বাংলা নিউজ
Saturday, March 15, 2025
Home Blog Page 5

মির্জাপুরে পৌরসভায় সরকারি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দায়িত্ব প্রদান

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের নির্দেশক্রমে পৌরসভার কাউন্সিলরদের অপসারনের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার পৌরসভার প্রশাসক ও মির্জাপুর উজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি মাসুদুর রহমানের সভাপপতিত্বে পৌরসভার তার কার্যালয়ে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সরকার মন্্রতনালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক মির্জাপুর পৌরসভার ০৯ ওয়ার্ডে সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
এ আজ বুধবার (২ অক্টোবর) মির্জাপুর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম ও প্রধান হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা মো. আবুল হাসনাত আকন্দ বলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফরিদুল ইসলামকে এক নং ওয়ার্ড, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো, মোশারফ হোসেনকে ০৬ নং ওয়ার্ড, উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমানকে ০৯ নং ওয়ার্ড, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেনকে ০২ এবং ০৩ নং ওয়ার্ড, উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমানকে ০৪ এবং ০৫ নং ওয়ার্ড এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত শর্মিষ্ঠা রানী মজুমদারকে ০৭ এবং ০৮ নং ওয়ার্ডের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলরদের মত তারা এই কাজ পরিচালনা করবেন।
এ ব্যাপারে পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি মাসুদুর রহমান বলেন, পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের সুষম উন্নয়নের জন্য এই কমিটির সদস্যগন নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাবে। পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

মির্জাপুরে কাইতলা পশুর হাট উন্নয়নের জন্য সিন্ডিকেটে ৬৫ লাখ টাকা হরিলুটের অভিযোগ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাঁশতৈল ইউনিয়নের কাইতলা বৃহৎ পশুর হাট উন্নয়নের জন্য আওয়ামীলীগের নেতাদের সিন্ডিকেটে ৬৫ লাখ হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের ০৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. আবুল হোসেন ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল দেওয়ানের নিকট থেকে কাজ ভাগিয়ে নিয়ে প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতার সঙ্গে সিন্ডিকেট করে এই ৬৫ লাখ টাকা হরিলুট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাটের উন্নয়ন না হওয়ায় পশুর হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কাঁদা পানির মধ্যে হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের চলাচলের জন্য দুর্ভোগের শেষ নেই। আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) কাইতলা হাটে খোঁজ নিয়ে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ পশুর হাট বাঁশতৈল ইউনিয়নের কাইতলা বাজার। পশুর হাটটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আঞ্চলিক রোড গোড়াই-সখীপুর-ঢাকা রোডের পাহাড়ি অঞ্চলের মধ্যে বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে। প্রতি শনিবার এখানে সাপ্তাহিক পশুর হাট বসে। ২০২৩-২০৪ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধিনে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রাজস্ব আদায় বাবদ কাইতলা হাটের ইজারা দেওয়া হয় চার কোটি ১০ লাখ টাকা। হাটের ইজারা পান বাঁশতৈল এলাকার ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন মিয়া। কাইতলা হাটের ইজারা দেওয়া চার কোটি ১০ লাখ টাকা থেকে ৬৫ লাখ টাকা হাটের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বরাদ্ধ দেওয়া হয়।
এলাকাবাসির মধ্যে রহমান মিয়া, আলমগীল হোসেন, গরু ব্যবসায়ী মিরাজুল ও আশিসহ অন্তত ১৫ জন ব্যক্তি অভিযোগ করেন, আওয়ামীলীগ নেতা ও বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের ০৬ নং ওয়ার্ড ম্বোর আবুল হোসেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল দেওয়ানের সঙ্গে আতাত করে কাজ ভাগিয়ে নেন। উন্নয়নের মধ্যে ছিল হাটের চারপাশে ও ভিতরে চলাচলের জন্য কয়েকটি পাকা রাস্তা নির্মান, পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মান, হাটের চারপাশে টয়লেট নির্মান, মহিলাদের জন্য গেস্ট হাউজ ও সেট নির্মান, ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্তা করা, গেস্ট হাউজ নির্মান, মসজিদের উন্নয়ন, যাত্রী ছাউনী নির্মান, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর। ঠিকাদার ও আওয়ামীলীগ নেতা ইউপি মেম্বার আবুল হোসেন, চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন দেওয়ান, আওয়ামীলীগ নেতা মো. সহিদ মিয়া, শরিফ হোসেন, হাটের ইজারাদার হেলাল উদ্দিন মিয়াসহ উপজেলার আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার সঙ্গে সিন্ডিকেট করে কাইতলা হাটের উন্নয়নের নামে বরাদ্ধকৃত ৬৫ লাখ টাকা হরিলুট করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গুরুত্বপুর্ন এই পশুর হাটের উন্নয়ন না হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতা এবং এলাকাবাসির মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। সরেজমিন কাইতলা হাট ঘুরে দেখা গেছে, বরাদ্ধকৃত টাকার উন্নয়ন না হওয়ায় হাটের বেহাল অবস্থা। কাঁদা পানিতে পরিপুর্ন থাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্তা নেওয়ার জোর দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ঠিকাদার আওয়ামীলীগ নেতা ইউপি মেম্বার আবুল হোসেন বলেন, হাটের উন্নয়নের জন্য বরাদ্ধ পাওয়ার পর উপজেলা প্রশাসন এবং উপরের মহলের নেতাদের সঙ্গে মিলমিশ করে বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ করেছি। পরিবেশ অনুকুলে না থাকায় ঠিকমত কাজ করা যায়নি। কিছু কাজ এখনও চলমান আছে।
এ ব্যাপারে ১৩ নং বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন দেওয়ান বলেন, কাইতলা বাজারের পশুর হাট টাঙ্গাইলের মধ্যে বৃহৎ পশুর হাট। হাটের ৪ কোটি ১০ লাখ টাকার ইজারা মুল্য থেকে উন্নয়ন করের অংশ থেকে ৬৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ ছিল কাইতলা হাটের উন্নয়নের জন্য। ঠিকাদার কাজের কোন অনিয়ম করলে তদন্ত সাপেক্ষে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি দাবী করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম বলেন, কাইতলা হাটের উন্নয়ন বাবদ ঠিকাদার কোন অনিয়ম দুর্নীতি করে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মির্জাপুরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটি ও উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটি এবং উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ নুরুল আলম। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও মির্জাপুর পৌরসভার প্রশাসক মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মির্জাপুর সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো. সাদিকুর রহমান, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ। সভায় উপজেরা প্রশাসেনর বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ছাড়াও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগন উপস্থিত ছিলেন। আইন-শৃঙ্খলা কমিটি এবং উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মির্জাপুরে ২০৯ পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমুলক সভা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ২০৯ পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় উদযাপনের লক্ষে প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ নুরুল আলম। উপজেরা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও মির্জাপুর পৌরসভার প্রশাসক মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মির্জাপুর সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো. সাদিকুর রহমান, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বাবু শুভাশিষ কর্মকার, মির্জাপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু বিকাশ গোষ্মামী, সাধারণ সম্পাদক বাবু প্রমথেস গোষ্মামী সংকর ও বাবু স্বপন মন্ডল প্রমুখ। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যলয় এবং মির্জাপুর থানা সুত্র জানায়, এ বছর মির্জাপুরে পৌরসভা এবং মহেড়া, জামুর্কি, ফতেপুর, বানাইল, আনাইতারা, ওয়ার্শি, ভাতগ্রাম, ভাওড়া, বহুরিয়া, লতিফপুর, গোড়াই, আজাগান, বাঁশতৈল ও তরফপুর এই ১৪ ইউনিয়নে ২০৯ টি পূজামন্ডপে শারদীয় দূগাপূজা অনুস্ঠিত হচ্ছে যা টাঙ্গাইল জেলার ১২ টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম এবং মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন, মির্জাপুর উপজেলায় প্রতিটি মন্ডপে তাদরে নিজস্ব কমিটি থাকবে এবং প্রশাসন থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ স্টাইকিং ফোর্স থাকবে।

মির্জাপুরে ভাতিজার হাতে চাচা খুন, বাইসাইকেল কিনে না দেওয়ায় দ্ধিতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রের আত্নহত্যা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাতিজা রুবেল খানের হাতে তার চাচা রিয়াজ খান (৪৫) খুন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খুনের ঘটনায় মুল হোতা ভাতিজা রুবেল খান পালিয়ে গেলেও পুলিশ রুবেল খানের বাবা ছানোয়ার খান, মা মমতা বেগম ও স্ত্রী আখি আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। অপর দিকে বাইকেল কিনে না দেওয়ায় মা-বাবার সঙ্গে অভিমান করে রাফিন (৯) নামে দ্দিতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। আজ রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের আজগানা গ্রামে এই খুনের ঘটনা এবং পৌরসভার বাওয়ারকুমারজানি গ্রামে আত্নহত্যার এ ঘটেছে।
জানা গেছে, বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে বিরোধ চরে আসছিল। আজ রবিবার সীমানা নিয়ে চাচা রিয়াজ খান (৪৫) এবং ভাতিজা রুবেল খানের (৩২) মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে রুবেলের হাতে হাতে লাঠিসোঠা নিয়ে চাচা রিয়াজ খানের উপর হামলা চালায়। বাড়ির লোকজন ও আশপাশের লোকজন রিয়াজ খানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করলে রাস্তায় রিয়াজ খান মারা যান। খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রুবেল খানের বাবা ছানোয়ার খান, মা মমতা বেগম ও স্ত্রী আখি আক্তারকে আটক করেছে। মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো সালাহ উদ্দিন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে পৌরসভার বাওয়ারকুমারজানি গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে রাফিন বেশ কিছু দিন ধরে বাবা-মায়ের কাছে একটি বাইসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য বায়না ধরেছিল। বাইকেল কিনে না দেওয়ায় রাফিন বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আজ রবিবার নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। রাফিন দেওহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। নিহতের লাশ আইনী প্রক্রিয়া শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন রাতে গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার উিউটি অফিসার মো. রাহাত বলেন, ঝাতিজার হাতে চাচা খুনের ঘটনায় মামরা প্রক্রিয়াধীন। দ্বিতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় আইনী প্রক্রিয়া শেষে তার স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

আওয়ামীলীগ কখনো আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না—মির্জাপুরে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী বলেছেন আওয়ামীলীগ কখনো আর সোজা হয়ে দাড়াতে পারবে না। তিনি বলেন, জনগনের ভোট দানের অধিকার খর্ব করে অন্যায় ভাবে একনায়কতন্ত্র কায়েম করে তারা ১৬ বছর ক্ষমতায় থেকে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। দেশের ছাত্র সমাজ ও সাধারণ জনগন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দলকে প্রত্যাখান করে হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। এই দল যাতে কখানো আর ক্ষমতায় আসতে না পারে এখন থেকেই আমাদের সজাক থাকতে হবে। তিনি আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ১১ নং আজগানা ইউনিয়ন বিএনপি ও এর সহযোগি সংগঠন আয়োজিত হাটুভাঙ্গা বাজারে বিশাল জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আজগানা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল গনি বোখারির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড, আব্দুর রউফ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সালাউদ্দিন আরিফ, সহ সভাপতি মো. আব্দুল কাদের মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম শফিকুল ইসলাম ফরিদ, মো. আলম মৃধা, যুগ্ম সম্পাদক আলী এজাজ খান চৌধুরী রুবেল, খন্দকার আনোয়ার পারভেজ শাহআলম, বিএনপি নেতা মো. জাকির হোসেন এবং মো. জুলহাস মিয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী আরও বলেন, আওয়ামীলীগ গত ১৭ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীদের খুন, গুম করেছে ও মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে। মেগা প্রকল্প ও দেশে উন্নয়নের কথা বলে জনগনের হাজার হাজার টাকা আওয়ামীলীগের মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা বিদেশে পাচার করেছে। তারা এখন পলাতক। তিনি বলেন, বিএনপি কথায় নয় উন্নয়নে বিশ^াস করে। দেশের উন্নয়ন ও জনগনের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য আগামীতে বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে চায় জনগন।

পরিচ্ছন্ন পৌরসভা গড়ার লক্ষে রেনেসাঁ অব মির্জাপুরের উদ্যোগে আলোচনা সভা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার লক্ষ্যে সামাজিক সেবা সংগঠন রেনেসাঁ অব মির্জাপুরের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের অডিটোরিয়ামে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও মির্জাপুর পৌরসভার প্রশাসক মাসুদুর রহমান। রেনেসাঁ অব মির্জাপুরের সভাপতি ও অনুষ্ঠানের সভাপতি মো. আলমাসুম কবীর আলমাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারী কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল মান্নান, একই কলেজের ইংরেজী বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান মো. শহীদুল্লাহ, মির্জাপুর থানার ওসি তদন্ত মো. সালাউদ্দিন মিয়া, মির্জাপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. গোলাম ফারুক সিদ্দিকী, মির্জাপুর থানা মসজিদের ইমাম ও খতিব এবং রেনেসা অব মির্জাপুরের সাধারন সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মো. ফরিদ হোসাইন, সাত নং ওয়ার্শি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান খান ছিটু, মির্জাপুর বাজারের লেবাস ফ্যাশনের স্বত্তাধিকারী মো. সালাহ উদ্দীন ডন এবং ব্যবসায়ী মো. কাবেল উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেনেসা অব মির্জাপুরের সদস্য মো. সানাউল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের আয়োজক ও রেনেসাঁ অব মির্জাপুরের সভাপতি মো. আলমাসুম কবীর আলমাস বলেন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা হচ্ছে ঈমানের অঙ্গ। এই শ্লোগান নিয়ে মানবতার সেবায় আমরা এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে শিক্ষা ও মেধা বিকাশে সহায়তা, পরিবেশ আন্দোলন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন, মাদক নির্মুল এবং ব্লাড ব্যাংক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। জনগনকে সচেতন করার লক্ষ্যেই আজকের এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল।

তক্তারচালায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর উদ্যোগে বিশাল জন সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

শামীম মিয়া 

টাঙ্গাইলের সখিপুরে তক্তারচালা বাজারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর উদ্যোগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনে শহীদ এবং আহতদের জন্য দোয়া ও জন সমাবেশসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল প্রায় ৩ টার দিকে উপজেলার তক্তারচালা সবুজ বাংলা বিদ্যালয় মাঠে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো.মনিরুজ্জামানের পরিচালনায় ও হাতীবান্ধা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হাকিম রেজাউল করিম হীরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা শাখার আমীর, আহসান হাবীব মাসুদ। 

সে সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,সখিপুর উপজেলা শাখার আমীর,অধ্যাপক আল আমিন,মির্জাপুর উপজেলা শাখার আমীর ইয়াহ হিয়াহ খান ফারুক,বাসাইল উপজেলা শাখার আমীর মো.আফজাল হোসেন প্রমূখ।

পরিচ্ছন্ন মির্জাপুর পৌরসভা গড়ে তোলার লক্ষে রাস্তার পাশে ময়লা ফেলার ডাস্টবিন স্থাপন

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরিচ্ছন্ন পৌরসভা গড়ে তোলার লক্ষে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় গুরুত্বপুর্ন পয়েন্টে ময়লা ফেলার ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়েছে। মির্জাপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে বিনামুল্যে ময়লা ফেলার এ ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ময়লা ফেলার ডাস্টবিন স্থাপন কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং পৌরসভার প্রশাসক মাসুদুর রহমান।
আজ শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মির্জাপুর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দস সালাম জানান, মির্জাপুর পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডে পরিষ্কার পরিচ্ছনতা অভিযান শুরু হয়েছে। পরিচ্ছন্ন পৌরসভা গড়ে তোলার লক্ষে ৯টি ওয়ার্ডের গুরুত্বপুর্ন রাস্তার পাশে শতাধিক ময়লা ফেলার ডাস্টবিন স্থাপন করা হচ্ছে। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার ডাস্টবিন স্থাপন কার্যক্রম উদ্ধোধন করেন মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং পৌরসভার প্রশাসক মাসুদুর রহমান। এ সময় পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র চন্দনা দে, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. যুবদিল খান, পৌরসভার প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. আবুল হাসনাত আকন্দ, কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্ময়ক ইমন সিদ্দিকী, কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী সামাজিক সংগঠনের নেতা ডা. মিতুল হোসেন, মাসুম বিল্লাহ, কাউন্সিলর আব্দুল জলিল, আনোয়ার হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রউফ দুলাল, শামীম হোসেন, মহিলা কাউন্সিলর, মির্জাপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. গোলাম ফারুক সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং পৌরসভার প্রশাসক মাসুদুর রহমান বলেন, পরিচ্ছন্ন পৌরসভা গড়ে তোলার লক্ষে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় বিভিন্ন রাস্তার পাশে বিনামুল্যে ময়লা ফেলার ডাস্টবিন স্থাপন করে দেওয়া হচ্ছে। পৌরবাসিকে সচেতন করার লক্ষে প্রচারনা অভিযানসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে।

 

মির্জাপুরে পৌরসভার রাস্তা ও ফুটপাত থেকে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান শুরু

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তা ও ফুটপাত দখল হয়ে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর মির্জাপুর পৌরসভার উদ্যোগে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। অভিযান পরিচালনা করেন মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং পৌরসভার প্রশাসক মাসুদুর রহমান। এ সময় পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র চন্দনা দে, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. যুবদিল খান, পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দস সালাম, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. আবুল হাসনাত আকন্দ, কাউন্সিলর আব্দুল জলিল, আনোয়ার হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রউফ দুলাল, শামীম হোসেন, মহিলা কাউন্সিলর, মির্জাপুর বাজার বণিক সমিতির সভাাপতি মো. গোলাম ফারুক সিদ্দিকী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ইমন সিদ্দিকী, সামাজিক সংগঠনের নেতা ডা. মিতুল, মাসুম বিল্লাহ, পরিবহন শ্রমিক নেতা আলী হোসেন, অটো-টেম্পো মালিক ও শ্রমিক নেতা মোতালেব মিয়া ও মো. আজাহার আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং পৌরসভার প্রশাসক মাসুদুর রহমান বলেন, মির্জাপুর পৌরসভা একটি প্রথম ¤্রণেীর পৌরসভা। ২০০০ সালে পৌসভা গঠিত হলেও সুযোগ সুবিধা তেমান বাড়েনি। পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে একটি অসাধু চক্র দোকাট পাট গড়ে তোলায় প্রতিনিয়তই ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে পৌরবাসিসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী সাধারন জনগনের চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট ও যানজট মুক্ত নগরী গড়ে তোলার জন্য জন্য পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তায়র উপর থেকে অবৈধ দোকাপাট উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। রাস্তার উপর কোন অবস্থায় অবৈধ দোকান বসতে দেওয়া হবে না। তাদের এ অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।