মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
দূবৃত্তদের দেওয়া পুড়ে যাওয়া টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোড়াই হাইওয়ে থানা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ পদাধিক ডিভিশনের জিওমি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সামীহুর রহমান তারেক এবং ৯৮ কম্পোজিট বিগ্রেডের কমান্ডার বিগ্রেড শফিউল আজমসহ সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন। আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেলে কর্মকর্তাগন গোড়াই হাইওয়ে থানা পুরিদর্শন করেন। এ সময় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়সারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. আব্দুস সবুর পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরফুদ্দিন আহমেদ, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম ও গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি আদিল মাহমুদ।
গত ৪ আগস্ট কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে ৫০০শ থেকে ৬০০শ অস্্রধারী দূবৃত্ত হামলা চালিয়ে গোড়াই হাইওয়ে থানা ভাংচুর চালিয়ে লুটপাট করে এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসিসহ ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আজ পর্যন্ত পুলিশ শুন্য গোড়াই হাইওয়ে থানা। কবে এই থানার কার্যক্রম শুরু হবে তা অনিশ্চিত রয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে আজ শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগনসহ টাঙ্গাইলের ডিসি-এসপি এবং উপজেলা প্রশাসন। দ্রুত সময়ের মধ্যে হাইওয়ে থানা সংস্কারসহ যানবাহন প্রদান এবং হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে থানার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেন।
অপর দিকে গোড়াই হাইওয়ে থানা পরিদর্শনের পর জিওসিসহ ডিসি-এসপি মির্জাপুর থানা পরিদর্শনে আসেন। থানা পরির্দনের পর মির্জাপুর থানা অডিটোরিয়ামে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতা এবং তাদরে ১১ দাবী দাবী বাস্তবায়নসহ সকল দাবী পুরনের আশা¦স দিয়ে তাদের কাজে যোগদানের নির্দেশ প্রদান করেন। পরে সুধীজনের সঙ্গে থানা চত্বরে মতবিনিময় সভায় আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নের জন্য সকলের সহযোগিতা চান। এ সময় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর-নাগরপুর সার্কেল) এস এম মনসুর মুসা, মির্জাপুর থানার ভাপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ সালাউদ্দিন, সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, এড. আব্দুর রউফ মিয়া, খন্দকার সালাউদ্দিন আরিফ, মো. হযরত আলী মিঞা, ডি এম শফিকুল ইসলাম ফরিদ, সাবেক ভিপি আবু আহগমেদ, আবুর কাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।