মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উৎসব মুখর পরিবেশ শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) মোহনা টেলিভিশনের ১৪ বছরে পথচলা ও প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এ উপলক্ষে মোহনা টেলিভিশন দর্শক ফোরাম মির্জাপুরে ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ গ্রহনে বাইমহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিশুদের অংশ গ্রহনে চিত্রাংকন ্রপতিযোগতার আয়োজন করে। এর আগে বরাটী নরদানা বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের অংশ গ্রহনে আনন্দ র্যালি বের হয়। দৈনিক ইত্তেফাক ও মোহনা টেলিভিশনের সাংবাদিক মীর আনোয়ার হোসেন টুটুলের সভাপতিত্বে সকাল সারে দশটায় মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে, কেক কাটা, পুরষ্কার বিতরণ ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ভিপি মীর শরীফ মাহমুদ, শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজেরর সাবেক অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন আহেমদ বাবর, জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেযারেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল, জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, বিআরডিবির চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক, প্রেস ক্লাবের সভাপতি শামসুল ইসলাম সহিদ, মোহনা টেলিভিশন দর্শক ফোরামের সবাপতি হোসী যুবাইরী, সাধারণ সম্পাদক শাহ সৈকত মুন্না, মির্জাপুর সাংবাদিক সংস্থার সাধারন সম্পাদক যুবায়ের হোসেনসহ মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল ইসলামসহ সকল সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন। অতিথিবৃন্দ পরে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।
টাঙ্গাইলে মোহনা টেলিভিশনের ১৪ বছরে পথ চলার নানা আয়োজন
মির্জাপুরে আওয়ামী যুবলীগের ৫১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উৎসব মুখর পরিবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবরীগের ৫১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা যুবলীগ আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) পৌর প্রত্যাশা কমিউনিটি সেন্টারে প্রথমে আলোচনা সভা এবং পরে কেক কাটার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরফি মাহমুদ। উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. শামীম আল মামুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি মীর শরীফ মাহমুদ, বিশেষ অতিথি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাদারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, বাংলাদেশ সমবায় ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি, উপজেলা বিআরডিরি চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. আজাহারুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক ও বিআরডিবির ভাইস চেয়ারম্যান আবিদ হোসেন শান্ত, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও আওয়ামীলীগ নেতা মো. আওলাদ হোসেন প্রমুখ।
মির্জাপুরে গ্রাম পুলিশদের সঙ্গে এমপির আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক গ্রাম পুলিশদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভ’মি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান আহমেদ শুভ এমপি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিনের সভাপতিত্বে, উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাসুদুর রহমান, কৃষি অফিসার ড. সঞ্জয় কুমার পাল, পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি এএসএম মোজাহিদুল ইসলাম মনির, মো. সিরাজ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমিনুর রহমান আকন্দ এবং এমপির একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে গ্রাম পুলিশদের মাঝে উপহার সামগ্রী তুলে দেন এমপি।
মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নবাগত এসিল্যান্ড মাসুদুর এবং ওসি রেজাউলকে সংবর্ধনা
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার নবাগত এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান এবং মির্জাপুর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিমকে মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছাসহ সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) রাতে মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে সাংবাদিকগন নবাগত এই দুই কর্মকর্তাকে সংবর্ধনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির উপদেষ্টা শাকিলা বিনতে মতিন। মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মীর আনোয়ার হোসেন টুটুলের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন, নবাগত এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান, নবাগত ওসি মো. রেজাউল করিম, শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. সালাউদ্দিন আহমেদ বাবর ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ। নবাগত এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান এবং নবাগত ওসি মো. রেজাউল করিম মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল কার্যক্রম, সাংবাদিকদের লেখার পেশাগত মান, তাদের শৃঙ্খলাবোধ দেখে প্রশংসা করেন এবং এই প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ^াস দেন। অনুষ্ঠানে মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
মির্জাপুরে নৌকার টিকেট পেতে হাফ ডজন নেতার গণসংযোগে সরগরম রাজনীতির মাঠ॥ সুযোগের অপেক্ষায় বিএনপি
মীর আনোয়ারর হোসেন টুটুল
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৩৬, টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে নৌকার টিকেট পেতে আওয়ামীলীগের হাফ ডজন নেতা ব্যাপক গণসংযোগ করে যাচ্ছে। একে অপরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে বিএনপি। পাশাপাশি অন্য রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীরাও মাঠে নেমেছেন। টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের আওয়ামীলীগের দুর্গ ভাঙ্গতে বিএনপি বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে। দলীয় টিকেট নিশ্চিত করতে হ্যাবিওয়েট প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্ধারে দ্ধারে ঘুরছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি এমপি প্রার্থীরা নিজ এলাকায় বিভিন্ন দলীয় ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড ছাড়াও কর্মীসভা, উঠান বৈঠক, খেলাধুলা, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গনসংযোগ করে নিজেদের প্রার্থী ঘোষনা করছেন। দিনরাত চলছে হ্যাবিওয়েট এমপি প্রার্থীদের গণসংযোগ। তারা ভোটারদের কাছে দোয়া চেয়ে আগামী দিনে তাদের পাশে থেকে কাজ করার উন্নয়ন মুলক নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুরে রাজনৈতিক অংগন বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গত কয়েক দিন ধরে মির্জাপুর নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন রাাজনৈতিক দলের এমপি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানা গেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে এমপি প্রার্থীরা হচ্ছেন বর্তমান সাংসদ ও প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা একুশে পদকপ্রাপ্ত ফজলুর রহমান খান ফারুকের পুত্র জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান আহমেদ শুভ এমপি, মির্জাপুর উপজেলা আওায়ামীলীগের সভাপতি, মা ফাতেমা স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক ভিপি মীর শরীফ মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও প্রয়াত চার বারের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মো. একাব্বর হোসেনের পুত্র ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, উপজেলা আওায়ামীলীগের সহসভাপতি ও হংকং শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি শিল্পপতি আলহাজ¦ আবুল কালাম আজাদ লিটন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য ও মধুমতি ব্যাংকের স্পন্সর ডাইরেক্টর এবং ইবিএল গ্রুপের চেয়ারম্যান রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি, আওয়ামীলীগ নেতা ও বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদের সাধারন সম্পাদক মেজর (অব.) ড. খন্দকার এ হাফিজ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল, সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির মহসীন হলের সাবেক জিএস মো. সাইদুর রহমান সাইদ সোহরাব, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম জহির, ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসরাম নুরু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি কমরেড গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান খান সিটু এবং কৃষক শ্রমিক জনতালীগের মির্জাপুর উপজেরা শাখার সাধারন সম্পাদক মো. আরমান হোসেন তালুকদার তাপসের নামও শোনা যাচ্ছে। এছাড়া স্বতন্ত্র থেকে এমপি পদে নির্বাচন করবেন শ্রী মতি রুপা রায় চৌধুরী ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে এমেপি পদে নির্বাচনের জন্য বর্তমান এমপি খান আহমেদ শুভ ছাড়াও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের হাফ ডজন প্রার্থী ব্যাপক গণসংযোগ করছেন। দিন রাত রাতা চষে বেড়াচ্ছেন ভোটাদের বাড়ি বাড়ি। পাশাপাশি সাবেক প্রধান বিরোধী দল বিএনপির দুইজন হ্যাবিওয়েট প্রার্থীও মাঠে কাজ করছেন। বর্তমান বিরোধী দল জাতীয় পাটির্ , বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টি, খেলাফত মসলিস এবং কৃষক শ্রমিক জনতালীগ সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতারা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।
টাঙ্গাইলের ৮টি আসনের মধ্যে টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপর নির্বাচনী এলাকা একটি গুরুত্বপুর্ন আসন। এখানে এক সময় জাতীয় পার্টি ও পরে বিএনপি দখলে নিয়ে শাসন চালিয়েছেন। জাপা ও বিএনপির দুর্গ ভেঙ্গে নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এ্ই আসনটি আওয়ামীলীগের দখলে ্আসে। টানা চার বার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. একাব্বর হোসেন। তিনি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নের স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্রিজ-কালভার্ট, রাস্তা-ঘাটসহ প্রতিটি ক্ষেত্র্ইে সুষম উন্নয়ন করেছিলেন। ২০২১ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর উপনির্বাচনে নৌকার টিকেটে এমপি নির্বাচিত হন খান আহমেদ শুভ। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে গত দুই বছরে তিনি প্রতিটি এরাকায় সুষম উন্নয় অব্যহৃত রেখেছেন। দিন রাত জনগন সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাওয়ার দৃর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
অপর দিকে আওয়ামীলীগের হাফ ডজন নেতা এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোয়ন পাওয়ার জন্য বিভিন্ন এলাকাায় কর্মীসভা, উঠান বৈঠক, সরকারের উন্নয়নের প্রচারনা ও সভা সমাবেশ করে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। তাদের এলাকায় বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী থাকায় দলীয় ভাবে কোনঠাসা হয়ে পরেছে দলটি। একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করায় সাধারন ভোটারগন পরেছেন বেকায়দায়। দলের মধ্যে বেড়েছে দুরত্ব। দল যাকেই মনোনয়ন দিক না কেন বিএনপি নির্বাচনে এলে ফলে এই আসনটি টিকিয়ে রাখা কষ্টকর বলে দলীয় একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
এদিকে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে। তারা দলীয় কোন্দল মিঠিয়ে আওয়ামীলীগের দুর্গ ভাঙ্গতে চায়। বিএনপির নেতাদের দাবী দল যাকেই মনোয়ন দিবে তারা এক হয়ে কাজ করবে। এ জন্য পৌরসভা ও বিভিন্ন ই্উনিয়নে কমিটি গঠনসহ গণসসংযোগ করে যাচ্ছেন বলে বিএনপির দলীয় সুত্র জানিয়েছে। পাশাপাাশি জাতীয় পার্টি, খেলাফত মসলিস, কৃষক শ্রমিক জনতালীগ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীরাও এললাকায় গণসংযোগ করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারের বর্তমান সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার বাবা ফজললুর রহমান কান ফারুক জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক গনপরিষদ সদস্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত। টাঙ্গাইলের আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে তিনিই টিকিয়ে রেখেছেন। আওয়ামীলীগ একটি সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। এ দলের মধ্যে নেতাকর্মীদের মত বিরোধ থাকলেও ভোটের সময় কারও মতবিরোধ নেই। বর্তমান সরকারের আমলে গত দুই বছরে মির্জাপুরে যে উন্ননয়ন হয়েছে, দেশ স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও তা হয়নি। আমার বিশ্বাস আগামীতে আমি মনোয়ন পেলে মির্জাপুরকে একটি আদর্শ ও মডেল হিসেবে উপহার দিতে পারবো।
মীর শরীফ মাহমুদ বলেন, আমার পরিবারটি মুলত আওয়ামীলীগের। বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের রাজনীতিরি সঙ্গে ৪৪ বছর পার করেছি। কলেজের ভিপি, বিআরডিবির চেয়ারম্যান, দীর্ঘ দিন দলের সাধারন সম্পাদক ও বর্তমানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। তৃণমুলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অত্যান্ত সুসম্পর্ক রয়েছে। আমার বিশ^াস এ বছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ নেত্রী এবং দল আমার কাজের মুল্যায়ন করবেন।
ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত বলেন, আমার বাবা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ একাব্বর হোসেন এই আসনের চার বারের এমপি ছিলেন। আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে তিনি অনেক ত্যাগ ও সংগ্রাম করে নেত্রীকে এই আসনটি উপহার দিয়েছিলেন। এলাকায় তিনি ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। উপজেলা আওয়ামীলীগকে তিনিই সুসংগঠিত করেছেন। বাবার আদর্শকে ধরে রাখতে ও তরুণ হিসেবে দলীয় নেতাকর্মী, সাধারন জনগন এবং ভোটারগন আমাকেই এমপি হিসেবে যাচ্ছেন। আশা করছি দল ও প্রধানমন্ত্রী আমাকেই নৌকার টিকেট দিবেন। মনোনয়নের ব্যাপারে শতভাগ আশা করেছেন শিল্পপতি আলহাজ¦ আবুল কালাম আজাদ লিটন, রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি ও মেজর (অব.) ড. খন্দকার এ হাফিজ। তাদের বক্তব্য দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগন নতুন মুখ যাচ্ছেন।
বিএনপির সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী বলেন, নির্দলীয় তত্বাবদায়ক সরকারের অধিনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে মির্জাপুরের উন্নয়নের স্বার্থেই দল আমাকে অবশই মনোয়ন দিবেন। আওয়ামীলীগের মধ্যে নানা সমালোচনা রয়েছে। জনগণ চায় নতুন সরকার ও নতুন মুখ। মির্জাপুরে বিএনপির মধ্যে কোন কোন্দল নেই। কাজেই জয়ের ব্যাপারে আমি খুবই আশাবাদী। মনোনয়নের ব্যাপারে শতভাগ আশার কথা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা সাইদুর রহামন সাইদ সোহরাব।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরিফা বেগম বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় তাদের সকল প্রকার প্রস্তুতি রয়েছে।
এমপির নেতৃত্বে বিভাগীয় সমাবেশে ঢাকায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও-মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্ধোধন এবং হেমায়েতপুর-ভাটরা রুটে মেট্রোরেল নির্মান কাজ উদ্ধোধন উপলক্ষে আওয়ামীলীগের ঢাকা বিভাগীয় সামবেশ সফল করতে ১৩৬, টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকায় আনন্দ মিছিল করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এ সময় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি এএসএম মোজাহিদুল ইসলাম মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান আকন্দ, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও এমপির একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিক, আওয়ামীলীগ নেতা টিপু মাহমুদ, আব্দুর রউফ ও লাবুসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে মির্জাপুরের আওয়ামীলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকায়
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও-মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্ধোধন এবং হেমায়েতপুর-ভাটরা রুটে মেট্রোরেল নির্মান কাজ উদ্ধোধন উপলক্ষে আওয়ামীলীগের ঢাকা বিভাগীয় সামবেশ সফল করতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আনন্দ মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা-অভিনন্দন জানিয়েছেন। গতকাল শনিবার (৪ নভেম্বর) ১৩৬, টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি ও মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ ও সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্তের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকায় আনন্দ মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা-অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ জানান, মির্জাপুর থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে আনন্দ মিছিলটি আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সমাবেশস্থলে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, আওয়ামীলীগের সহসভাপতি এএসএম মোজাহিদুল ইসলাম মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান আকন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগের আহবায়ক মামীম আল মামুন, দপ্তর সম্পাদক ও বিআরডিবির চেয়ারম্যান মো. জহিরুর ইসলাম জহির, বিআরডিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আবিদ হোসেন শান্ত, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও এমপির একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিক, সাবেক সভাপতি খন্দকার নাইম হোসেন, সাধারন সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সাবেক সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন, সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সিয়াম, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ, সাধারন সম্পাদক আলম মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা মীর চঞ্চল মাহমুদ ও স্বচ্ছাসেবকলীগের নেতা মোবারক হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মির্জাপুরে নবাগত এসিল্যান্ড জনবান্ধব মাসুদুর রহমানের যোগদান
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি (এসিল্যান্ড) হিসেবে যোগদান করেছেন মাসুদুর রহমান। সাবেক এসিল্যান্ড সুচী রানী সাহার ঢাকা বিভাগীয় কমিনার কার্যালয়ে বদলী হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার নবাগত এসিল্যান্ড হিসেবে মির্জাপুর উপজেলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। এর আগে তিনি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলায় এসিল্যান্ড ছিলেন। আজ শনিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি অফিস সুত্র জানায়, নবাগত এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান একজনী বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং গ্রামের বাড়ি রাজবড়ী জেলায়। তিনি রাজধানী ঢাকার তিতুমির কলেজ থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স শেষে ৩৭ তম বিসিএস ক্যাডার হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে যোগদান করেন। তিনি চট্রগ্রাম ডিসি অফিস, গাজীপুর ডিসি অফিস ও ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার এসিল্যান্ড অফিসে জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশানর ভুমি অফিসে এসিল্যান্ড হিসেবে নতুন এসিল্যান্ড হিসেবে যোগদান করেন।
এ ব্যাপারে নবাগত এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান বলেন, আমি প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী। জনবান্ধব হিসেবে জনগনের সেবা করাই আমার মুল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ভুমি অফিসকে ঢেলে সাজানোসহ কোন নাগরিক যাতে ভুমি অফিসে কাজের জন্য এসে হয়রানীর শিকার না হন সে জন্য তিনি নিরলস ও আন্তরিক ভাবে কাজ করবেন। এছাড়া বর্তমান সরকারের ঘোষিত স্মাট বাংলাদেশ বির্নিমানে অগ্রণী ভুমিকা পালন করবেন। মির্জাপুর উপজেলাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সুশিল সমাজ, ব্যবসায়ী ও গনমাধ্যম কর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
মির্জাপুরে জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে র্যালি আলোচনা-সনদপত্র বিততরণ
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
সময়ে গড়ছি দেশ, স্মাট হবে বাংলাদেশ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ৫২ তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও সমবায় অফিস র্যালি, জাতীয় পতকাা ও সমবায়ী পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা এবং সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি (নবাগত এসিল্যান্ড) মাসুদুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম, উপজেলা সমবায় অফিসার আমিনা পারভীন, মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক মো. মাহফুজুর রহমান ও সমবায়ী এডভোকেট মো., আব্দুর রশিদ প্রমুখ। পরে সমবায়ীদের মধ্যে সনদপত্র তুলে দেন অথিতিবৃন্দ।
মির্জাপুরে মেয়র ইউএনও এসিল্যান্ড সাব রেজিষ্টার সমবায় মহিলা বিষয়ক ও নির্বাচন কর্মকর্তাসহ গুরুত্বপুর্ন অফিস চালাচ্ছেন ১৫ নারী কর্মকর্তা
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
প্রতিবন্ধিকতাকে জয় করে তৃণ মুলে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিসহ চ্যালেন্সিং পেশায় নারীরা অনেক এগিয়ে। বিসিএসের মত কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ন পদে তারা কাজ করে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় পৌরসভার মেয়র, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এসিল্যান্ড, সাব রেজিষ্টার, সমবায় অফিসার, মহিলা বিষয়ক অফিসার, নির্বাচন অফিসার ও পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলীসহ দক্ষতার সঙ্গে প্রশাসন চালাচ্ছেন ১৫ জন নারী কর্মকর্তা। মফস্বল এলাকার মত শহরে এই প্রথম বারের মত মির্জাপুর উপজেলায় এক সঙ্গে ১৫ জন নারী কর্মকর্তা প্রশাসন চালাচ্ছেন দাফটের সঙ্গে। অফিস আদালতে বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজের জন্য আসা সাধারণ জনগন এই নারী কর্মকর্তাদের আচার ব্যবহার ও কাজে কর্মে খুবই খুঁশি। প্রশংসা করে তারা বলছেন নারী কর্মকর্তাগন আন্তরিকতা নিয়ে তাদের কাজ করে দিচ্ছেন। অফিস আদালতে এসে ঘুরে যেতে হচ্ছে না। তারা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। গত কয়েক দিন ধরে মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসনের অফিস আদালত ঘুরে এসব নারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত তুলে আনা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৩ নভেম্বর) মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্র জানায়, বেসরকারী ও রাজনৈতিক ভাবে মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র হচ্ছেন সালমা সালমা আক্তার শিমুল এবং উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হচ্ছেন মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা। তারা খুই দক্ষতার সঙ্গে তাদের দপ্তর পরিচালনা করছেন। পাশাপাশি বিসিএসের মত চ্যালেন্সিং পেশা অতিক্রম করে প্রশাসনের বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা হচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুচী রানী সাহা, সাব রেজিষ্টার উম্মে সালমা, শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাহমিনা জাহান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন সিদ্দিকী, সমবায় অফিসার আমিনা পারভীন, নির্বাচন কর্মকর্তা শরিফা বেগম, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আইরীন সুলতানা, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আফরোজা আক্তার, ভারতেশ^রী হোমসের প্রিন্সিপাল মন্দিরা চৌধুরী, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র প্রধান শিক্ষক শিরীন আক্তার এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত ডা. তাহমিনাসহ ১৫ জন নারী কর্মকর্তা বর্তমানে মির্জাপুর উপজেলায় রয়েছেন।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, উচ্চ পদে এই ১৫ জন নারী কর্মকর্তা ছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮৫০ জন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৬৮ জন, মাদ্রাসায় ৪২ জন, বিভিন্ন কলেজে ৮০ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে ১৫০ জন, উপজেলা স্বাস্ত্য কমপ্লেক্্র ১৪ জন, কমিউিনিটি ক্লিনিকে ১৫ জন, মির্জাপুর থানায় ৭ জন এবং কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজে ৬০০শ জন চিকিৎসক নারী সুনামের সেঙ্গ নিজ নিজ দপ্তরে কাজ করছেন।
ইউএনও শাকিলা বিনতে মতিনঃ- শাকিলা বিনতে মতিন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে সমাজ কর্ম বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করে ৩৪ তম বিসিএসে উত্তীর্ন হয়ে সহকারী কমিশনার ক্যাডার হিসেবে সরকারী কর্মকমিশনে যোগ দেন। তিনি ঢাকা জেরা প্রশাসকের কার্যালয় এবং বিআরটিএ অফিসে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৩ সালের ২৭ এপ্রিল মির্জাপুর উপজেলায় ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। তার নিজ জেলা পিরোজপুর। অল্প দিনের মধ্যেই তিনি মির্জাপুর উপজেলাকে সকলের সঙ্গে সমন্ময় করে ঢেলে সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, নারীরা আজ ঘরের কোনে বসে থাকার পাত্র নন। তারা অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ন পদে কাজ করছেন। নারীরা আজ স্বাবলম্বী। আমি অনেক দুর এগিয়ে যেতে চাই। তার স্বামীও বিসিএস ক্যাডার এবং ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।
এসিল্যান্ড সুচী রানী সাহাঃ- এসিল্যান্ড সুচী রানী সাহা বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় ময়মনসিং থেকে ফিসারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেট্রিক্্র এ ¯œাতকোত্তর শেষ করে বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩৬ তম বিসিএসে সহকারী কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৮ সালে টাঙ্গাইল জেরা প্রশাসকের কার্যালয়, ২০২২ সালে দেলদুয়ার উপজেলা সহকারী কমিশনার এবং ২০২৩ সালের ১১ জুন মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। তার নিজ জেলা ঝিনাইদাহ। তার স্বামী সমীর কুমার সাহা বিসিএসে উত্তীর্ন হয়ে মৎস কর্মকর্তা হিসেবে সখীপুর উপজেলায় কর্মরত। জনগনের সেবা নিশ্চিত এবং ভূমি অফিসকে দুর্নীতি মুক্ত করতে দিন রাত কাজ করছেন।
উম্মে সালমা সাব রেজিষ্টার ঃ- উম্মে সালমা একজন নিষ্টাবান কর্মকর্তা। প্রশাসনের গুরুত্বপুর্ন পদে কর্মকর্তা হয়েও তিনি অতি সাধারণ জীবন যাপন করেন। সাব রেজিষ্টার পথ অত্যান্ত চ্যালেন্সিং পেশা। তার পরও তিনি থেকে নেই। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা ও গবেষনা বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে ২০১৩ সালে সাব রেজিষ্টার হিসেবে ক্যাডার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি রংপুর ও গঙ্গাচড়া উপজেলা কাজ করেচেন। সর্বশেষ গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ সালে মির্জাপুর উপজেলায় যোগদান। তার কাজে দলিল লেখকসহ রেজিষ্টি করতে আসা সাধারণ জনগন খুবই খুঁশি।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাহমীনা জাহানঃ- তাহমিনা জাহান মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। বিশ^বিদ্যালয় পড়াশেনা শেষ করে সাধারণ শিক্ষা ২২ তম বিসিএস ক্যাডার হিসেবে সরকারি কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি পরিশ্রমী, ন্যায়পরায়ন ও নিষ্টাবান হিসেবে পরিচিত। সরকারী এম এম আলী কলেজ থেকে সহকারী অধ্যাপক থেকে মির্জাপুর উপজেলায় শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজে ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে ২০২২ সালে যোগদান করেন। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত পালন করছেন। তার নিজ জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা। কর্মদক্ষতায় তিনি কলেজকে ঢেলে সাজিয়ে যাচ্ছেন।
মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন সিদ্দিকীঃ- শারমিন সিদ্দিকী অথ্যান্ত মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে অনার্স মাষ্টার্স শেষ করে ২০১৭ সালে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনে যোগদান করেন। তিনি নেত্রকোনা , বাসাইল এবং সর্বশেষ মির্জাপুর উপজেলায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে ২০২৩ সালে যোগদান করেন। তার নিজ জেলা টাঙ্গাইলের বাসাইল। তিনি বলেন,দুই বোন এক বাইয়ের মধ্যে তিনি চ্যালেন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। এই পেশায় আসতে পেরে তিনি নিজেকে গর্ব করেন। নারীদের দেখবাল, তৃণমুলে নারীদের অগ্রযাত্রায় উন্নয়নে কাজ করতে পেরে তিনি খুশি।
সমবায় অফিসার আমিনা পারভীন ঃ- দিনাজপুরের মেয়ে আমিনা পারভীন একজন দক্ষ সমবায় অফিসার। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। দুই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। পড়াশোনা শেষ করে ২০১০ সালে সমবায় কর্মকর্তা হিসেবে খুলনা, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ এবং ২০১৩ সালে মির্জাপুর উপজেলায় সমবায় কর্তাকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তার ছোট বোন আয়শা আক্তার পপি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে পড়াশেনা শেষ করে বিদেশে স্কলারশিপে চাকুরী করেন। নান প্রতিকুলতা পেরিয়ে তৃণমুলে সমবায়ীদের নিয়ে ন্যায়, নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে সমাজ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন বরে জানিয়েছেন।
পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল ঃ- সাবেক প্রয়াত মেয়র শাহাদত হোসেন সুমনের সহধর্মীনী সালমা আক্তার শিমুল। তার গ্রামরে বাড়ি পুষ্টকামুরী। ২০২০ সালে তার স্বামীর মৃত্যুর পর বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় মেয়র নির্বাচিত হন। ২০২১ সালে আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হয়ে মির্জাপুর পৌরসভাকে মডেল হিসেবে উপহার দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার আন্তরিকতায় পৌরসভার সকল কর্মকর্তা কর্মচারী উৎসাহ উদ্দীপনায় কাজ করে যাচ্ছন। পৌরভার ৯ টি ওয়ার্ডে তিনি সুষম উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা ঃ- মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা জাহাঙ্গীর নগর বিশ^বিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। একাধারে তিনি শিল্পী, রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে বিপুল ভোটরে ব্যবধানে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচতি হয়ে তৃণমুলে নারী উন্নয়ন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধসহ শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন। একই ভাবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরিফা বেগম, পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী, ভারতেশ^রী হোমসের প্রিন্সিপাল মন্দিরা চৌধুরী, ওয়ার্শি ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সচিব এবং উত্তর পেকুয়া জাগরণী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শরীন আক্তার ন্যায়, নিষ্টা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসরে স্পিকার ও বিরোধী দলের নেত্রীও নারী। তারা দক্ষতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করছেন। নারীদীর্ঘ দিন পর এই প্রথম ১৫ জন নারী কর্মকর্তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ করচেন যা একটি বিরল দৃষ্টন্ত। তারা তাদের নিজেদের কর্মদক্ষতায় সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন যা প্রশংসার দাবীদার।