বাংলা নিউজ
Monday, March 17, 2025
Home Blog Page 12

মির্জাপুরে বাস ও ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষে বাসের সুপারভাইজার ও এক নারীসহ দুই জন নিহত

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল,
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোড়াই এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষে বাসের সুপারভাইজার ও এক নারীসহ দুই জন নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশংকা জনক বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহতরা হলেন বাসের সুপারভাইজার মুগনী মিয়া (৩৫) এবং নারী যাত্রী ফরিদা বেগম (৫০)।
গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশ জানায়, আজ বুধবার (৩ জুলাই) নীলফামারি থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস ও বিপরীত থেকে আসা একটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। সুপারভাইজার মুগনী মিয়ার পিতার নাম আব্দুল খালেক মিয়া। বাড়ি নীলফামারি জেলার ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট গ্রামে। অপর দিকে নারী যাত্রী ফরিদা বেগমের স্বামীর নাম দুলাল মিয়া। বাড়ি নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার রামডাঙ্গা গ্রামে।
এ ব্যাপারে গোড়াই হাইওয়ে থানায় মামলা হয়েছে বলে গোড়াই হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ জানিয়েছেন।

মির্জাপুরে কন্যার জীবন বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে দরিদ্র পিতার আবেদন

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে হার্ট ছিদ্র শিশুকন্যা ছোয়াইরার (০৩) জীবন বাঁচাতে অসহায় দরিদ্র পিতা শফিকুল ইসলাম মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ও সাংসদ খান আহমেদ শুভসহ দেশবাসির নিকট মানবিক আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। ছোয়াইরা জন্মগতভাবেই তার হার্টে ছিদ্র এবং বর্তমান তার বয়স তিন বছর তিন মাস। শফিকুল ইসলাম টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরে কুমুদিনী হাসপাতাল রোড ও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে ফুটপাতে ফুসকা বিক্রিসহ বিভিন্ন পন্য বিক্রি করেন।
আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) অসহায় ও অতি দরিদ্র শফিকুল ইসলাম জানান, শিশু কন্যাকে চিকিৎসা করাতে তিনি সর্বশান্ত। এক দিকে শিশুকন্যার চিকিৎসা, অপর দিকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট্য পরিবারের ঘানি টানতে হিমসিম খাচ্ছেন। কোন দিন খেয়ে আবার কোন দিন না খেয়ে চলছে তাদের পুরো সংসার। চিকিৎসকগন এখন পরামর্শ দিয়েছেন তাকে বাঁচাতে হলে ভারতের যে কোন উন্নত হাসপাতালে দ্রুত অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। এ জন্য প্রয়োজন প্রায় ৭ লাখ টাকা দরকার। এই টাকা যোগার করা তার ও পরিবারের পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে চিকিৎসার অভাবে তার ফুটফুটে শিশুকন্যা ধুকে ধুকে মৃত্যুর দিকে যাচ্ছে। শিশু কন্যাকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্থানীয় এমপি খান আহমেদ শুভসহ দেশ ও বিদেশে বিত্তমানদের কাছে আর্থিক সাহায্যের আকুল আবেদন জানিয়েছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা মোঃ শফিকুল ইসলাম, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর- ০২০০০২২৩২৩৪৭৭, অগ্রণী ব্যাংক, মির্জাপুর শাখা, টাঙ্গাইল। এ ছাড়া তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর এই ঠিকানায়-০১৭৪৩-৪৬০৬৫৪ (বিকাশ ও নগদ পার্সোনাল) সাহায্য পাঠানোর বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন।

 

মির্জাপুরে আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সমাজ সেবক আলালের ইন্তেকাল

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মো. শফিকুল ইসলাম আলাল (৭০) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নানিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন)। আজ সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে আমেরিকার মিয়ামী ফ্লোরিডায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার ছেলে মো, আনোয়ার হোসেন আজ সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আজাহারুল ইসলাম আজাহার জানান, মো. শফিকুল ইসলাম আলালের পিতার নাম মৃত-তোতা মিয়া। তিনি ছিলেন সাবেক জনপ্রিয় ইউপি মেম্বার। গ্রামের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার ১৩ নং বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল গ্রামে। শফিকুল ইসলাম আলাল বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক হিসেবে কাজ করতেন। আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ও আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে ব্যবসা করতেন। এলাকায় উন্নয়নমুরক কর্মকামন্ডসহ সমাজ সেবা এবং গ্রামের মানুসের চিকিৎসা সেবার জন্য একটি হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি কিডনি জনিতসহ শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য ছিলেন। অসুস্থ্য অবস্থায় গতকাল রোববার আমেরিকার মিয়ামী ফ্লোরিডায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আজ সোমবার দুপুরে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর খবর দেশে আসলে তার পরিবার ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের চায়া নেমে এসেছে। আমেরিকায় আনুষ্ঠানিকতা শেষে কয়েক দিনের মধ্যে তার মরদেহ দেশে এনে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে তার ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন।
এদিকে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য শফিকুল ইসলাম আলালের মৃত্যুতে তার পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুর রহমান খান ফারুক, টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের সংসদ সদস্য এবং পাট ও বস্্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহেমদ শুভ এমপি, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ এবং সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত প্রমুখ।

মির্জাপুরে পুকুর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় গ্রেনেড উদ্ধার

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুকুর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দশটার দিকে মির্জাপুর পৌরসভার পাহাড়পুর গ্রামের মো. দেলোয়োর হোসেনের পুকুর থেকে এ গ্রেনেড উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) পুলিশ সুত্র জানায়, গতকাল সোমবার রাতে এলাকাবাসি পাহাড়পুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের বাড়ির পুকুরে পরিত্যক্ত অবস্থায় কাল সদৃশ একটি গ্রেনেড দেখতে পেয়ে জাতীয় জরুরী সেবা সংস্থা ৯৯৯-এ ফোন দেয়। ফোন পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেডটি উদ্ধার করেছেন। পুলিশের ধারনা গ্রেনেডটি ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী অথবা মুক্তিযোদ্ধাগন পুকুরে ফেলে যান। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশক্রমে গ্রেনেডটি ধ্বংস করা হবে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ডিউট অফিসার মো. সোহেল রানা বলেন, গতকাল সোমবার রাতে পাহাড়পুর গ্রামের পুকুর থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেনেডটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা বোমা ডিসপজাল সেলে পাঠানো হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশক্রমে গ্রেনেডটি পরবর্তীতে ধ্বংস করা হবে।

মির্জাপুরে নানা আয়োজনে আওয়ামীলীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
র‌্যালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সকালে একটি র‌্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে পুরাতন বাস স্টেশনে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্্েরর সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে। এরপর মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত ও জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য রাফিউর রহমান খান ইউসফুজাই সানি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মির্জাপুর উপজেলা, পৌরসভা এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে কেক কেটে ও বিশেষ দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।।

মির্জাপুরে ফতেপুর ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গন এলাকায় এমপির পরিদর্শন

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বংশাই-লৌহজং নদীতে তীব্র ভাঙ্গনে নিরাপত্তাহীনতায় কয়েক শতাধিক পরিবার বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, গাছপালা, হাট বাজার, মসজিদ-মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ফতেপুর পালপাড়া এলাকার শতাধিধ পরিবার খেলা আকামের নিচে বসবাস করছেন। ভাঙ্গন কবরিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগের চিত্র দেখতে আজ শুক্রবার (২৪ জুন) পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান আহমেদ শুভ এমপিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগন বংশাই- লৌহজং নদীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এমপি ও কর্মকর্তাগন বংশাই নদীর ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর, থলপাড়া, বানকাটা, সুতানরী, হিলড়া আদাবাড়িসহ বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় এমপি ছাড়াও ইউনিয়ন আওযামীলীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফ মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ, এমপির একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিকসহ টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে জনগনের জানমালের নিরাপত্তাসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ^াস দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে নদীর তীরে জিও ব্যাগ ফেলার জন্য পানি উন্নয়নের বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে এমপি খান আহেমদ শুভ জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার ভুক্তভোগি এলাকাবাসি অভিযোগ করেন, পানি বৃদ্ধির ফলে বংশাই নদীর ফতেপুর, থলপাড়া, হিলড়া আদাবাড়ি, পারদিঘী, চাকলেশ^র, বৈলানপুর, গোড়াইল, গাড়াইলসহ বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, হাট জাহার ও রাস্তাঘাট ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ফতেপুর ইউনিয়নের কয়েক শতাধিক পরিবার। নদী ভাঙ্গনে ফতেপুর বাজার সংলগ্ন পাকা রাস্তা বিলিন হয়ে মির্জাপুর উপজেলার সঙ্গে বাসাইল উপজেলার সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন হয়ে গেছে। এ বছর হঠাৎ করে হাট ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদ. হাট ফতেপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র, ইউনিয়ন ভুমি অফিস, মির্জাপুর-বাসাইল রাস্তা, ফতেপুর-মহেড়া-মির্জাপুর রাস্তাসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান এবং হাট ফতেপুর হাট ও বাজার এখন হুমকির মুখে। এছাড়া ফতেপুর পালপাড়া এলাকার শতাদিখ পরিবার নদী ভাঙ্গনে ভিটেমাটি হারিয়ে খোলা আকামের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেন, স্থায়ী বাঁধ নির্মানের জন্য নদী ভাঙ্গন থেকে থেকে ফতেপুর ইউনিয়নকে রক্ষার জন্য শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি ইতিপুর্বে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসুচী পালন করেছে। তারপরও স্থায়ী বাঁধ নির্মান হয়নি। বংশাই নদীর ভাঙ্গনের ফলে ফতেপুর, থলপাড়া, বৈল্যানপুর, হিলড়া আদাবাড়ি বাজার, গোড়াইল, গাড়াইল, পুষ্টকামুরী পুর্বপাড়া, বাওয়ার কুমারজানি, ত্রিমোহন, বান্দরমারা, যুগিরকোপা, রশিদ দেওহাটা চাকলেশ^রসহ বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মানের দাবী জানিয়েছে।
অপর দিকে একই অবস্থা দেখা দিয়েছে লৌহজং নদীতে। ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম আজাহার ও জামুর্কি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডি এ মতিনসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, লৌহজং নদীর মাঝালিয়া, গুনটিয়া, চুকুরিয়া, বরাটি, ইচাইল, সারুটিয়া, পুষ্টকামুরী, দেওহাটা, কোর্ট বহুরিয়া, বহুরিয়া, কামারপাড়া, নাগরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙ্গনে বহু পরিবার দিশেহারা হয়ে পরেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট, হাট বাজারসহ ফসলি জমি। ৭-৮ টি পাকা ব্রিজ হুমকির মুখে বলে এলাকাবাসি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরু হলে প্রতি বংশাই-লৌহজং নদীর আশপাশে ভাঙ্গন দেখা দেয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ্যদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মাননীয় এমপি মহোদয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগন ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বরাদ্ধ পেলে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাত হোসেন জানিয়েছেন মির্জাপুরে বেশ কয়েকটি এলাকায় নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের জন্য ইতিপুর্বে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। বেশী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মানের জন্য প্রকল্প তৈরী করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্ধ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মির্জাপুরে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে কোরবানী পশুর চামড়া, বিপাকে মৌসুমী বেপারিরা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় সিন্ডিকেট চক্রের কারসাজিতে পানির দামেও কোরবানী পশুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পরে আছে কোরবানী পশুর চামড়া। কোরবানীর ঈদে সিন্ডিকেট চক্রের কারনে কারসাজিতে ৩-৪ হাজার টাকা মুল্যের পশুর চামড়া পানির দরে ২০০শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কোন কোন এলাকায় ক্রেতার অভাবে ফেলে দেওয়া হচ্ছে গরু-খাঁসির চামড়া। লোকসানের মুখে পরেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। আজ বুধবার (১৯ জুন) মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এ বছর মির্জাপুর উপজেলার পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নে কমপক্ষে ১৫ হাজার ৫শ গরু ও খাঁসি ও মহিষ কোরবানী করেছেন ধর্মপ্রান মুসুল্লিগন। এই পশু কোরবানীর চামড়া বিক্রি নিয়ে হয়েছে পুকুর চুরির মত ঘটনা। বিভিন্ন এলাকার মৌসুমী চামড়ার বেপারীগন গ্রামে গ্রামে ঘুরে সরকারী দেওয়া রেটে চামড়া কিনে মির্জাপুর উপজেলা সদর, পাকুল্যা, জামুর্কি, কুরনী, দেওহাটা, গোড়াই, হাটুভাঙ্গা, বাঁশতৈল, তক্তারচালা এবং আজগানা এলাকায় এনে মহাজন এবং ট্যানারী মালিকদের নিকট বিক্রি করে থাকেন। আগধল্যা গ্রামের আবু তালেব ও হাফিজ মিয়া অভিযোগ কলেন, দেড় লাখ টাকায় কোরবানীর গরু কিনে চামড়া বিক্রি হয়েছে ৩০০শ টাকায়। অথচ তিন চার বছর পুর্বেও এই একই দামের গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায়। এ বছর খাঁসির চামড়া বিক্রিই হচ্ছে না। বেপারিরা খাসির চামড়া না কেনায় অনেকেই ফেলে দিয়েছেন। এখনো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পরে আছে পশুর চামড়া। এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন কওমী মাদ্রাসা ও এতিম খানার শিক্ষার্থী এবং আলেম ওলামাগন কিছু টাকার আশায় বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে ভ্যান ও রিকসায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পশুর চামড়া সংগ্রহ করছেন।
মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী শুভ (৪৫), মীর হোসেন (৫৫) ও সুজন (৪৩) বলেন, সরকারের অব্যবস্থাপনা, একটি সিন্ডিকেট চক্রের কারসাজি এবং ট্যানারী মালিকদের কারনে চামড়ার বাজারে ধস নামে। এ বছর বড় সাইজের একটি গরুর চামড়া ৩০০শ থেকে ৪০০শ টাকা, মাজারি ও ছোট সাইজের একটি গরুর চামড়া ১৫০ টাকা থেকে ২০০শ টাকা এবং খাঁসির চামড়া ১০-১৫ টাকায় কিনেছেন। গ্রাম থেকে চামড়া কিনে শহরে নিয়ে আসতে চামড়া প্রতি যাতায়াত খরচ আরও ৬০-৭০ টাকা বেশী পরেছে। একটি সিন্ডিকেট চক্রের কারনে তারা কেনা দামেও চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না। যে চামড়ার খরচ পরেছে ৪৭০ টাকা, মহাজন ও ট্যানারী মালিকরা এসে সেই চামড়ার দাম করছেন ১৫০-২০০শ টাকা। লাভের আশায় বিভিন্ন জনের নিকট থেকে ধার দেনা এবং চড়া সুদে টাকা এনে চামড়া কিনে ছিলেন। কিন্ত লাভ তো দুরের কথা তাদের চালান দামও বলছেন না সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা। ফলে লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। সিন্ডিকেট চক্রের কারসাজিতে মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পরেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টির দিকে সু নজর দেওয়ার জন্য অসহায় চামড়া ব্যবসায়ীরা সরকারের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা শুভাশিস কর্মকার বলেন, কোরবানী ঈদে সরকার পশুর চামড়ার দাম নির্ধারন করে দিয়েছেন। ব্যবসায়রা সেই নির্ধারিত দামে চামড়া কেনার কথা। সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে নানা কারসাজি করে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী চক্র জনগনকে ধেখা দিয়ে কম দামে পশুর চামড়া কিনে নিচ্ছে। এলাকার জনগস চামড়ার নায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম বলেন, সরকার নির্ধারিত দামেই কোরবানীর পশূর চামড়া কেনা বেচার কথা। এই পশুর চামড়ার বিক্রির টাকায় গরীব, এতিম ও অসহায়দের সহায়তা করে থাকেন যারা কোরবানী দিয়ে থাকেন। সরকারী নির্দেশনা না মেনে কিছু অসাধু চক্র কম দামে চামড়া কিনে থাকেন। প্রতারিত হয়ে থাকেন জনগন। খোঁজ খবর নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতালে রোগী-কর্মকর্তাদের ঈদের নামাজ আদায়

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শহীদ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার (রায় বাহাদুরের) প্রতিষ্ঠিত কুমুদিনী হাসপাতালে দুইশত বছরের বিরল দৃষ্টান্ত রোগী ও কমপ্লেক্্েরর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক সাথে ঈদের নামাজ আদায়। প্রতি বছর ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার দিনে কুমুদিনী হাসপাতালে রোগী ও হাসপাতালের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়। আজ সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আযহার দিনে এই অনুষ্ঠানের কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি। ঈদুল আযহা উপলক্ষে কুমুদিনী কমপ্লেক্্র এবং কুমুদিনী হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড নানা সাজে সজ্জিত করা হয়। হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয় বলে হাসপাতালের ডিজিএম অনিমেশ ভৌমিক লিটন জানিয়েছেন।
কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় ও ডিজিএম অনিমেশ ভৌমিক লিটন জানান, সব কিছুর মুলে রয়েছেন কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল বিডি লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা, পরিচালক শিক্ষা প্রিন্সিপাল ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক প্রতিভা মুৎসুদ্দি, পরিচালক শ্রীমতি সাহা, মহাবীর পতি ও পরিচালক সম্পা সাহা। তাদের মুলমন্ত্র একটাই, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও তাদের জেঠামনি আরপি সাহার মুলমন্ত্রকে বুকে ধারন ও লালন করে আজও তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। কুমুদিনী পরিবারের এমন কাজে হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনরা খুবই খুঁশি। ঈদের নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ দোয়া করা হয়। পরে হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের মাঝে উন্নত মানের খাবার পরিবশেন কার হয়। এ সময় কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, ডিজিএম অনিমেশ ভৌমিক লিটন. কুমুদিনী নার্সিং কলেজের প্রিন্সিপাল সিস্টার রীনা ক্রুস, ভাইস প্রিন্সিপার সিস্টার শেফালী সরকার ও মেট্রন সিস্টার দিপালী পেরেরাসহ চিকিৎসক ও সেবিকাগন উপস্থিত ছিলেন।

মির্জাপুরে এমপির উদ্যোগে অসহায়দের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের চেক বিতরণ

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঈদের আগে এমপির উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবীল থেকে প্রাপ্ত ৫১ জন অসুস্থ শিশু, পঙ্গু, দরিদ্র ও অসহায় নারী পুরুষের মাঝে ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৫ জুন) বিকেলে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই চেক বিতরণ করেন প্রধান অতিথি ছিরেন পাট ও বস্্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও টাঙ্গাইল জেরা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সালাহ উদ্দিন আহমেদ বাবর, সাবেক মেয়র শহীদুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি শামসুল ইসলাম সহিদ, উপজেলা আ.লীগের সহসভাপতি এসএম মোজাহিদুল ইসলাম মনির, সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাংগঠরিক সম্পাদক আমিনুর রহমান আকন্দ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শহীদুর রহমান লাভু, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষযক সম্পাদক আব্দুর রউফ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও এমপির একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিক প্রমুখ।
এ ব্যাপারে এমপির একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিক বলেন, এমপি মহোদয়ের সার্বিক উদ্যোগ ও সহযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৫১ অসুস্থ নারী পুরুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যান তহবীল থেকে প্রাপ্ত ঈদের আগে অনুদানের ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। এর আগেও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চার শতাধিক অসহায় নারী পুরুষ এবং শিশুর মাঝে এ অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়।

মির্জাপুরে ভারতীয় গরু আসায় কোরবানীর পশু নিয়ে খামারী কৃষক ও বেপারিরা বিপাকে

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে হাট বাজারে ভারতীয় গরু আসায় কোরবানীর পশু নিয়ে চরম বিপাকে পরেছেন খামারী, কৃষক ও বেপারিগন। ক্রেতা না পাওয়ায় কোরবানীর পশু নিয়ে দুঃচিন্তায় পরেছেন খামারীগন। আজ শনিবার (১৫ জুন) উপজেলার কোরবানী পশুর হাটে কয়েকজন খামারী ও গরু বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ জানান, পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নে ছোট বড় মিলে ১৫০টি মত গরুর খামার রয়েছে। কোরবানী ঈদে বিক্রির করার জন্য এসব খামারী ও বেপারিগন দেশীয় ও ক্রস প্রজাতির গরু মোটা তাজা করে থাকেন। খামারীদের সহজ শর্তে ঋণ, ঔষধ, উন্নত জাতের খাবার সরবরাহসহ নানা ভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়। উপজেলার গরুর খামারী মোবারক ও গরু বিক্রেতা আব্দুল মালেক মিয়া জানান, খামারে ছোট, বড় ও মাঝারি সাইজের ১৫-২০ টি গরু রয়েছে। কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে ব্যাংক ঋনসহ বিভিন্ন ধার দেনা করে গরু লালন পালন করেছেন। খামারে বেপারি ও ক্রেতা আসছেন না। মুল কারন হচ্ছে বিভিন্ন হাট বাজারে শেষ সময়ে এসে ভারতীয় গরু সয়লাভ হওয়ায় ক্রেতাগন কম দামে গরু কিনছেন। এখানে পশুর হাটে ছোট সাইজের গরু ৬০-৮০ হাজার টাকা, মাঝারি সাইজের গরু ৯০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা এবং বড় সাইজের গরু এক লাখ ৮০ হাজার টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খাঁসি ৭ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০-৪০ হাচজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় প্রজাতির গরু বিক্রি করতে না পারলে লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে বলে জানিয়েছেন। তাদের মত অনেক খামারীই এমন অভিযোগ করেছেন। অপর দিকে কোরবানীর আর মাত্র এক দিন রয়েছে। উপজেলার বৃহৎ পশুর হাট দেওহাটা ও তকত্তারচালায় হাট বসেছে। ক্রেতাগন কম দামের আসায় এ হাট থেকে অন্য হাটে ছোটাছুটি করচেন পশু কিনতে। এদিকে বেপারিদের মধ্যে আরমান আলী ও সোহাগ মিয়া জানান, প্রতি বছর কোরবানীর ঈদ এলেই দেওহাটা ও তক্তারচালা পশুর হাটে কোরবানীর পশু বিক্রি করতে আসেন। এ বচল ভাতরয়ি গরু আসায় তারা বিপাকে পরেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শুভাশিষ কর্মকার বলেন, এ বছর মির্জাপুর উপজেলার দেড় শতাধিক খামারে দেশীয় ও ক্রস প্রজাতির প্রচুর গরু মোটা তাজা করেছেন বেপারি ও কৃষকরা। প্রয়োজনীয় তকুলনায় ক্রেতা না পাওয়ায় খামারী ও বেপারিরা গরু নিয়ে দুঃচিন্তায় পরেছেন। প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে খামারী, কৃষক এবং বেপারিদের বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম বলেন, কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে খামারী, বেপারি ও সাধারন জনগনের কথা বিবেচনা করে পশুর হাট চালু করা হয়েছে। খামারী, বেপারি ও কৃষকরা যাতে নির্বিগ্নে প্রতিটি হাটে পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন সেজন্য উপজেলা প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগন নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন।