্নয়ন বা মাটি ভরাট করা হয়নি। স্টেডিয়ামটি শহর ও রাস্তা থেকে নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বছরের অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে খেলাধুলা।
এদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মীর আসিফ অনিক ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা মারুফ হাসান জানান, দ্বিতীয় বারের মত এমপি নির্বাচিত হয়েই খান আহমেদ শুভ এমপি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামকে উন্নয়ন ও ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এমপির নিজস্ব অর্থায়ানে বিপুল অংকের টাকা ব্যয়ে মাঠের মাটি ভরাটের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এটিকে খেলাধুলার উপযোগি এবং দৃষ্টি নন্দন করা হবে বলে তারা জানিয়েছেন। এমপির এই উদ্যোগকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তরুণ প্রজন্মসহ মির্জাপুরবাসি।
এ ব্যাপারে উপজেলা ক্রীড়া সংস্তার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন বলেন, স্মাট মির্জাপুর গড়ে তুলতে আমাদের স্মাট এমপি মহোদয় খেলাধুলাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তার নিজস্ব অর্থায়নে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম উন্নত করছেন।
এ ব্যাপারে খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, তরুণ সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। তরুণ সমাজ যাতে বিপথগামী হতে না পারে সে জন্য প্রয়োজন ভাল একটি খেলার মাঠ। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি মির্জাপুরকে ঢেলে সাজাতে। প্রথমেই শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামকে উন্নয়ন করা। আশা করছি অল্প দিনের মধ্যেই পুরো কাজ করা সম্ভব হবে।