বাংলা নিউজ
Tuesday, March 18, 2025
Home Blog Page 18

মির্জাপুরে বিশ^ স্কাউটস দিবস পালিত

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
স্মাট স্কাউটিং, স্মাট সিটিজেন- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিশ^ স্কাউটস দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ স্কাউটস মির্জাপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে সকালে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি উপজেলা পরিষদ চত্তর থেকে বের হয়ে রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার প্রবীর কুমার চৌধুরী, বাংলাদেশ স্কাউটস মির্জাপুর উপজেলা শাখার কমিশনার ও দেওহাটা এ জে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম, সাধারণ সম্পাদক মো. আজাহারুর ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. যুবদীল খান এবং প্রধান শিক্ষক মো. আজিজুর রহমান জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জাপুরে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত, শতাধিক শিল্প কারখানায় উৎপাদন মারাত্বক ব্যহৃত

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
ভয়াবহ লোডশেডিং এর কবলে পরেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর। লোড শেডিং এর কারনে গোড়াই শিল্পাঞ্চলে শতাধিক শিল্পকারখানায় উৎপাদন মারাত্বক ভাবে ব্যহৃত হচ্ছে। ফলে জন জীবন অতিষ্ঠ্য হয়ে উঠেছে। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম এবং সরবরাহ না পাওয়ায় লোডশেডিং দিতে তারা বাধ্য হচ্ছেন। এদিকে পবিত্র রমজান মাসে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবীতে বিক্ষুব্দ এলাকাবাসি গতকাল শনিবার বহুরিয়া বাজারে মানব বন্ধনসহ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। দুই এক দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ উন্নতি না হলে তারা বৃহত্তর কর্মসুচী ঘোষনা দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করবে বলে ঘোষনা দিয়েছেন। আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের হাতে পুরোপুরি জিম্মি হয়ে পরায় গ্রাহকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় বিদ্যুৎ অফিসে হামলার আশংকা রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত রমজান শুরু হওয়ার পর থেকেই মির্জাপুরে ভয়াবহ লোড শেডিং চলছে। এক দিকে লোড শেডিং অপর দিকে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। একই ভাবে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, সখীপুর, বাসাইল, নাগরপুর, দেলদুয়ার, টাঙ্গাইল সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় একই অবস্থা বলে ভুক্তভোগি লোকজন জানিয়েছেন। এদিকে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চল। এখানে ছোট বড় মিলে শতাধিক শিলকারখানা হয়েছে। এসব কারখানায় উৎপাদন হয় মুলত বিদ্যুতের উপর। গত এক মাস ধরে মারাত্ব ভাবে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেওয়ায় তাদের কোটি কোটি টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে মালিক পক্ষ অভিযোগ করেছে। বৃহৎ কারখানার মধ্যে রয়েছে নাহিদ কটন মিলস লি. কমফিট কম্পোজিট নীট লি. সাইথ ইস্ট টেক্্রটাইল মিলস লি. মেঘনা গ্রুপ অপ ইন্ডাসট্রিজ, শিরিন স্পিনিং মিলস লি. উত্তরা স্পিনিং মিলস লি. নিউটেক্্রট গ্রুপ অব ইন্ডাসট্রিজ, খান গার্মেন্টস, নাসির গ্রুপ অব ইন্ডাসট্রিজ, বেঙ্গল এন এক এফ লি. উল্লেখ যোগ্য।
কমফিট্র কম্পোজিট নীট লি. এর জেনারেল ম্যানেজার মো. ফারুক হোসেন এবং নাহিদ কটন মিলের জেনারেল ম্যানেজার মো. শহীদুল আলম বলেন, এক দিকে গ্যাস সংকট, অপর দিকে নতুন করে যোগ হয়েছে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং। উৎপাদন প্রায় শুন্যের কোঠায় নেমে আসায় তাদরে ্রপতি দিন কোটি কোটি টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে।
উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সুত্র জানায়, বেশ কিছু দিন ধরে তামপাত্রা ৩৯-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছে। তাপ দাহের কারনে নিয়মিত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। তার উপর বৃষ্টি নেই। মির্জাপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের অধিনে শিল্পকারখানাসহ গ্রাহক রয়েছে ৯০ হাজার এবং গোড়াই পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের অধিনে শতাধিক শিল্প কারখানাসহ গ্রাহক রয়েছে ৭০ হাজার। সব মিলিয়ে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৫৬ মেগাওয়াট। চাহিদার বিপরীতে এখন বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ২৪-২৫ মেগাওয়াট। ফলে বাধ্য হয়ে লোড শেডিং হচ্ছে।
৫ নং বানাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকী ও ভাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাসুদুর রহমান মাসুদসহ অন্তত ১৫ জন ভুক্তভোগি অভিযোগ করেন, ভয়াবহ লোড শেডিং হওয়ায় তারা চরম বিপাকে পরেছেন। লোড শেডিং এর কারনে সেহরী ওইফতারও ঠিকমত করতে পারচেন না। এক দিকে প্রচন্ড গরম অপর দিকে ভয়াবহ রোডশেডিং। লোড শেডিং এর কবলে শিল্পাঞ্চলসহ কৃষি কাজে মারাত্বক সমস্যা দেখা দিয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে আবাদ বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গড়ে তিন থেকে চার ঘন্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছে না বলে তারা অভিযোগ করেন।
টাঙ্গাইল পল্লী বিদ;্যুৎ সমিতি-১ এর মির্জাপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. জাকির হোসেন ও গোড়াই জোনাল াফিসের ডিজিএম খালিদ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, মির্জাপুরে প্রায় এক লাখ ৬৯ হাজার গ্রাহকের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৫৬ মেগাওয়াট। সরবরাহ পাচ্ছে ২৪-২৫ মেগাওয়াট। গরম বেশী ও বৃষ্টি না হওয়ায় লোড শেডিং হচ্ছে।

মির্জাপুরে ভাতিজার হাতে চাচা খুনের ঘটনায় প্রধান আসামীসহ দুইজন গ্রেফতার

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভাতিজার হাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর সাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক চাচা কাজী আশরাফুল আলম (কাজী আলম) খুনের ঘটনার প্রধান আসামী কাজী কামরুজ্জামান পলাশ (২৯) এবং তার মা কহিনুর বেগম (৫৫) গ্রেফতার হয়েছে। প্রধান আসামী কাজী কামরুজ্জামানকে র‌্যাব-১২ টাঙ্গাইল এর অধিনায়ক মেজর মনজুর মেহেদী ইসলামের নেতৃত্বে ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকা থেকে এবং তার মা কহিনুর বেগমকে কুরনী এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ভাতিজা নিজ বাড়িতে ঢুকে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ও লাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে চাচাকে খুন করেছে বলে কাজী আলমের পরিবার অভিযোগ করেছেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তিন নম্বর ফতেপুর ইউনিয়নের কুরনী গ্রামে এ অমানবিক খুনের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ভাতিজার হাতে খুনের শিকার কাজী আলমের ছেলে কাজী হারিজ জানান, তার চাচা কাজী রফিকুল ইসলাম বাবুলের সঙ্গে বাড়ির সীমানাসহ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ৩০ মার্চ শনিবার বাড়ির সীমানা ও জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে গত রবিবার (৩১ মার্চ) চাচাতো ভাই প্রকৌশলী কাজী কামরুজ্জামান পলাশ বাড়িতে এসে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার বাবাকে হত্যার জন্য মরিচের গুড়া চোখে মুখে ও শরীরে ছিটিয়ে ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার প্রথমে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার (১ এপ্রিল) ভোর রাতে তিনি মারা যান। ঘটনার পর থেকেই কামরুজ্জামান পলাশ পলাতক ছিল। র‌্যাব অভিযান চালিয়ে গতকাল বুধবার তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তার মা কহিনুর বেগমকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার খুনের ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারী কাজী কামরুজ্জামান পলাশকে প্রধান আসামী করে কাজী আলমের পুত্র কাজী আব্দুল্লাহ আল আরিফ বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা হয়। হত্যাকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান পলাশ আগারগাঁও এলজিইিডি অফিসে কর্মরত। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাজী কামরুজ্জামান পলাশসগ জড়িতদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে কাজী আলমের পরিবার।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ওসি মো. রেজাউল করিম বলেন, মামলার পর কাজী আলম খুনের ঘটনায় মামলার পর তদন্তকারী অফিসার নবী হোসেন অভিযান চালিয়ে প্রথমে কহিনুর বেগমকে এবং পুরে র‌্যাব টাঙ্গাইল অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী কামরুজ্জামান পলাশকে গ্রেফতার করেছে। তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

মির্জাপুরে শিক্ষকদের সঙ্গে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মতবিনিময় সভা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন নবাগত উপজেরা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম। আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতেই শিক্ষকদের পক্ষ থেকে নবাগত নির্বাহী অফিসারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। বরাটী নরদানা বাংশাদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মীর আনোয়ার হোসেন টুটুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক মো. সুলতান উদ্দিন, বাংলাদেশ স্কাউটস মির্জাপুর উপজেলা শাখার কমিশনার মো. খোরশেদ আলম এবং বাঁশতৈল মো. মনশুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. এমরান হোসেন প্রমুখ। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়সহ শিক্ষকদের সার্বিক উন্নয়ন ও সহযোগিতার আশ^াস দিয়েছেন নবাগত নির্বাহী নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম।

মির্জাপুরে চলন্ত বাসে ডাকাতি গুলি বর্ষণ পুলিশের এসআই আহত, এক ডাকাত গ্রেফতার

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চলন্ত বাসে যাত্রী বেসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বাস নিয়ন্ত্রণে আনতে ও ডাকাত ধরতে পুলিশ গুলি বর্ষণ করলে নৌ পুলিশের এক সদস্য আহত হয়েছে। বাস থেকে এক ডাকাতকে গ্রেফতার করতে পারলে অপর ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। আহত নৌ পুলিশ সদস্য এসআই সুভাষ চন্দ্রকে মির্জাপুর কুমদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোহেল রানা (২৮) ডাকাত দলের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার পিতাতার পিতার নাম সৌখিন মিয়া, গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই হাইওয়ে থানার পুর্ব পাশে হাটুভাঙ্গা ফ্লাইওভার ব্রিজের পাশে বাস ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার বিস্তারিত জানাতে আজ বুধবার দুপুরে গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশ সংবাদ সস্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনাল অফিসের সহকারী পুলিশ সুপার রাজিউর রহমান। এ সময় গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আনিছুজ্জামান আনিছু উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, রাজশাহীগামী আব্দুল্লাহ পরিবহনের একটি বাসে গতকাল মঙ্গলবার রাতে যাত্রীবেসে ৩০-৩৫ জনের ডাকাত উঠে। বাসটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর দিকে রওয়ানা হয়। ৫/৬ জন ডাকাত চালককে অস্্েরর মুখে জিম্মি করে বাসটি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে যাত্রীদের মারপিট করে মালামালসহ টাকা পয়সা লুটে নেয়। বাসটি আবার টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে ঘুরে গাজীপরের চন্দ্রর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। ডাকাতদের হামলায় আহত এক যাত্রী জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে হাইওয় পুলিশের সহায়তা চান। গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশ, মির্জাপুর থানা পুলিশ ও দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ বাহিনীর সদস্যগন মহাসড়কের উপর ব্যারিকেট দিলে ডাকাত দলের সদস্যরা ব্যারিকেট অমান্য করে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় হাইওয় থানা পুলিশের এক সদস্য গুলি বর্ষণ করে ডাকাতদের ধরার চেষ্টা এবং বাসটি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন। বাসটিতে যাত্রী হিসেবে থাকা নৌ পুলিশ সদস্য এসআই সুভাষ চন্দ্রকে ডাকাত দলের সদস্যরা হামলা চালিয়ে আহত করে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং সোহেল রানা নামে এক ডাকাতকে গ্রেফতার করে। ডাকাত দলের অপর সদস্যরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে গোড়াই হাইওয় থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আনিছুজ্জামান আছিন বলেন, এক ডাকাতকে গ্রেফতার করে মির্জাপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিয়মিত মামলা হয়েছে। পলাতক ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছেন পুলিশ। আহত নৌ পুলিশের সদস্য এসআই সুভাষ চন্দ্র চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ওসি মো. রেজাউল করিম বলেন, বাসসহ সন্দেভাজন এক ডাকাত থানা হেফাজতে রয়েছে। বাসের চালক বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

মির্জাপুরে ভাতিজার হাতে চাচা খুনের মামলা এক নারী আসামী গ্রেফতার

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রকৌশলী ভাতিজা কাজী কামরুজ্জামান পলাশের হাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর সাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক চাচা কাজী আলম (৬৫) খুনের ঘটনার মামলায় কহিনুর বেগম (৫৫) নামে এক আসামীগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কুরনী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রধান আসামী কাজী কামরুজ্জামান পলাশ এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে মাঠে নেমেছেন পুলিশ। পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ভাতিজা নিজ বাড়িতে ঢুকে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ও লাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে চাচাকে খুন করেছে বলে কাজী আলমের পরিবার অভিযোগ করেছেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তিন নম্বর ফতেপুর ইউনিয়নের কুরনী গ্রামে এ অমানবিক খুনের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) ভাতিজার হাতে খুনের শিকার কাজী আলমের ছেলে কাজী হারিজ জানান, তার চাচা কাজী রফিকুল ইসলাম বাবুলের সঙ্গে বাড়ির সীমানাসহ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ৩০ মার্চ শনিবার বাড়ির সীমানা ও জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে গত রবিবার (৩১ মার্চ) চাচাতো ভাই প্রকৌশলী কাজী কামরুজ্জামান পলাশ বাড়িতে এসে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার বাবাকে হত্যার জন্য মরিচের গুড়া চোখে মুখে ও শরীরে ছিটিয়ে ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার প্রথমে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার (১ এপ্রিল) ভোর রাতে তিনি মারা যান। খুনের ঘটনায় ময়না তদন্তের পর গতকাল সোমবার বিকেলে কুরনী জালাল উদ্দিন স্কুল মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তার বাবা কাজী আলমের লাশ দাফন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই ভাতিজা কামরুজ্জামান পলাশসহ তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার খুনের ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারী কাজী কামরুজ্জামান পলাশকে প্রধান আসামী করে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা করেন কাজী আলমের পুত্র কাজী হারিজ। মামলার বাদী কাজী হারিজ জানান, হত্যাকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান পলাশ আগারগাঁও এলজিইিডি অফিসে কর্মরত। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাজী কামরুজ্জামান পলাশসহ তার পরিবারের রোকজনদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে কাজী আলমের পরিবার।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা পুলিশ জানায় কাজী আলম খুনের ঘটনায় মামলার পর তদন্তকারী অফিসার নবী হোসেন অভিযান চালিয়ে কহিনুর বেগম নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করা করেছে। প্রধান আসামী কাজী কামরুজ্জামন পলাশকে গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে নেমেছেন।

৩রা এপ্রিল মির্জাপুরে গোড়ান-সাটিয়াচড়ায় প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ দিবস

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন ৩রা গোড়ান-সাটিয়চড়ায় ঢাকার বাইরে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ দিবস। এই প্রতিরোধ যুদ্ধে ২৯ জন ইপিআর ও ১৫১ জন বাঙ্গালী শহীদ হন। দেশ স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও ঢাকার বাইরে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধের স্থান গোড়ান -সাটিয়াচড়ায় বদ্ধভূমি এবং শহীদদের গণকবর সংরক্ষন হয়নি।
আজ মঙ্গলবার (২ রা এপ্রিল) ৩রা এপ্্িরল ১৯৭১ স্বাধীনতার প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ স্মৃতি সংসদের সভাপতি গোলাম সওজব পাওয়ার চৌধুরী ও আওয়ামীলীগ নেতা তৌফিকুর রহমান তালুকদার রাজিব জানান, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর মুক্তিপাগল জনতা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে। টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুর রহমান খান ফরুক, প্রয়াত সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. একাব্বর হোসেন ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বিরোত্তমের নের্তৃত্বে আপামর জনতা প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেন। স্থান হিসেবে বেছে নেন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়ান-সাটিয়াচড়া। ২রা এপ্রিল মুক্তিপাগল জনতা জানতে পারেন, পাকসেনারা এই রাস্তা দিয়ে গাড়িবহর নিয়ে টাঙ্গাইলের উদ্দেশে আসছে। গোড়ান-সাটিয়াচড়া আসামাত্র চার দিক থেকে আক্রমন শুরু হয়। এই প্রতিরোধ যুদ্ধে ২৯ জন ইপিআরসহ সাটিয়াচড়াসহ আশপাশের গ্রামের ১৫১ জন নারী পুরুষ শহীদ হন। পাকসেনারা হেলিকপ্টারযোগে আক্রমন করে মুক্তিযুদ্ধা, ইপিআর ও নারী পুরুষকে হত্যা করে এবং জালিয়ে পুড়িয়ে দেয় শত-শত ঘরবাড়ি। শহীদদের মধ্যে সুবেদার আব্দুল আজিজ, হাবিলদার আব্দুল খালেক, হাবিলদার খলিলুর, আব্দুল গফুর, মকবুল হোসেন, করটিয়া সরকারী সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক জুমারত আলীসহ ২৯ জন ইপিআর ও ১৫১ জন শহীদ হন।
এদিকে ঢাকার বাইরে মির্জাপুরে এই প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধের স্থানে দীর্ঘ ৫৪ বছরেও বদ্ধভূমি সংরক্ষন ও গণ কবরের স্থান চিহিৃত এবং নির্মান হয়নি বাউন্ডারী। সম্প্রতি টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ একটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্্র নির্মান এবং শহীদদের নামের তালিকা দিয়ে শুধু একটি স্মৃতি ফলক নির্মান করেছেন। ৩ এপ্্িরল ১৯৭১ স্বাধীনতার প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ গোড়ান-সাটিয়াচড়া স্মৃতি সংসদ ও এলাকাবাসী প্রতি বছর দিবসটির স্মরন করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকেন।
এ ব্যাপারে জামুর্কী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডি এ মতিন, স্মৃতি সংসদের সভাপতি গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধুরী বলেন শহীদ পরিবারগুলো রাজধানী ঢাকার বাইওে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন গোড়ান-সাটিয়াচুড়ায় প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধের স্থানে গণ কবর সংরক্ষন এবং চারপাশে বাউন্ডারী নির্মানের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শক্রমে মির্জাপুর উপজেলার গোড়ান-সাটিয়াচড়া এলাকায় প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধের স্থানে শহীদদের গনকবর ও বদ্ধভুমি চিহিৃত এবং তা সংরক্ষনসহ চারপাশে বাউন্ডারী নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

টাঙ্গাইলে কর্মরত জগন্নাত বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ইফতার মাহফিল

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
টাঙ্গাইল জেলায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কর্মরত জগন্নাত বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (১ এপ্রিল) টাঙ্গাইল ঝাউবন রেস্টুরেন্টে এ ইফতার ও মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ইফতারের পুর্বে বিশেষ দোয়া করা হয়। এ সময় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্টি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. এ কে এম মহিউদ্দিন, আয়কর অঞ্চল গাজীপুর বিভাগের উপকর কমিশনার সোহেল রানা, মধুপুর উপজেলার সাবরেজিষ্টার মো. জাহিদুল ইসলাম এবং মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জুবদিল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জাপুরে জমি নিয়ে বিরোধে প্রকৌশলী ভাতিজার হাতে চাচা খুন

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রকৌশলী ভাতিজা কাজী কামরুজ্জামান পলাশের হাতে সাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক চাচা কাজী আলম (৬৫) খুন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ভাতিজা নিজ বাড়িতে ঢুকে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ও লাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে চাচাকে খুন করেছে বলে কাজী আলমের পরিবার অভিযোগ করেছেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তিন নম্বর ফতেপুর ইউনিয়নের কুরনী গ্রামে এ অমানবিক খুনের ঘটনা ঘটেছে।
আজ সোমবার (১ এপ্রিল) নিহত কাজী আলমের ছেলে কাজী হারিজ জানান, তার চাচা কাজী রফিকুল ইসলাম বাবুলের সঙ্গে বাড়ির সীমানাসহ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত শনিবার বাড়ির সীমানা ও জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। গতকাল রবিবার (৩১ মার্চ) চাচাতো ভাই প্রকৌশলী কাজী কামরুজ্জামান পলাশ বাড়িতে এসে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার বাবাকে হত্যার জন্য মরিচের গুড়া চোখে মুখে ও শরীরে ছিটিয়ে ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার প্রথমে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার (১ এপ্রিল) ভোর চারটায় তিনি মারা যান। খুনের ঘটনায় ময়না তদন্তের পর বিকেল পাঁচটায় কুরনী স্কুল মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তার বাবা কাজী আলমকে দাফন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই ভাতিজা কামরুজ্জামান পলাশসহ তার পরিবারের লোকজন পলতাক রয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে কাজী হারিজ রাতে জানিয়েছেন। প্রকৌশলী কামরুজ্জামান পলাশ আগারগাঁও এলজিইিডি অফিসে কর্মরত। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাজী কামরুজ্জামান পলাশসহ তার পরিবারের রোকজনদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে কাজী আলমের পরিবার।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার বলেন, এখন পর্যন্ত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মির্জাপুরে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলমের দায়িত্বভার গ্রহণ

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্বভার গ্রহন করেছেন। আজ রবিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন তার কার্যালয়ে নবাগত নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলমকে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেন। সম্প্রতি জন প্রশাসন মন্ত্রনালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাকিলা বিনতে মতিনকে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলায় বদলী করেছেন। দায়িত্বভার অনুষ্ঠানে এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান, উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শরিফ উদ্দিন, মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সবাপতি মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. শামসুল ইসলাম সহিদসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সুত্র জানায়, শেখ নুরুল আলম ৩৪ তম বিসিএস ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে সুনামের সঙ্গে ¯œাতকোত্তর সম্পন্ন করে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। চাকুরী জীবনে তিনি খুলনা জেলার ডুমুরিয়াসহ দুটি স্টেশনে কাজ করেছেন। তার নিজ জেলা গোপালগঞ্জ জেলায়। এ ব্যাপারে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম বলেন, পুর্বে যারা এই উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন, আমিও তাদের পথ অনুসরন সরে স্থানীয় এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশিল সমাজ, গণমাধ্যমকর্মী এবং উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ ও সমন্ময় করে মির্জাপুরকে মডেল উপজেলা হিসেবে উপহার দিতে চাই।