মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুরনী গ্রামে মসজিদে নামাজ পড়াকে কেন্দ্র ক্ষুব্দ হয়ে এক পক্ষ প্রতিপক্ষের হোটেলে (ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে) হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হামলাকারীরা লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্্র দিয়ে কুপিয়ে হোটেলের কর্মচারী হুমাইকে (৩০) হত্যার চেষ্টা করেছে। তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) কুরনী গ্রামে ইফতারের পর মসজিদে নামাজ আদায় শেষে এ ঘটনা ঘটেছে।
আজ শনিবার (১৬ মার্চ) মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ ও মামলার বাদী মোবারক হোসেন জানান, মসজিদে নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনায় ইচাইল গ্রামের বাবুল, শিশির, সাইম, রাসেল, শিপলু ও শান্তসহ ৬-৭ জন যুবক হোটেলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও কয়েক লাখ টাকা লুটপাট করে। এ সম হোটেলের কর্মচারী হুমাই (৩০) বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে লাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। আশপাশের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে হামলাকারীরা হোটেলে লুটপালের পর নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় হোটেলের কর্মচারী হুমাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়ে হোটেলের মালিক মোবারক হোসেন উল্লেখিত আসামীদের নামে মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ দেওয়ায় সন্ত্রাসীদের চাপে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে মোবারক হোসেন ও আহত হুমাইয়ার পরিবার অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক মো. নবী হোসেন বলেন, ঘটনার পর মোবারক হোসেন বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।