বাংলা নিউজ
Wednesday, March 19, 2025
Home Blog Page 19

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিনকে বিদায়ী সংবর্ধনা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
বদলীজনিত কারনে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফসার শাকিলা বিনতে মতিনকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় শাকিলা বিনতে মতিনকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় বদলী করেছেন। নতুন ইউএনও হিসেবে আসছেন খুলনার ডোমার উপজেলার ইউএনও শেখ নুরুল আলম। গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অণুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা। বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক, পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম, এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান, মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, প্রেস ক্লাবের সভাপতি শামসুল ইসলাম সহিদ, মির্জাপুর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাধারন সম্পাদক জোবায়ের হোসেন, প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম ও সুলতান উদ্দিন প্রমুখ। পরে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন, মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিদায়ী ইউএনও শাকিলা বিনতে মতিনকে পুষ্পস্তবক ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দিয়ে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়ে।

মির্জাপুরে নবনির্মিত পাঁচটি উন্নয়ন মুলক কাজের উদ্ধোধন করলে জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসন কতৃক উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত সভাকক্ষ, মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, আনসার সদস্যদের বসবাসের জন্য ব্যারাক, উপজেলা প্রশাসন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের নতুন ভবন এবং উপজেলা পরিষদের পুরাতন হল রুম নতুন ভাবে নির্মিত নবনির্মিত এই পাঁচটি উন্নয়ন মুলক কাজের উদ্ধোধন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে তিনি পাঁচটি উন্নয়ন মুলক কাজের উদ্ধোধনের পর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারি বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেন। এ সময় বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান, প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান, কৃষি অফিসার মাহমুদা খাতুন, প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা শুভাশিষ কর্মকার, শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলামসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

মির্জাপুরে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্য গ্রেফপ্তার সাময়িক বহিস্কার, দুই দিনের রিমান্ড

 

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহাসড়কে চাঁদাবাজি করার সময় পোশাক পরিহিত দুই পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে। পুলিশ সদস্য দুই জন হলেন, জেলার বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গ্রামের কৈলা রাজবংশীর ছেলে রিপন রাজবংশী এবং সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার কোদালিয়ার ময়নাল হকের ছেলে মো. মোহসীন মিয়া। তারা দুইজন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানায় কর্মরত রয়েছেন। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই ওই দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিস্কার করেছে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান। মামলার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই পুশিশ সদস্যকে মির্জাপুর থানা পুলিশ দুই দিনের রিমান্ডে এনেছেন। মামলার তন্ত করছেন মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোকাম্মেল হক।

গতকাল সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সতুপূর্ব মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার ধেরুয়া এলাকায় স্থানীয়রা ওই পুলিশ সদস্যদেরকে চাঁদাবাজি করার সময় আটক করে। পরে মহাসড়কের দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির কাছে সোপর্দ করা হয়। ওই রাতেই মধুপুর উপজেলার পিকআপ চালক রানা বাদী হয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম।

আজ মঙ্গললবার (২৬ মার্চ) মির্জাপুর থানা পুলিশ জানা গেছে, মহাসড়কের উপজেলার ধেরুয়া ফ্লাইওভার ব্রীজের দক্ষিণ পাশে একটি পিকআপ সিগনাল দেয়। এসময় চালক ও হেলপারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে পাশেই দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে ১১ হাজার ৫৫০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে চালক ও হেলপারদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে আটক করে। এসময় আটক পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে ৩০ হাজার ২১০ টাকা, একটি মোটরসাইকেল, একটি হ্যান্ডকাফ, পুলিশের পোশাক ও বেল্ট উদ্ধার করা হয়।

এদিকে পুলিশি তল্লশির নামে মির্জাপুর হতে ধেরুয়া পর্যন্ত রাতে মহাসড়কে কয়েকটি পয়েন্টে প্রতিনিয়ত ট্রাক চালক, মোটরসাইকেল, পিকআপের চালকসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের থামিয়ে পুলিশের পোশাক পরিহিতরা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ফলে অনিরাপদ হয়ে পড়েছে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল। গত ১১ মার্চ সোমবার রাতে মহাসড়কের পুষ্টকামুড়ী চরপাড়া এলাকায় গোপাল রাজবংশী নামের একজন মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পুলিশ পরিচয়ে ৫৬ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় মির্জাপুর থানায় অভিযোগ করলেও তার টাকা উদ্ধার হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, পুলিশের পোশাক গায়ে থাকলে তাকে সন্দেহ করার সাহস হয় না। তাও আবার রাতে মহাসড়কে তারা তল্লাশি চালায়। মামলার ভয় দেখিয়ে সুযোগ বুঝে তারা মানুষের কাছে থাকা টাকা পয়সা লুটে নেয়। মহাসড়কের মির্জাপুর অংশের বিভিন্ন পয়েন্টে তারা সময় সুযোগ বুঝে ছিনতাই করে। তবে ওই দুই পুলিশ সদস্য টাঙ্গাইলে গ্রেপ্তার হওয়ায় মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই খলিল ওই দুই পুলিশ সদস্যের তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, তারা দুইজন পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিল। তারা পুলিশের পোশাক সংগ্রহ করে মহাসড়কে ছিনতাইয়ের কাজ করে। এই ঘটনায় একজন পিকআপ চালক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খানের সাথে মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিফ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

মির্জাপুরে গভীর শ্রদ্ধায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
দিবসের প্রথম প্রহরে ৩১ বার ত্বোবধ্বনি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্মৃতিসৌধ অর্জনে পুষ্পস্তবক অর্পন, এক মিনিট নিরবতা পালন ও বীর শহীদদের স্মরনে বিশেষ দোয়াসহ নানা আয়োজনে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আজ মঙ্গলবার ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। সুর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিসৌধ অর্জনে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। এরপর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসএন্ড সিভিল ডিফেন্স ও আনসার ভিডিপির সমন্ময়ে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন, পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিফা, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা, ভাইস চেয়ার মো. আজাহারুল ইসলাম, এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান, ওসি মো. রেজাউল করিম ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জাপুরে সম্মৃতিসৌধ অর্জন ও মুক্তির মঞ্চে প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে শহীদদের স্মরণ

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
২৫ মার্চের কাল রাতে পাকিস্তানী হানাদরদের হাতে নির্মমতার শিকার নিহত শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ অর্জন এবং মুক্তির মঞ্চে প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শহীদদের স্মরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৫ মার্চ) উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সন্ধ্যা সাতটায় উপজেলা পরিষদ চত্তরে মুক্তির মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং স্মৃতিস্যেধ অর্জন ৭১ এ প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়। প্রদীপ প্রজ্জলনের পর বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন, এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এএসএম মোজাহিদুল ইসলাম মনির, শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান, উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইলের নাগরপুরের পাকুটিয়া ইউনিয়ন সচিবের বিরোদ্ধে অনিয়ম, ব্লাকমিল ও দূর্নীতির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
নিরীহ পরিবারকে জিম্মি করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ অনিয়ম, দুর্নীতি ও ব্লাকমিলের অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের নাগরপুরের পাকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আদ্রিতা রহমানের বিরুদ্ধে। চক্রের মাধ্যমে সাজানো অভিযোগে নিরীহ লোকজনকে টার্গেট করে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আপত্তিকর ছবি তুলে সামাজিক গণমাধ্যমে ভাইরাল করা সহ নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

আদ্রিতার প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী পাকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. খোকন মিয়া ন্যায়বিচার চেয়ে বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, টাঙ্গাইলের দুদকের উপ-পরিচালক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

ভুক্তভোগী টাঙ্গাইলের নাগরপুরের পাকুটিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রাথুরা এলাকার মো. খোকন মিয়া অভিযোগ করেন, তিনি বিভিন্ন প্রকল্পে উল্লেখিত সচিব আদ্রিতার সাথে একত্রে কাজ করাকালীন সময়ে মোবাইলে তার ছবি ধারন করে তাকে ব্লাক মেইল করে তার নিকট থেকে বিভিন্ন সময়ে বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে প্রায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার এবং নগদ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেয়। আদ্রিতার মা (ব্রেষ্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত) তার মাকে ভারতে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা বাবদ ২ লক্ষ ,আকুর ঠাকুরপাড়া মুক্তা ক্লিনিকে অপারেশন বাবদ ২ লক্ষ এবং থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা বাবদ ৩ লক্ষ টাকা খোকনের নিকট হতে হাওলাদ নেয়। আদ্রিতা বলে থাইল্যান্ড থেকে এসে আমি হাওলাদের সম্পূর্ন টাকা ফেরত দেব। থাইল্যান্ড থেকে ফেরত আসার কিছুদিন পর আদ্রিতার নিকট হাওলাদের টাকা ফেরত চাইতে গেলে খোকনের সাথে আপত্তিকর ছবি সামাজিক গণমাধ্যমে ভাইরাল করাসহ নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয় এবং আরও টাকা দাবী করে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আদ্রিতা অস্থিত্বহীন ভূয়া জন্ম সনদ তৈরি করে অসৎ উপায়ে লোকের নিকট হতে টাকা হাতিয়ে নেয়। তিনি কোন প্রকার ছুটির দরখাস্ত না দিয়ে নিয়মিত অফিস না করে বিভিন্ন জায়গায় অনৈতিক ভ্রমন করতে যায়, সত্যতা মিলবে তার মোবাইল রেকর্ড লিস্ট ও পাসপোর্ট চেক করলে। তার অনিয়ম, ব্লাকমিল ও দূর্নীতির কারনে পাকুটিয়া ইউনিয়নবাসী অতিষ্ট।

অভিযোগের ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আদ্রিতা রহমানের কথা বললে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি উপজেলা অফিস সূত্রে জানতে পেরেছেন। ‘অভিযোগকারীর জাল জন্ম সনদের বিষয়টি অভিযোগের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি কিভাবে জাল সনদ তৈরি করব। জন্ম সনদের দরখাস্তের ও,টি,পি নাম্বার চেয়ারম্যানের আইডিতে যায়। বিষয়টি চেয়ারম্যান দেখেন। অফিসে অনুপস্থিত ও খোকনের সাথে আপত্তিকর ছবি সামাজিক গণমাধ্যমে ভাইরাল করাসহ নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি, টাকা আত্মসাত ও আরও টাকা দাবী বিষয়গুলি জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যেতে বলে সি এনজি বাবদ পরিষদ থেকে দূত গতিতে চলে যায়।

সচিব আদ্রিতা রহমানের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পাকুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তারা মা ও মেয়ে টাঙ্গাইল জেলা চালায়। আমি ক্ষুদ্র মানুষ তাদের বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।

ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারি মো. সুমন বলেন, জন্ম সনদ তৈরি করার সময় চেয়ারমানের আইডি সচিব ব্যবহার করে। আর সচিবের আইডি আমরা ব্যবহার করি। তিনি আরও বলেন, ওনিতো নিয়মিত অফিসে আসেন না।

ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য পুলিশ (চৌকিদার) গনদের সাক্ষাতে সচিব নিয়মিত অফিসে আসেন না তার সত্যতা পাওয়া গেল।

(উল্লেখ্য সচিব পোস্টে অবৈধ পথ অবলম্বন করে চাকুরী নেওয়ায় তার বিরোদ্ধে ডিসি অফিসে ও পত্রিকায় নিউজ হয়েছিল।)
নাগরপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, পাকুটিয়া ইউনিয়নের সচিবের বিরোদ্ধে একটি অনিয়ম, দূর্নীতি, ব্লাকমেইলের তদন্ত এসেছিল। বিষয়টির তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

মির্জাপুরে আলমোহনা ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসুতির মৃত্যুর পর ক্লিনিক বন্ধ ঘোষনা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আলমোহনা ক্লিনিকে রাশেদা আক্তার মুক্তি (২৬) প্রসুতির মৃত্যুর পর অব্যবস্থাপনা, চরম অবহেলা ও গাফিলতির অভিযোগে ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর আজ মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলাম ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছেন। গত রবিবার (১৭ মার্চ) রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কি এলাকায় সরকারী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্্র সংলগ্ন আলমোহনা হাসপাতাল এন্ড ক্লিনিকে প্রসুতির এ মৃত্যুর হয়। ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। টাঙ্গাইল জেলা সিভিল সার্জন অফিস ও উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অফিসের একাধিক টিম ঐ ক্লিনিক পরিদর্শন করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) মৃতৃ্যু বরণকারী প্রসুতি রাশেদা আক্তার মুক্তির স্বামী সাইফুল ইসলাম জানায়, তাদের গ্রামের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার হিলড়া আদাবাড়ি গ্রামে। গত বছরের মার্চ মাসে তাদের অষ্টম শ্রেণী পড়া কন্যা হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে মারা যায়। তার পর তার বাবাও মারা যায়। কন্যা ও বাবার মতৃ্যুর মোশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার স্ত্রীর মৃত্যু। কি ভাবে আমি বেঁচে থাকবো কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। প্রসব ব্যথা নিয়ে গত রবিবার স্ত্রী রাশেদা আক্তারকে জামুর্কি আলমোহনা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও এনেথসেথিয়া ছাড়াই ভুয়া চিকিৎসক, নার্স ও আয়া দিয়ে দুপুর একটার দিকে তাকে সিজার করা হয়। সিজারের পর রাশেদার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তখন হাসপাতালে কোন চিকিৎসক ও নার্স ছিল না। রাশেদা আক্তারের পুত্র সন্তান হলেও পরে তার জ্ঞান ফিরে আসেনি। রাতেই সে মারা যায়। মায়ের মৃত্যুর পর নবজাতকের অবস্থাও আশংকা জনক। অবস্থা ভাল না থাকায় নবজাতকে সাইফুলের বোনের কাছে রাখা হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে কন্যা, বাবা ও স্ত্রীর মারা যাওয়ার শোকে সাইফুল ইসলাম যেন পাথর হয়ে গেছে। শুধূ সাইফুল ইসলাম নয়, পুরো পরিবার তছনছ হয়ে গেছে। তাদের শান্তনা দেওয়ার মত ভাষা যেন কারও নেই। তাদের বুক ফাঁটা কান্নায় চার পাশের বাতাস ভারি হয়ে আসছে। সাইফুল ও তার পরিবারের দাবী প্রতারনার ফাঁদে ফেলে ভাল চিকিৎসার নামে ক্লিনিকের ভুয়া চিকিৎসক, নার্স ও আয়া দিয়ে ভুল অপারেশন ও ভুল চিকিৎসায় রাশেদার মৃত্যু হয়েছে। ক্লিনিকের মালিককে অবিলম্বে গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে।
এ ব্যাপারে আজ মঙ্গলবার আলমোহনা ক্লিনিকের মালিক জাহিদুল ইসলাম ও শামীম মিয়ার সঙ্গে বিস্তারিত জানার জন্য টেলিফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা বার বার টেলিফোন কেটে দেন। প্রসুতির মৃত্যুর পর থেকেই হাসপাতালের মালিকপক্ষ গা ঢাাকা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলাম বলেন, আলমোহনা হাসপাতাল এন্ড ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে প্রসুতির মৃতুর অভিযোগ আসায় ঘটনার তদন্তের জন্য সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর মেডিকেল অফিসার ও কনসালটেন্ট বর্নালী দাসকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির অপর দুই সদস্য ছিলেন ডা. মোহাম্মদ আলী এবং সেনেটারী পরিদর্শক ইসরাত জাহান। তদন্তে তারা প্রসুতির মৃত্যুর জন্য অব্যবস্থাপনা পেয়েছেন। প্রসুতির সিজারের সময় কোন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক, এনেসথেসিস ও নার্স ছিল না। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর জেলা সিভিল সার্জনের সঙ্গে পরামর্শ করে ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা ক্লিনিক মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আনিছুর রহমান আছিন বলেন, মির্জাপুরে ৩০ টি ক্লিনিক রয়েছে। অধিকাংশ ক্লিনিকে সরকারী নিয়ম মাফিক চিকিৎসা চলে আসছে। ভুলক্রমে হয়তো ঐ হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে এটা ঠিক নয় বলে তিনি দাবী করেন।

মির্জাপুরে আলমোহনা হাসপাতাল এন্ড ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসুতির মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে অপরারেশন করায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আলমোহনা ক্লিনিকে রাশেদা আক্তার মুক্তি (২৬) নামে এক প্রসুতির মৃত্যুর হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রসুতির মৃত্যুর পর নবজাতকের অবস্থাও আশংকা জনক বলে তার পরিবার জানিয়েছে। গতকাল রবিবার (১৭ মার্চ) রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কি এলাকায় সরকারী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্্র সংলগ্ন (১০ গজের মধ্যে) আলমোহনা হাসপাতাল এন্ড ক্লিনিকে প্রসুতির এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৮ মার্চ) প্রসুতির খালাতো ভাই আবির হোসেন জানায়, রাশেদা আক্তার মুক্তির স্বামীর নাম মো. সাইফুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার হিলড়া আদাবাড়ি গ্রামে। প্রসব ব্যথা নিয়ে গতকাল রবিবার রাশেদা আক্তারকে জামুর্কি আলমোহনা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও এনেথসেথিয়া ছাড়াই ভুয়া চিকিৎসক, নার্স ও আয়া দিয়ে দুপুর একটার দিকে তাকে সিজার করা হয়। সিজারের পর রাশেদার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। রাশেদা আক্তারের পুত্র সন্তান হলেও পরে তার জ্ঞান ফিরে আসেনি। রাত আটটার দিকে সে মারা যায়। মায়ের মৃত্যুর পর নবজাতকের অবস্থাও আশংকা জনক বলে আবির অভিযোগ করেন। ঘটনার পর থেকেই ক্লিনিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সটকে পরেছে।
এ ব্যাপারে রাশেদা আক্তারের স্বামী সাইফুল ইসলাম ও তার বাবা হাকিম মিয়া অভিযোগ করেন, তাদের প্রতারনার ফাঁদে ফেলে ভাল চিকিৎসার নামে ক্লিনিকের ভুয়া চিকিৎসক, নার্স ও আয়া দিয়ে ভুল অপারেশন ও ভুল চিকিৎসায় রাশেদার মৃত্যু হয়েছে। আমরা ক্লিনিকের মালিককে অবিলম্বে গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তারা জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে আলমোহনা ক্লিনিকের মালিক জাহিদুল ইসলাম ও শামীম মিয়ার সঙ্গে বিস্তারিত জানার জন্য টেলিফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা বার বার টেলিফোন কেটে দেন। প্রসুতির মৃত্যুর পর থেকেই হাসপাতালের মালিকপক্ষ গা ঢাাকা দিয়েছে। একটি চক্রের সঙ্গে যোগসাজস করে নিহত প্রসুতি রাশেদা আক্তার মুক্তির পরিবারের সঙ্গে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রফাদফা করার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য যে, ইতিপুর্বেও এই ক্লিনিকে এ ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসি াভিযোগ করেছেন।
এ ঘটনা জানতে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বরেন, আলমোহনা হাসপাতাল এন্ড ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে প্রসুতির মৃতুর অভিযোগ আসায় ঘটনার তদন্তের জন্য সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর মেডিকেল অফিসার ও কনসালটেন্ট বর্নালী দাসকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হচ্ছেন ডা. মোহাম্মদ আলী এবং সেনেটারী পরিদর্শক ইসরাত জাহান। প্রাথমিক তদন্তে তারা তারা প্রসুতির মৃত্যুর জন্য অব্যবস্থাপনা পেয়েছেন। প্রসুতির সিজারের সময় কোন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক, এনেসথেসিস ও নার্স ছিল না। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে জেলা সিভিল সার্জনের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গৃহবধুর পরিবারকে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মির্জাপুরে মাটি ভর্তি ড্রাম ট্রাকের চাপায় অটো চালকসহ নিহত ২ আহত ৩

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ড্রাম ট্রাকের চাপায় ২ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। (১৬ মার্চ) গত রাত শনিবার রাত ৯টার সময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই মিলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের কদিম দেওহাটা এলাকার সুশান্ত বাকালী (৩৫) ও অটোরিকসা চালক উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের চান্দুলিয়া এলাকার উজ্জ্বল মিয়া (৩৫)। আহত তিন জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আজ রবিবার (১৭ মার্চ) পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৯টার সময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই এলাকায় পশ্চিম দিক থেকে আসা একটি ঘাতক মাটির ড্রাম ট্রাক যাত্রী বোঝাই অটোরিকসাকে চাপা দিয়ে পূর্বদিকে দূত গতিতে চলে যায় এতে ঘটনাস্থলে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গুরুর আহত ৪ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অটো রিকসা চালকের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মাটি ভর্তি ড্রাম ট্রাক অটো রিস্কাকে চাপা দিয়ে চলে যাওয়ার পর চানপুর ব্রিজের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের চলন্ত ১৫-১৬ টি ভেকু মেশিন ও ৩০-৪০ টি ড্রাম ট্রাক ব›ন্ধ করে মাটি ব্যবসায়ীরা চলে যায়।

এ ব্যাপারে গোড়াই হাইওয়ে থানার এস আই আনিসুজ্জামান বলেন, গোড়াই চাঁনপুর এলাকা হতে একটি মাটি ভর্তি ড্রাম ট্রাকের চাপায় ২জন মারা গেছে। আহত হয়েছেন ৩ জন। মাটি ভর্তি ড্রামট্রাাকটি আটক করার করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আইনি পক্রিয়া শেষে নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

মির্জাপুরে জাতির জনকের ১০৪ জন্ম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
১৭ মার্চ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উৎসব মুখর এবং নানা আয়োজনে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠন ছাত্র-ছাত্রীদের চিত্রাংকন, রচনা প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিনের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ চত্তরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এরপর পাট ও বস্্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপির পক্ষে তার একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিকের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর উপর আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক, পৌরসভার মেয়র সারমা আক্তার শিমুল, এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা, ভাইস চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম প্রমুখ। শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।