বাংলা নিউজ
Monday, March 17, 2025
Home Blog Page 70

মির্জাপুরে আওয়ামীলীগের পুর্নাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেলেন যারা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট্য আওয়ামীলীগের পুর্নাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেয়েছেন ত্যাগী, পরিক্ষিত এবং রাজ পথে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করে দলকে টিকিয়ে রেখেছেন। নতুন কমিটিতে তৃণমুলের কর্মী বান্ধব ত্যাগী নেতা, সাবেক ও বর্তমান এমপি, পৌরসভার বর্তমান ও সাবেক মেয়র, বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলাালীগ, শিল্পী ও শিক্ষক রয়েছেন। আজ শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এ চিত্র তুলে ধরেন।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারন সম্পাদক এড. জোয়াহেরুল ইসলাম জহের এমপির স্বাক্ষরিত কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন তারা হলেন সাবেক ভিপি ও কর্মী বান্ধব নেতা মীর শরীফ মাহমুদ সভাপতি, সহসভাপতি পদে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এস এম মোজাহিদুল ইসলাম মনির, খন্দকার আব্বাছ বিন হাকিম, শিল্পপতি মো. আবুল কালাম আজাদ লিটন, মোহাম্মদ আলী, জেলা পরিষদের সদস্য মো. সাইদুর রহমান খান বাবুল, সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল, তৌফিকুর রহমান তালুকদার রাজিব ও ব্যবসায়ী মো. মঞ্জুরুল কাদের বাবুল। সাধারন সম্পাদক পদে সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মো. একাব্বর হোসেনের পুত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. আবু রায়হান সিদ্দিকী, মো. সিরাজ মিয়া, ও মো. মাজহারুল ইসলাম শিপলু। দপ্তর সম্পাদক পদে মো. জহিরুল ইসলাম জহির। আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. শামীম কবির শামীম। কৃষি ও সমবায় সম্পাদক পদে মো. আলাউদ্দিন আল আজাদ। তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক পদে বাবু নন্দ দুলাল গোষ্মামী। ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. আজাহারুল ইসলাম আজাহার। ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে হাজী আব্দুল লতিফ। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মিজু আহম্মেদ। বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদে এম এ কুদ্দুছ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. শহিদুর রহমান লাবু। মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রয়াত মেয়র সাহাদত হোসেন সুমনের সহধর্মীনী ও পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক পদে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাজাহান সাজু। যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. মাববুব হোসেন ফিরোজ। শিক্ষা ও মানব সম্পাদক বিষয়ক পদে মো. আব্দুর রউফ। শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক পদে মীর চঞ্চল মাহমুদ। সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে সংগীত শিল্পী খন্দকার আব্দুল মোমেন। স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক পদে মো. মাসুদ রানা মাসুম। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মো. আমিনুর রহমান আকন্দ, যুবলীগের আহবায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলেল আহবায়ক মো. শামীম আল মামুন ও সোহেল রানা। সহ-দপ্তর সম্পাদক পদে এ কে এম আলম সারোয়ার টিপু। সহ প্রচার সম্পাদক পদে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেন এবং কোষাধক্ষ পদে মীর লতিফ মাহমুদ।
কার্যকরী সদস্য পদে রয়েছেন সাবেক এমপি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুর রহমান খান ফারুক, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মীর দৌলত হোসেন বিদ্যুৎ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক, ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি, মেজর (অব.) খন্দকার এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোবারক হোসেন সিদ্দিকী, মো. নুরুল ইসলাম নুরু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক দুর্লভ চন্দ্র বিশ^াস, মাহবুব আলম মল্লিক হুরমহল, সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুর রহমান শহিদ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম সিদ্দিকী খোকন, এস এম ছানোয়ার হোসেন, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মো. একাব্বর হোসেনের সহধর্মীনী মিসেস ঝরনা হোসেন, মো. আকরাম হোসেন রতন, আব্দুল মান্নান সিকদার, চেয়ারম্যান বিভাস সরকার নুপুর, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা, সাবেক চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মিল্টন, যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. শাহিন আলম, মো. সিরাজ উদ্দিন, মো. মনিরুজ্জামান ভূইয়া শরীফ, বাবু সুনিল সারথী বর্মন, মো. মোতালেব মিয়া, মো. উবাইদুর রহমান মতি, আজিজা সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি হাজী আবুল হোসেন, মমতাজ বেগম, মো. আব্দুর রশিদ, মো. আলতাব হোসেন, যুবলীগের সাবেক আহবায়ক জি এস সেলিম সিকদার, টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মীর মইন হোসেন রাজিব, ব্যবসায়ী মো. ইমান আলী, দেওহাটা এ জে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম এবং মো.ইজ্জত আলী জনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ এবং সাধারন সম্পাদক ব্যরিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত বলেন, নতুন কমিটিতে তৃণমুলের কর্মী বান্ধব ত্যাগী নেতা, সাবেক ও বর্তমান এমপি, পৌরসভার বর্তমান ও সাবেক মেয়র, বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলাালীগ, সংগীত শিল্পী, শিক্ষকসহ সকল নেতাকর্মীদের সমন্ময়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের পুনাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে যা জেলা কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন।

মির্জাপুরে আওয়ামীলীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটি ঘোষনা, স্থান পেয়েছে নতুন মুখ

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট্য নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারন সম্পাদক এড. জোয়াহেরুল ইসলাম জহের এমপির (স্বাক্ষরিত পত্রে) অনুমোদিত গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর রাতে) নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী ও চাঙ্গা করতে নতুন কমিটিতে বেশীর ভাগ স্থান পেয়েছে নতুন মুখ। প্রবীন ও নবীনদের সমন্ময়ে নতুন কমিটি ঘোষনা হওয়ায় উচ্ছসিত স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলে জানা গেছে। নতুন কমিটি ঘোষনা হওয়ায় অনেকেই মিষ্টি মুখ করতে দেখা গেছে।
গত ৩১ মার্চ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মীর শরীফ মাহমুদ সভাপতি এবং ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছিল। ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সম্মাদকমন্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ভোলা এমপি। সম্মেলনের ৬ মাস পর কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের পরামর্শে পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষষনা করা হয়েছে বলে সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত জানিয়েছেন। নতুন কমিটির নতুন মুখ হিসেবে স্থান পেয়েছেন সহসভাপতি ব্যবসায়ী মো. মঞ্জুরুল কাদের বাবুল, সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল, তৌফিকুর রহমান তালুকদার রাজিব, সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. আমিনুর রহমান আকন্দ, শামীম আল মামুন এবং ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে মো. আজাহারুল ইসলাম। এছাড়া সাবেক যুবলীগ নেতা জিএস সেলিম সিকদার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. আওলাদ হোসেনও নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ মির্জাপুর সরকারী কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এড, এ. বি. এম. রিয়াজুল কবীর কাওসার, টাঙ্গাইল জেলা আওায়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিদযোদ্ধা মো. ফজলুর হমান খান ফারুক, খান আহমেদ শুভ এমপি, এড জোয়াহেরুল ইসলাম জহের এমপি, তানবীর হাসান ছোট মনির এমপি, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. মামুনুর রশিদ প্রমুখ। কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ মীর শরীফ মাহমুদকে সভাপতি এবং ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্তকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষনা করেন। সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে পুনাঙ্গ কমিটি গঠন করার জন্য নেতৃবৃন্দ নির্দেশ প্রদান করেন। সম্মেলনের ৬ মাস পর মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের পুনাঙ্গা কমিটি ঘোষনা হওয়ায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম জহির এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও খান আহমেদ শুভ এমপির ব্যক্তিগত একান্ত সহকারী মীর আসিফ অনিক বলেন, দলকে সু-সংগঠিত করতে নবীন, প্রবীন এবং দক্ষ নেতাকর্মীদের মুল্যায়ন করে নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
নতুন কমিটির সভাপতি সাবেক ভিপি ও কর্মী বান্ধক দক্ষ সংগঠক মীর শরীফ মাহমুদ এবং সাধারন সম্পাদক ব্যরিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত বলেন, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সু-সংগঠিত। নতুন কমিটি গঠন করতে তৃনমুলের ত্যাগী নেতাদের মুল্যায়ন করা হয়েছে। জেলা নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নতুন কমিটি নতুন উদ্যোম নিয়ে কাজ করবে।

 

মির্জাপুরে নাটাবের উদ্যোগে তামাক নিয়ন্ত্রন আইন বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর উদ্যোগে তামাক নিয়ন্ত্রন আইন বাস্তবায়নের লক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পৌরসভা মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল। বক্তব্য রাখেন নাটাবের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. ফিরোজ আহমেদ, নাটাব টাঙ্গাইল জেলার প্রোগ্রাম অফিসার মো. শাহিনুর রহমান, পৌরসভার কাউন্সিলর মো. আলী আজম সিদ্দিকী ও পৌরসভার সচিব মো. আব্দুস সালাম প্রমুখ।
এ সময় পৌরসভার প্রধান হিসাব রক্ষক আবুল হাসনাত আকন্দ,কাউন্সিলর তাপস সাহা, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল জলিল, সুমন হক, শামীম খান, আব্দুর রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান, আব্দুর রউফ দুলাল, মহিলা কাউন্সিলর চন্দনা দে, রওশনারা বেগম ও আফসানা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বেসরকারী সংগঠন আতœ কল্যাণ সংস্থা (এ কে এস)।

মির্জাপুরে শান্তিপুর্ন পরিবেশে এসএসসি দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শান্তিপুর্ন পরিবেশে প্রথম দিনের এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা এগারটার কঠোর নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে মির্জাপুর এস কে পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জামুর্কি এন এস এ জে উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, বাঁশতৈল মো. মনশুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাপুর আফাজ উদ্দিন দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু হয়।
উপজেজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হায়দার জানান, চলতি বছর মির্জাপুর উপজেলায় ৬ হাজার ১৫৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করছে। এসএসসি সাধারন শাখায় ৫ হাজার ৪৪৫ জন, দাখিল পরীক্ষায় ৩৫২ জন এবং ভোকেশনাল (কারিগরি শাখায়) ৩৪৭ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়োজিত কেন্দ্র সচিব, সহকারী সচিব ও কক্ষ পরিদর্শকদের সার্বিক সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ন পরিবেশে প্রতিটি কেন্দ্রে পরীক্ষা শেষ হয়েছে।
কেন্দ্র সচিব ও সহকারী কেন্দ্র সচিব মো. সুলতান উদ্দিন, মো. তোফাজ্জল হোসেন, প্রফুল্ল কুমার সরকার, ও এমরান হোসেন বলেন, দুই বছর করোনার পর হলেও এ বছর শিক্ষার্থীরা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করছে। প্রতিটি কেন্দ্রে সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে বলেন, উপজেলা প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, শিক্ষক মন্ডলী, অভিভাবক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেল নেতৃবৃন্দসহ সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সম্পুর্ন নকল মুক্ত পরিবেশ এবং সু-শৃঙ্খল ভাবে প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আগামী দিনের পরীক্ষাগুলো আরও সুন্দর হবে বলে তিনি আশা করছেন।

 

টাঙ্গাইলে রিটার্নিং অফিসারের নিকট মনোয়নপত্র জমা দিলেন ফজলুর রহমান ফারুক

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ড. মো. আতাউল গনির নিকট মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা ফজলুর রহমান খান ফারুক। আজ বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) উৎসব মুখর পরিবেশে তিনি এ দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ সময় টাঙ্গাইল জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসার এ এইচএম কামরুল হাসান, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এড. মো. জোয়াহেরুল ইসলাম জহের এমপি, মো. ছানোয়ার হোসেন এমপি, খান আহমেদ শুভ এমপি, তানবীর হাসান ছোট মনি এমপি, টাঙ্গাইল পোৗরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আশরাফ-উজ্জামান স্মৃতি, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. মামুনুর রশিদ মামুন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ শাজাহান আনসারীসহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা ফজলুর রহমান খান ফারুকের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার কহেলা গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। একাধারে তিনি কবি, সাহিত্যিক, গল্পকার, সমাজ সেবক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ নানা গুনে গুনান্মিত। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পরেন। ৫২ ভাষা আন্দোলন, ৫৪ যুক্তফ্রন্ট, ৬৯ এর গণঅভ্যুথান, ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে তিনি টাঙ্গাইলের আওয়ামীলীগকে অত্যান্ত সু-সংগঠিত করে রেখেছেন। তিনি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে অত্যান্ত দক্ষ ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন একুশে পদক। আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন। টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদ ও টাঙ্গাইলের অভিভাবক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুককে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগের মনোয়ন বোর্ড নৌকার টিকেট দিয়েছেন। বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রবীন এই রাজনীতিবিদ দ্বিতীয় বারের মত টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত এখন সময়ের ব্যাপার বলে দলীয় নেতাকর্মীগন জানিয়েছেন।

মির্জাপুরে সামাজিক সম্পৃতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
আজ মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা সামাজিক সম্পৃতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুপুরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম ও মির্জাপুর থানার সেকেন্ড অফিসার মো. মোশারফ হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, গনমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক প্রতিনিধি ও সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জাপুরে সাবেক ভিপি হযরত আলীর উদ্যোগে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী অনুষ্ঠান

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা সদরের এস কে পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী অনুষ্ঠান হয়েছে। মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও সাবেক ভিপি শিক্ষানুরাগী মো. হযরত আলী মিঞার উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে এ বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সুলতান উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিদায়ী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, অনুষ্ঠানের আয়োজক ও মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও সাবেক ভিপি শিক্ষানীরাগী মো. হযরত আলী মিঞা, মির্জাপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি বাবু নিরঞ্জন পাল, মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, শামীম সুমন, সমাজ সেবক মো. লিটন ও শহিদ মিয়া প্রমুখ। পরে এসএসসি পরীক্ষার্থী বিদায়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।

মির্জাপুরে উৎসব মুখর পরিবেশে তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলার উদ্বোধন

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় তিন দিন ব্যাপী উৎসব মুখর পরিবেশে কৃষি মেলা শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) মির্জাপুর উপজেলা কৃষি অফিস চত্তরে সকাল ১১ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহাম্মেদ শুভ এমপি। মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আজহারুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা শামীমা আক্তার শিফা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার পাল। মেলায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কৃষক- কৃষানী এবং বিভিন্ন সংগঠন ফলজ, বৃক্ষসহ ঔষধী স্টলের আয়োজন করে। পরে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রদান করা হয়। তিন দিন ব্যাপি মেলা উপলক্ষে রয়েছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

ঢাকা মহানগর উত্তরের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জুবায়ের সিদ্দিকীকে মির্জাপুরে সংবর্ধনা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
ঢাকা মহানগর (উত্তর) বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবকলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. জুবায়ের হোসেন সিদ্দিকীকে আজ রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বিকেল সারে তিনটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক এবং গোড়াই-সখীপুর রোডে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে তাকে অভিনন্দন জানানো হয়। বিকেলে আজগানা ইউনিয়নের ঘাগড়াই কুড়াতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এলাকাবাসি। অনুষ্ঠানের শুরুতেই এলাকাবাসির পক্ষ থেকে তাকে ফুলের তোরা দিয়ে বরন করে নেওয়া হয়। জুবায়ের হোসেন সিদ্দিকী ১১ নং আজগানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা ইটভাটা মালক সমিতির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য হাজী মোক্তার আলী সিদ্দিকীর পুত্র।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মির্জাপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মো. আমিনুর রহমান আকন্দ, আজগানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা ইটভাটা মালক সমিতির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য হাজী মোক্তার আলী সিদ্দিকী, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ মল্লিক, সংবর্ধিত ঢাকা মহানগর (উত্তর) বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবকলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. জুবায়ের হোসেন সিদ্দিকী প্রমুখ।

মির্জাপুরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কমিটি বাতিল

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
অনিয়মের অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মির্জাপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক কমিটি বাতিল করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে এবং সাধারন সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুন স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে মির্জাপুর উপজেলা শাখার পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কমিটি বাতিল করা হয়েছে। আজ রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, আহবায়ক কমিটি দেওয়ার পর কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হওয়ায় সনাতন ধর্মের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং আহবায়ক কমিটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসে। টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রবীন নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা মো. ফজলুর রহমান খান ফারুক এবং সাধারন সম্পাদক এড. জোয়াহেরুল ইসলাম জহের এমপির সঙ্গে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মির্জাপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক কমিটি বাতিল করা হয়েছে। নতুন কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত মির্জাপুর উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবেন টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন কমিটি।
জানা গেছে, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মির্জাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক এবং সাধারন সম্পাদক বাবু প্রমথেস গোষ্মামী সংকর। এই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ১৫ জুলাই টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয় ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মির্জাপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নতুন কমিটি গঠনের জন্য। গত ২ আগস্ট জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরিত পত্রে আগামী ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মির্জাপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নতুন কমিটি গঠনের জন্য সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক এবং সাধারন সম্পাদক প্রমথেস গোষ্মামী সংকরকে নির্দেশনা দেন।
এদিকে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দকে ভুল বুঝিয়ে সনাতন ধর্মের কিছু নেতা ২৫ জনের নামের তালিকা দিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠনের প্রস্তাব জমা দেন। জেলা কমিটির সভাপতি- সম্পাদক গত ২২ আগস্ট ঐ আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়ে চিঠি দেন। কমিটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলককে আহবায়ক এবং বিপ্লব কুমার সাহাকে সদস্য সচিব করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট্য সদস্য রাখা হয়। ঐ আহবায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকে মির্জাপুর পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নের সনাতন ধর্মের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তারা আহবায়ক কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের জন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি- সাধারন সম্পাদক এবং জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি-সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন বলে জানায়।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সঠিক তথ্য না দিয়ে একটি পক্ষ মির্জাপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কমিটি নিয়ে ছিলেন। ফলে আহবায়ক কমিটি নিয়ে এলাকায় নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়। জেলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরামর্শ করে মির্জাপুর উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কমিটি বাতিল করা হয়েছে। জেলা নেতৃবৃন্দ মির্জাপুর উপজেলার সনাতন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে বসে নতুন ভাবে সুন্দর ও গ্রহনযোগ্য মির্জাপুর উপজেলায় পূজা উদযান পরিষদের কমিটি দেবেন। বাতিলকৃত আহবায়ক কমিটির কোন নেতা বেআইনী ভাবে কোন কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত হলে তাদরে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ (বাতিলকৃত) মির্জাপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক বীর মুক্তিদেযাদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক এবং সদস্য সচিব বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, গঠনতন্ত্র মোতাবেক তিন মাসের আগে আহবায়ক কমিটি বাতিলের কোন একতিয়ার জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি-সম্মাদকের নেই। গত ১৫ দিন আগে তাদের স্বাক্ষরে আহবায়ক কমিটি দিয়েছেন। এই আহবায়ক কমিটি বৈধ বলে তারা দাবী করেন।