মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তিন নম্বর ফতেপুর ই্উনিয়নে সাপের কামড়ে দুই মৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। এর হলেন তিন নম্বর ফতেপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের ফতেপুর পুর্বপাড়া গ্রামের ফরিদ মিয়ার স্ত্রী রুলিয়া বেগম (৪০) এবং একই ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের থলপাড়া পশ্চিমপাড়া ঘোনাপাড়া গ্রামের ফারুক মিয়ার স্ত্রী রুলিয়া বেগম (৪৫)। সাপের কামড়ে দুই গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তিন নম্বর ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আব্দুর রউফ মিয়া জানান, গত মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে ফতেপুর পুর্বপাড়া গ্রামের ফরিদ মিয়ার স্ত্রী আরিফা বেগম ওরফে রুলিয়া ধানের খড় শুকানোর জন্য বাড়ির উঠানে গেলে খড়ের মধ্যে পেচানো বিষাক্ত একটি সাপ তাকে ছোবল (কামড়) দেয়। তিনি অসুস্থ্য হলে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করলে সেখানেই তিনি মারা যান।
এদিকে ফরিদ মিয়ার স্ত্রী রুলিয়া বেগমের মৃত্যুর পরের দিন গতকাল বুধবার (১৫ মে) রাতে থলপাড়া পশ্চিমপাড়া ঘোনাপাড়া গ্রামের ফারুক মিয়ার স্ত্রী রুলিয়া বেগম নিজ বাড়ির ঘরে সোফা সেটে বসেছিলেন। এ সময় সোফার নিচে লুকানো একটি বিষধর সাপ তার পায়ে ছোবল (কামড়) দেয়। সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হারালে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কি সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের (হাসপাতালে) নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক না পেয়ে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়। দুই দিনের ব্যবধানে একই এলাকায় দুই গৃহবধুর সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় সাপ আতাংক ছড়িয়ে পরেছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ফতেপুর ইউনিয়নে সাপের কামড়ে দুই গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। একজন টাঙ্গাইল সদসর হাসপাতালে মারা যান এবং একজন মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে আনার পথে মারা যান। তিনি আর বলেন, এখন প্রচন্ড গরম, গর্ত থেকে সাপ বের হয়ে খোলা জায়গা বা লোকালয়ে আসে। এ বিষয়ে সবাই সচেতন হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।