মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বানাইল ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে কিশোর গ্যাং গ্রুপের হামলায় দশম শ্রেণীর ছাত্র ও চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী দেওয়ান মুন্না (১৪) নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার পিতার নাম হাসু দেওয়ান। খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে আজ শনিবার নিহতের পরিবার, এলাকাবাসি ও তার সহপাঠীরা মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। প্রতিবাদ সামবেশে বানাইল ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ মামুন সিদ্দিকী উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্যে মামলার আসামী ও কিশোর গ্যাংকের সদস্যসহ খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। প্রতিবাদ সমাবেশ বর্তমান মেম্বার মোস্তফা, সাবেক মেম্বার বাবলু দেওয়ান, সাবেক সেনা সদস্য আব্দুর রহমান ও সোহেলসহ কয়েক শাতধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
আজ শনিবার মুন্নার বাবা হাসু দেওয়ান জানান, মান্না ধানকী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র এবং চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। সম্প্রতি মুন্নার মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। একমাত্র ছেলে নিয়ে তিনি বাঁচার স্বপ্ন দেখদেন। গত ১৬ নভেম্বর রবিবার রাতে পাশ^বর্তী সাদারিয়াপাড়া গ্রামে আজিজ মেম্বারের বাড়ির পাশে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে ওয়াজ মাহফিলে যায় মুন্নাসহ তার সহপাঠীরা। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং গ্রুপের সক্রীয় সদস্য সাদারিয়াপাড়া গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে নাইম, রাজ্জাক আলীর ছেলে সাজি, রাজিব মিয়ার ছেলে এরশাদ, মোতালেব মিয়ার ছেলে নিরব, শফি মিয়ার ছেলে সানি, আয়জা মিয়ার ছেলে হাকিম ও মাহিনসহ ১০-১৫ জনের সদস্য ধারালো অস্্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে মুন্নাকে গুরুতর আহত করে। স্থানীয় লোকজন মুন্নাকে উদ্ধার করে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎিকদের পরামর্শে ঢাকার সিটি কেয়ার ক্লিনিকে ভর্তি করেন। ভর্তির পর চিকিৎসারত অবস্থায় ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় মুন্না মারা যায়। মুন্নার প্রতিবেশীরা জানায় সম্প্রতি মুন্নার মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। একমাত্র ছেলে নিয়ে তার বাবা বাঁচার স্বপ্ন দেখতেন। এখন ছেলেটিও খুন হওয়ায় তিনি মানষিক বাবে ভেঙ্গে পরেছেন। তারা খুনিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের দাবী জানান।
এদিকে ঘটনার পরের দিন মুন্নার চাচা সজিব দেওয়ান বাদী হয়ে কিশোর গ্যাং গ্রুপের সক্রীয় সদস্য ও মুন্নার হত্যাকারী সাদারিয়াপাড়া গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে নাইম, রাজ্জাক আলীর ছেলে সাজি, রাজিব মিয়ার ছেলে এরশাদ, মোতালেব মিয়ার ছেলে নিরব, শফি মিয়ার ছেলে সানি, আয়জা মিয়ার ছেলে হামিক ও মাহিনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনের নামে দেলদুয়ার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার চার দিন পার হলেও কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য ও মুন্নার হত্যাকারীরা কেউ গ্রেফতার হয়নি। আজ শনিবার মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে খুনিদের অবিলম্বের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মুন্না হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দেলদুয়ার থানার উপপরিদর্শক মো. আশরাফ বলেন, মামালার পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুনিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ, র্যাব ও ডিবি পুলিশ যৌথ ভাবে কাজ করছেন। আশা করা হচ্ছে খুব শিগ্রই খুনিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।







