মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
মাদক, ইভটিজিং ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধসহ শিক্ষার মান উন্নয়নে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বরাটী নরদানা বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয় কতৃপক্ষোর আয়োজনে গতকাল সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে শিক্ষক কর্মচারী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাক এবং শিক্ষার্থীগন উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মির্জাপুর থানার সেকেন্ড অফিসার (উপপরিদর্শক) মো. মোশারফ হোসেন। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক মীর আনোয়ার হোসেন টুটুলের সঞ্চলনায় সার্বিক উন্নয়নে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি মো. মোশরাফ হোসেন, উপ সহকারী পরিদর্শক মো. মাহফুজুর রহমান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জুলহাস উদ্দিন, সিনিয়র শিক্ষক মো. আব্দুল কাদের মল্লিক ও ক্রীড়া শিক্ষক সঞ্জয় কুমার সাহা প্রমুখ। এ সময় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সঞ্জিব মজুমদার, আবু সাইদ মিয়া, শফিকুল ইসলাম, অভিভাবক মো. শহিদুল ইসলাম সহিদ ও মো. আল মামুন প্রমুখ।
মির্জাপুরে মাদক ইভটিজিং ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে বরাটী উচ্চ বিদ্যালয়ে সমাবেশ
৫২ বছর পর পরিবর্তন হলো মির্জাপুর কলেজের নাম
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
প্রতিষ্ঠার ৫২ বছর অবশেষে পরিবর্তন হলো মির্জাপুর সরকারি কলেজের নাম। কলেজের নাম পরিবর্তন হয়ে শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজ, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গতকাল সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপসচিব (অতিরিক্ত) মোসা. রোকেয়া পারভীন এ আদেশ জারি করেছেন। স্মারক নম্বর ৩৭. ০০. ০০০০. ০৬৯. ৯৯. ০০২. ১৯. ২০৭। তারিখ ৩০ মাঘ ২৪২৯, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান।
জানা গেছে, মির্জাপুর কলেজ ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ছিল মির্জাপুরবাসির উচ্চ শিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠাত। ২০১৮ সালে মির্জাপুর কলেজকে সরকারী করন করা হয়। শহীদ ভাবানী প্রসাদ সাহা রবি শহীদ রণদা প্রসাদ সাহা রায় বাহাদুরের একমাত্র পুত্র। রণদা প্রসাদ সাহা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্টজ ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। সমাজ সেবা ও অসহায়দের পাশে থেকে কাজ করাই ছিল একমাত্র নেশা। তিনি কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থাসহ কুমুদিনী হাসাপাতাল, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল এন্ড কলেজ, ভারতেশ^রী হোমস, কুমুদিনী সরকারী কলেজ টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ, মির্জাপুর কলেজ, মির্জাপুর পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয়সহ বহু প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৭১ সালের ৭ মে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকহানার বাহিনী ও এ দেশীয় রাজাকার আল বদর বাহিনী দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার পুত্র ভবানী প্রসাদ সাহা রবিকে ধরে নিয়ে যায়। আজও তাদের কোন খোঁজ মিলেনি।
এদিকে ভবানী প্রসাদ সাহার নামে মির্জাপুর সরকারি কলেজ নাম করনের জন্য কুমুদিনী পরিবারসহ মির্জাপুরবাসি দাবী জানিয়ে আসছিল দীর্ঘ দিন ধরে। এ ব্যাপারে কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের শিক্ষা পরিচারক একুশে পদক প্রাপ্ত প্রিন্সিপার প্রতিভা মুৎসুদ্দি বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও বঙ্গ বন্ধুর কন্যা মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ শহীদ রণদা প্রসাদ সাহার পুত্র শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহার নামে মির্জাপুর কলেজ নাম করন করায় আমরা কুমুদিনী পরিবার বর্তমান সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
চন্দ্রবিন্দু স্কুল এন্ড কলেজ এর উদ্যােগে অনুষ্ঠিত হলো খেলাধুলা, কোরআন তিলোয়াত ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা
শনিবার টাঙ্গাইল মির্জাপুর তক্তারচালা পুরাতন বাজারে চন্দ্রবিন্দু স্কুল এন্ড কলেজ এর উদ্যােগে অনুষ্ঠিত হলো খেলাধুলা, কোরআন তিলোয়াত ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিধি ছিলেন শাজাহান খান রবিন, সাধারন সম্পাদক হাতিবান্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, সভাপতিত্ব করেন মোশারফ হোসেন, সভাপতি উওর পেকুয়া তক্তারচালা বনিক সমিতি ও সভাপতি চন্দ্রবিন্দু স্কুল এন্ড কলেজ। আরো উপস্থিত ছিলেন সুলতান আহমেদ, সাধারন সম্পাদক হাতিবান্ধা ইউনিয়ন বি এন পি, সাহাদত হোসেন, শাজাহান ফিরোজ, আমিনুল ইসলাম, রোজিনা আক্তার, ইনিয়া আক্তার সহ চন্দ্রবিন্দু স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক অভিভাবক ও ছাত্র/ছাত্রিরা।
প্রতিযোগিতায় ছোট বাচ্চদের বেলুন ফুটানোয় প্রথম স্থান রাহাত হোসেন, দ্বিতীয় আতিফা আক্তার, তৃতীয় রহমান। অক্ষর চেনা প্রথম জোবায়েদ, দ্বিতীয় আতিফা তৃতীয় রাহাত। অংক দৌড় প্রথম রহান আলী দ্বিতীয় ফাতেমা আক্তার। কেরাম প্রথম সুশান্ত সরকার দ্বিতীয় জুনায়েদ হোসেন তৃতীয় অরিন আহমেদ। মহিলাদের বালিশ খেলায় প্রথম সাথি আক্তার দ্বিতীয় মিম তৃতীয় সুমাইয়া এবং কোরআন তিলোয়াত প্রতিযোগিতায় প্রথম ফাতেমা আক্তার দ্বিতীয় খাতিজা আক্তার তৃতীয় রুহান আলী।
প্রতিযোগিদের পুরস্কার বিতরন শেষে বংশি নগর জামে মসজিদের ইমাম মো শামিম হোসেন দোয়া ও মোনাজাত করেন।
পৌর কাউন্সিলর এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জাপুরের আলী আজম সিদ্দিকী
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন আজ শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও এলজিইডি ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচনে এ বছর ৩১ সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ঝিনাইদাহ পৌরসভার কাউন্সিলর মো. সাইফুল ইসলাম এবং সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন নাটের পৌরসভার কাউন্সিলর মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। অপর দিকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার চার বারের নির্বাচিত জনপ্রিয় কাউন্সিলর মো. আলী আজম সিদ্দিকী। আজ শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেচেন কাউন্সিলর মো. আলী আজম সিদ্দিকী।
এদিকে বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচনে মির্জাপুর পৌরসভার কাউন্সিলর মো. আলী আজম সিদ্দিকী সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুলসহ পৌর পরিষদের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তর ম্যানেজ করেই মির্জাপুরে চলছে অবৈধ ইটভাটা
মোঃ সাজজাত হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অবৈধভাবে চলছে ইটভাটা। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেও তা মানা হচ্ছে না। বরং ইটের মৌসুম আসাতে ভাটাগুলোতে কাজ চলছে জোরেশোরে। আর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও দেখা যাচ্ছে না প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে।
জানায় গেছে, টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরকে ম্যানেজ করেই চলছে অবৈধ ভাটার কার্যক্রম। অবৈধ এসব ইটভাটায় প্রকাশ্যে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। কয়লার দাম বাড়তি থাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দেদারে লাকড়ি-কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি, বৃক্ষ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যায় না। মির্জাপুর উপজেলায় মোট ১০১টি ইটভাটা রয়েছে এর মধ্যে ৬০ ইটভাটার একটির ও নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। অপর দিকে এসব ইটভাটাতে ৩ থেকে ৪ ধরনের ফরমা ব্যবহার করা হয়। এতে ইটের সাইজ ছোট-বড় করে প্রতিনিয়তই ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়ে থাকে।
শনিবার সকালে উপজেলার গোড়াই, জামুর্কী ও আজগানা ইউপিতে অবস্থিত হাজী ব্রিকস , এস বি এম ব্রিকস ও ভাই ভাই ব্রিকস ইট ভাটায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের ধারেই কয়লা ও কাঠ জমা করে রাখা আছে। ভাটাতে কাঠ পোড়ানোর ফলে চিমনি দিয়ে প্রচ- বেগে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আর সেই ধোঁয়া স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ আশপাশের বসতি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো.মঞ্জুরুল কাদের বাবুল ও আজগানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোক্তার আলী জানান, বিভিন্ন ভাটায় বনের কাঠ পোড়ানোর কথা স্বীকার করেন। কাঠ ব্যাবহার করলে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না বলেও তারা দাবি করেন। কয়লার দাম বাড়তি থাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন ভাটায় কাঠ পোড়ানো হয়ে থাকে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, গত বছর মির্জাপুর উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের অবরোধের মুখে পড়তে হয়েছিল। পরে অনেক দেনদরবার করে সে যাত্রায় আর অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। অভিযান না চালানোর জন্য রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহলের চাপও রয়েছে অনেক ক্ষেত্রে।
পরিবেশ অধিদপ্তর টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো.জমির উদ্দিন বলেন, আমাদের ম্যানেজ করে অবৈধ ভাটা পরিচালনার বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ইট ভাটা গুলোতে ফসলি জমির মাটি ও কাঠ পোড়ানো সম্পূর্ণভাবে নিষেধ রয়েছে। তবে পরিবেশবান্ধব নিয়ম অনুসারে ইটভাটা হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন আপত্তি নেই। যে সমস্ত ইট ভাটা পরিবেশবান্ধব নিয়ম না মেনে মাটি বা কাঠ ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে কেউ যাতে ফসলি জমি থেকে মাটি ও কাঠ না কাটে সেজন্য কঠোরভাবে নজরদারীতে রাখা হয়েছে। তবে নিয়ম বহির্ভূত কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মির্জাপুরে পাকুল্যায় এমপি শুভর উদ্যোগে আওয়ামীলীগের শান্তি মিছিল
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
বিএনপি-জামায়াতের গুজব, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপির উদ্যোগে আজ শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের পাকুল্যায়া আওয়ামীলীগ শান্তি মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। শান্তি মিছিলটি বাজারের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। এ সময় আওয়ামীলীগ নেতা তৌফিকুর রহমান তালকদার রাজিব, মাকসুদুর রহমান খান ইউসুফজাই রেমন, আব্দুর রউফ, মো. উজ্জল হোসেন খান ও এমপির একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিকসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জাপুরে নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতেশ^রী হোমসে বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী ভারতেশ^রী হোমসের ২০২৩ সালের বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরন উৎসব মুখর পরিবেশে শেষ হয়েছে। আজ শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) ভারতেশ^রী হোমসের শিক্ষকবৃন্দ জানান, নার্সারী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত দুই শতাধিক ছাত্রী বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠানের বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ গ্রহন করে।
গতকাল শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সমাপনী দিনে ভারতেশ^রী হোমসের সবুজ চত্তরে পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক শ্রীমতি সাহা। এ সময় পরিচালক সম্পা সাহা, ভারতেশ^রী হোমসের প্রিন্সিপাল মন্দিরা চৌধুরী, সিনিয়র শিক্ষিকা হেনা সুলতানাসহ শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে অতিথিবৃন্দ বিজয়ী ছাত্রীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।
বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মির্জাপুরে আওয়ামীলীগের শান্তি মিছিল
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
দেশ ব্যাপি বিএনপি-জামায়াতের গুজব, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আজ শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠন শান্তি মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। বেলা এগারটায় শান্তি মিছিলটি শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে মির্জাপুর পুরাতন বাস স্টেশনের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ও বিআরডিবির চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম জহিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক ও আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মেজর (অব.) খন্দকার এ হাফিজ, আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মোশারফ হোসেন মনি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক দুর্লভ বিশ^াস প্রমুখ।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর বালু উত্তোলনের মহোৎসব! প্রশাসনের নামমাত্র অভিযান
মোঃ সাজজাত হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বংশাই ও লৌহজং নদীর অন্তত ১০টি পয়েন্টে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে হুমকির মুখে রয়েছে নদী পারের রাস্তা, ঘরবাড়ি ও ব্রীজ । সামনের বর্ষা মৌসুমে বংশাই নদীর পাড় রক্ষায় জনকল্যাণে নেওয়া সরকারের জিও ব্যাগ প্রকল্পও ভেস্তে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সচেতন মহল।
অভিযোগ উঠেছে, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান আকন্দর ছত্রছায়ায় দিনের পর দিন বংশাই নদী থেকে বালু উত্তোলন চলছে। তারা মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়ে এই বালুর ব্যবসা করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। কিন্তু এতে অনেকটাই নির্বিকার প্রশাসন। নামমাত্র অভিযান চালিয়ে কিছু শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের জেল-জরিমানা করা হলেও মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বংশাই ব্রীজের উত্তর পাশের্^, উয়ার্র্শী ইউনিয়নের আরহা এলাকায় দিনে এবং রাতে একদিকে এসকেভেটর মেশিনে বালু কাটা ও উত্তোলন করে নদীর পাড়ে রাখা হচ্ছে। নদীর পাড় যেন বালুর পাহাড়। অন্যদিকে শতাধিক নানা রকম যানবাহনে বিপণন করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। বরাবরই বালু উত্তোলনের মহোৎসবের এই ঘটনাটি রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন দেখেও যেন দেখছে না বলে দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জেগে ওঠা চর বা জমি ব্যক্তিমালিকানা হলেও, প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট নদীগর্ভে চলে যাওয়া এসব জমির মালিকদের কোনো ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উল্টো হুমকি-ধমকি দিয়ে জোরপূর্বক বালু উত্তোলন করছে। জমির মালিকরা এ নিয়ে একাধিকবার প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেও কোনো সুফল পাননি।
জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে তীরবর্তী এলাকাগুলোতে দেখা দেয় তীব্র ভাঙন। এতে প্রতিবছর বিলীন হয় ফসলি জমি, বসতভিটা, ঘরবাড়ি, মসজিদ-মন্দির, সড়ক, স্কুলসহ নানা স্থাপনা। সে সময় ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড সরকারের কোটি কোটি টাকার জিও ব্যাগ ফেললেও ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে বালু উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে পরতে হয়।
স্থানীয়ভাবে একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র ও বালু কাটার সঙ্গে জড়িত শ্রমিক-ব্যবসায়ীরা জানান, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান আকন্দ উপজেলার অধিকাংশ বালু কাটা, উত্তোলন ও বিক্রির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। কিন্তু সে ও তার লোকজনের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। এমনকি প্রশাসনকে এ নিয়ে নানাভাবে জানিয়েও অজ্ঞাত কারণে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় না।
এমন অভিযোগ রয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল কাদের ও আজগানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোক্তার আলীর বিরুদ্ধেও। তিনিও এই বালু কাটা ও বালু বিক্রির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। তারাও প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম ভাঙিয়ে ও প্রভাব বিস্তার করে এই বালু সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত বলে তথ্য মিলেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান আকন্দ বালু উত্তোলনের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা রটাচ্ছে।
উপজেলার অধিকাংশ বালু কাটা ও উত্তোলন পয়েন্ট থেকে তিনি সিংহ ভাগ কমিশনে ব্যবসা করেন এমন অভিযোগে তিনি বলেন, রাজনীতি করি। অনেক কর্মী নিয়ে চলতে হয়। তাদের অর্থনৈতিক কোনো সহায়তা করতে পারি না। কিন্তু তারা আমার কর্মী হয়ে যদি কোথাও একটু সুবিধা আমার নাম ভাঙিয়ে নেয়, তাহলে সেখানে কিছু করার থাকে না। কিছু বিষয় ছাড় দিয়েই আমাদের রাজনীতি করতে হয় ও কর্মী ধরে রাখতে হয়।
দলের নাম ভাঙিয়ে বালু কাটা ও উত্তোলন বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ ও সধারণ সম্পাদক ব্যরিস্টার তাহরীম হোসেন বলেন, কারও ব্যক্তিগত অপরাধের দায় আওয়ামী লীগ নেবে না। যারা এই বেআইনি কাজে নিয়োজিত আছে তারা নিজ দায়িত্বে এসব করছে। দল এসবে সমর্থন বা সহযোগিতা দেয় না এবং দেবে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.হাফিজুর রহমান বলেন, বালুদস্যুদের দমনে প্রশাসনের পদক্ষেপের কোনো কমতি নেই। অভিযান চলছে এবং চলবে। মাঝেমধ্যেই অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানাসহ আইনের মুখোমুখি করা হচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারি নেই এ কথাটি সঠিক নয়।
মির্জাপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বালু তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মির্জাপুরে নবনির্মিত শহীদ মিনার কম্পিউটার ল্যাব উদ্ধোধন করলেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দেওহাটা আলহাজ¦ জোনাব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত শহীদ মিনার এবং কম্পিউটার ল্যাব উদ্ধোধন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন হায়দার। আজ বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি নবনির্মিত এ শহীদ মিনার ও এবং কম্পিউটার উদ্ধোধন করেন।
এ সময় মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুর ইসলাম বুলবুল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েতহ হোসেন মন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা ও মো. আজাহারুর ইসলাম, গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. হুমায়ুন কবীর, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম, মির্জাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যবৃন্দ এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।