মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
৭ মে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অপহরণ ও গণহত্যার ৫৩ বছর উপলক্ষে কুমুদিনী কমপ্লেকের ভারতেশ^রী হোমসে প্রার্থনা ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমুদিনী পরিবার এ প্রার্থনা ও স্মরণ সভার আয়োজন করে। এ দিন হত্যা করা হয় কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা (আরপি সাহা) এবং তার একমাত্র পুত্র ভবানী প্রসাদ সাহা রবিকে। ১৯৭১ সালের এই দিনের পাকহানাদার বাহিনী অথ্যাচার নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালায় মির্জাপুরের নিরীহ বাঙ্গালীর উপর। নিরীহ বাঙ্গালীর আত্নত্যাগের মধ্য দিয়ে মির্জাপুর হানাদার মুক্ত ও স্বাধীন হলেও সেদিনের ভয়াবহ স্মৃতির কথা মনে করে আজও মির্জাপুরবাসী শিউরে উঠে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে কুমুদিনী পরিবার কুমুদিনী কমপ্লেক্্েরর ভারতেশ^রী হোমসের প্রিন্সিপাল প্রতিভা মুৎসুদ্দি মিলনায়তনে প্রার্থনা ও স্মরণ সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল বিডি লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্রী রাজিব প্রসাদ সাহা। কবি ও সাহিত্যিক এবং ভারতেশ^রী হোমসের সিনিয়র শিক্ষিকা হেনা সুলতানার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল বিডি লি. এর পরিচালক শিক্ষা ও একুশে পদক প্রাপ্ত ভাষা সৈনিক প্রিন্সিপাল প্রতিভা মুৎসুদ্দি, পরিচালক শ্রী মতি সাহা, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. এম এ হালিম এবং ভারতেশ^রী হোমসের প্রিন্সিপাল মন্দিরা চৌধুরী ও নার্সিং কলেজেরি প্রন্সিপাল সিস্টার রীনা ক্রুস প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কুমুদিনী পরিবারের সকল সদস্য, ভারতেশ^রী হোমস, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল এন্ড করেজ, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও কুমুদিনী হাসপাতালের শিক্সার্তসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে মির্জাপুর গ্রামবাসিবাসি এবং কুমুদিনী পরিবার মির্জাপুর গ্রামে প্রায় ১০ হাজার লোকজনের খাবারের ব্যবস্থাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে খান আহমেদ শুভ এমপি, পৌর সভার মেয়র সালমা আক্তার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।