মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষনের পর সাত মাসের অন্তঃসত্তা হয়েছে দুলাভাইয়ের কাছে। পুলিশ হেফাজতে ছাত্রীর চিকিৎসা চলছে। অমানবিক এই ঘটনায় আজ বুধবার (১৮ আগস্ট) থানায় মামলার পর ছাত্রীর দুলাভাই অভিযুক্ত বখাটে সবুজ সিকদার (২২) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ছলিমনগর গ্রামে অমানবিক এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর অসহায় ছাত্রীর নিরীহ পরিবার বিপাকে পরেছেন।
আজ বুধবার মির্জাপুর থানা পুলিশ সুত্র জানায়, গত ১৮ মাস পুর্বে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার গরজন গ্রামের শামসুর হকের ছেলে সবুজ সিকদারের সঙ্গে মির্জাপুর উপজেলার ছলিমনগর গ্রামের আব্দুল আজিজ মিয়ার বড় মেয়ে সিমলা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সবুজ সিকদার মাঝে মধ্যেই শ^শুর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারী সবুজ শ^শুর বাড়িতে আসে। ১৫ জানুয়ারী তার শ^শুর মাটি কাটতে যায় এবং শ^াশুড়ীসহ তার স্ত্রী সিমলা রিলিফের চাল আনার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকায় এই সুযোগে বখাটে সবুজ জোর পুর্বক পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী শালিকাকে ধর্ষন করে। এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ছাত্রীকে হুমকি দেয় সবুজ। এভাবে একাধিবার ধর্ষনের ফলে অন্তঃসত্তা হয়ে পরে ছাত্রী।
এদিকে ১৪ আগস্ট অসুস্থ্য হয়ে পরে অন্তঃসত্তা ছাত্রী। ঘটনা জানার পর ছাত্রীর অসহায় পিতা আজিজ মিয়া সবুজকে প্রধান আসামী করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার সুত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল মঙ্গলবার ঘাটাইল এলাকা থেকে বখাটে ধর্ষনের মুলহোতা সবুজ সিকদারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মামলার বাদী আজিজ সিকদার ও অসহায় ছাত্রীর পরিবার অভিযুক্ত সবুজ সিকদারের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানায় এসআই মাহফুজুর রহমান বলেন, মামলার পর ধর্ষনের মুলহোতা সবুজ সিকদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিঞ্জাসাবাদে বখাটে সবুজ শালিকাকে ধর্ষনের কথা স্বীকার করেছে। কোর্টের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্তঃসত্তা ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা চলছে। ভিকটিমের পরিবার যাতে ন্যায় বিচার পায় সে জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত সবুজ সিকদারকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।