মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
বিশ^ পর্যটন দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে উপজেলা পরিষদ চত্তরে একটি র্যালি বের হয়। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা হয়। বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম, মীজা শামীমা আক্তার শিফা এবং কৃষি অফিসার সঞ্জয় কুমার পাল প্রমুখ।
মির্জাপুরে বিশ^ পর্যটন দিবস উপলক্ষে র্যালি আলোচনা সভা
মির্জাপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আনাইতারা ইউনিয়নের চরবিলসা গ্রামের সাবেক মেম্বার এবং আনাইতারা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন (৮০) আজ মঙ্গলবার সকালে ইন্তেকাল করেছেন( ইন্না নিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন) । মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও তিন পুত্রসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ মঙ্গলবার বাদ জোহর তার প্রথম নামাজে জানাজা উপজেলা পরিষদ চত্তরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে এবং দ্বিতীয় নামাজে জানাজা বাদ আসর তার নিজ গ্রাম চরবিলসা গ্রামে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল, ডি এম শফিকুল ইসলাম ফরিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাজাহান সাজুসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিনের মৃত্যুতে তার পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অথ্যাপক দুর্লভ চন্দ্র বিশ^াসসহ শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
মির্জাপুরে পুলিশ হেফাজতে আসামীর ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ অগ্নিসংযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশ হেফাজতে হাজত খানার ভিতরে লেবু সিকদার (৫০) নামে এক আসামী গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেছে। আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। তার পিতার নাম বাহার উদ্দিন। গ্রামের বাড়ি বাঁশতৈল গ্রামে। লেবু সিকদারের স্বজনদের অভিযোগ পুলিশ হেফাজতে তাকে নির্যাতনের পর হত্যাটি আতœহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে পুলিশ হেফাজতে হাজত খানার ভিতরে আসামী আতœহত্যার ঘটনার প্রতিবাদ এবং অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবীতে বিক্ষুব্দ এলাকাবাসি গোড়াই-সখীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক রাস্তা অবরোধ এবং অগ্নিসংযোগ করে প্রতিবাদ সামবেশ করেছে। দায়িত্বে অবহেলায় সুব্রত সরকার নামে এক পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য গঠন হয়েছে তিন সদস্য বিশিষ্ট্য তদন্ত কমিটি। মির্জাপুর থানার ওসি তদন্ত মো. গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মুল ঘটনা ও ফাঁড়ি পুলিশের দাবী ঃ-
বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাকাওয়াত হোসেন জানান, গতকাল সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মির্জাপুর উপজেলার ১৩ নং বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল পশ্চিমপাড়া গ্রামে সখিনা বেগমের নিজ ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সখিনা বেগমের সাবেক স্বামীর নাম মফিজ উদ্দিন। ৫-৬ বছর পুর্বে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হলে বাঁশতৈল পশ্চিমপাড়া গ্রামে বাড়ি নির্মান করে এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে সখিনা বেগম বসবাস করতেন। এক ছেলে মালেশিয়া প্রবাসি। তার দুই মেয়ে বিয়ে হয়ে যাওয়ায় ছেলের বৌ নিয়ে বাড়িতে থাকতেন। গত দুই তিন দিন পুর্বে ছেলের বৌ তার বাবার বাড়ি যান। এই সুযোগে গতকাল রবিবার রাতে দুষ্কৃতকারীরা তার ঘরে ঢুকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়। গত সোমবার দুপুর পর্যন্ত সখিনা বেগমের সন্ধান না পেয়ে আশপাশের লোকজনের সন্দেহ হয়। পুলিশকে খবর দিলে বাড়িতে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। সখিনার ভাই বাদশা সিকদার বাদী হয়ে সাবেক স্বামী মফিজ উদ্দিন এবং লেবু সিকদারকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৫, তাং-২৬/৯/২২/ ধারা ৩০২/৩৪ প্যানাল কোড। পরিবারের দাবী লেবু সিকদার সখিনা বেগমরে প্রেমিক। তার বাড়িতে যাতায়াত করতো। তাদের ধারনা লেবু সিকদার ও মফিজ তাকে হত্যা করেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মফিজ ও লেবুকে আটক করে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। ভোর পাঁচটার দিকে পুলিশ ফাঁড়ি হাজতের ভিতরে টয়লেটে লেবু মিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে। তাকে নির্যাতন করা হয়নি। পুলিশ ফাঁড়ির বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অভিযোগ অস্বীকার করেন।
লেবু সিকদারের পরিবারের সদস্যদের বক্তব্যঃ
লেবু সিকদারের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৪৬) অভিযোগ করে, তার স্বামীর কোন দোষ ছিল না। বাঁশতৈল ফাঁড়ির দারোগা সাকাওয়াত হোসেন ও নেছার উদ্দিনসহ ৬-৭ পুলিশ আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে জোর করে ধরে নিয়ে যায়। তারা রাতভর তাকে নির্যাতন করেছে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে থানার ভিতরেই সে মারা যায়। পুলিশ নিজেদের দোষ আড়াল করার জন্য ঘটনাটি আতœহত্যা বলে দাবী করছে। পুলিশ তার স্বামীর হত্যার ঘটনাটি কাউকে জানায়নি। একই অভিযোগে করেছে লেবু সিকদারের দুই মেয়ে রচনা আক্তার, কলেজ পড়–য়া ছাত্রী শিলী, এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলে মৃদুল সিকদার এবং লেবুর ভাই বজলুর রশিদ। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
দোষীদের শাস্তির দাবীতে রাস্তা অবরোধ অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদ সমাবেশঃ-
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদ এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে দুপুর আড়াইটার দিকে বিক্ষব্দ এলাকাবাসি গোড়াই-সখীপুর-ঢাকা রোড অবরোধ করে অগ্নিসংযোগ এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। তিন ঘন্টা ব্যাপি রাস্তা অবরোধ থাকলে বিপাকে পরেন যাত্রী ও সাধারন লোকজন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ পুলিম বাহিনী এবং মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ৭২ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির আশ^াস দেওয়া হলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয। এ সময় বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ¦ হেলাল দেওয়ান, আওয়ামীলীগ নেতা মো. লাল মিয়া, ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভর ব্যক্তিগত একান্ত সহকারী মীর আসিফ অনিক, এসিল্যান্ড ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
যত অভিযোগ বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়িতে ঃ-
আজ মঙ্গলবার বাঁশতৈল ইউনিয়নের অন্তত ১২ জন ভুক্তভোগি অভিযোগ করেন, বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির বেশ কয়েকজন দুর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্যদের যোগ সাজসে এলাকায় জুয়া, মাদক ব্যবসা, টাকার বিনিময়ে অন্যের জমি দখল করে দেওয়া, মিথ্যা মামলায় নিরীহ মানুষকে হয়রানীসহ অনিয়ম দুর্নীতির পাহাড় রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে চলছে এ অবস্থা। তারা অভিযোগ করেছে পরিদর্শক মো. সাকাওয়াত হোসেন, পুলিশ অফিসার নেছার উদ্দিন, সুরুজ্জামান, খলিলুর রহমান, সেলিম রেজা ও খালেকুজ্জামানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ। একের পর এক ঘটছে বাঁশতৈ পুলিশ ফাঁড়িতে ঘটনা। এলাকাবাসি দুর্নীবিজা পুলিশ সদস্যদের দ্রুত প্রত্যাহার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন ও পুলিশ সুপারের বক্তব্যঃ-
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশ হেফাজতে আসামী আতœহত্যার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলায় সুব্রত সরকার নামে এক পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ, লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেনকে সভাপতি এবং সখীপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রকিবুর রাজা এবং ইন্সফেক্টর (ক্রাইম) সুব্রত সাহাকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে কোন পুলিশ সদস্য দোষী প্রমানিত হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মির্জাপুর থানা পুলিশের বক্তব্যঃ-
অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম এবং ওসি তদন্ত মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, সখিনা বেগমের পরিবার হত্যা মামলা করলে লেবু সিকদার ও মফিজকে জিহ্ঝাসাবাদের জন্য বাঁশতৈল পুলিশ ফ৭াড়িতে আনা হয়। থানার ভিতরে টয়লেটে ফাঁস দিয়ে লেবু সিকদার আতœহত্যা করেছে। কেউ দোষী প্রমানিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট তন্ত কমটি গঠন এবং এক কন্সটেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারর কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। রাতেই লাশ দাফন করা হয়েছে।
মির্জাপুরে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়িতে ফাঁস দিয়ে আসামীর আতœহত্যা
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ি হাজতে লেবু মিয়া নামে এক আসামী গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেছে। তার পিতার নাম বাহার উদ্দিন। গ্রামের বাড়ি বাঁশতৈল গ্রামে। মির্জাপুর থানার অপিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে লেবুর পরিবার অভিযোগ করেছে, তাকে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাকাওয়াত হোসেনসহ পুলিশ সদস্যগন নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য লাশ আন্তহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেওয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ১৩ নং বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল পশ্চিমপাড়া গ্রামে সখিনা বেগমের নিজ ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সখিনা বেগমের সাবেক স্বামীর নাম মফিজ উদ্দিন। ৮-১০ বছর পুর্বে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হলে বাঁশতৈল পশ্চিমপাড়া গ্রামে বাড়ি নির্মান করে এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে সখিনা বেগম বসবাস করতেন। এক ছেলে মালেশিয়া প্রবাসি। তার দুই মেয়ে বিয়ে হয়ে যাওয়ায় ছেলের বৌ নিয়ে বাড়িতে থাকতেন। গত দুই তিন দিন পুর্বে ছেলের বৌ তার বাবার বাড়ি যান। এই সুযোগে গতকাল রবিবার রাতে দুষ্কৃতকারীরা তার ঘরে ঢুকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে বাহিরে তালা ঝূঁলিয়ে চলে যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত সখিনা বেগমের সন্ধান না পেয়ে আশপাশের লোকজনের সন্দেহ হয়। পুলিশকে খবর দিলে বাড়িতে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ সাবেক স্বামী মফিজ উদ্দিন এবং লেবু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। ভোর পাঁচটার দিকে পুলিশ ফাঁড়ি হাজতে লেবু মিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন ঘটনাস্থলে আসছেন।
মির্জাপুরে নিজ ঘর থেকে স্বামী পরিত্যাক্ত নারীর মরদেহ উদ্ধার, পুলিশ বলেছে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
নিজ ঘর থেকে স্বামী পরিত্যাক্ত (তালাকপ্রাপ্ত) সখিনা বেগম (৪২) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। তাকে শ^াসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ১৩ নং বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল পশ্চিমপাড়া গ্রামে সখিনা বেগমের নিজ ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আজ সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মির্জাপুর থানা পুলিশ সুত্র জানায়, সখিনা বেগমের সাবেক স্বামীর নাম মফিজ উদ্দিন। ৮-১০ বছর পুর্বে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হলে বাঁশতৈল পশ্চিমপাড়া গ্রামে বাড়ি নির্মান করে এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে সখিনা বেগম বসবাস করতেন। এক ছেলে মালেশিয়া প্রবাসি। তার দুই মেয়ে বিয়ে হয়ে যাওয়ায় ছেলের বৌ নিয়ে বাড়িতে থাকতেন। গত দুই তিন দিন পুর্বে ছেলের বৌ তার বাবার বাড়ি যান। এই সুযোগে গতকাল রবিবার রাতে দুষ্কৃতকারীরা তার ঘরে ঢুকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে বাহিরে তালা ঝূঁলিয়ে চলে যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত সখিনা বেগমের সন্ধান না পেয়ে আশপাশের লোকজনের সন্দেহ হয়। পুলিশকে খবর দিলে বাড়িতে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে সখিনা বেগমের দুই মেয়ে ও স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা তদন্ত করে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাকাওয়াত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সখিনা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে হত্যার মুল রহস্য জানা যাবে।
মির্জাপুরে কলেজ ছাত্রী তানিয়ার আতœহত্যার প্ররোচনাকারী সুজন পাঁচ দিনেও গ্রেফতার হয়নি
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
ধর্ষনের নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ায় অপমান সইতে না পেরে লোকলজ্জায় সুইসাইড নোট লিখে কলেজ ছাত্রী আতœহত্যার ঘটনা মামলা হলেও পাঁচ দিনেও মুলহোতা বখাটে সুজন গ্রেফতার হয়নি। মেয়েকে হারিয়ে তানিয়ার পরিবার এখন দিশেহারা হয়ে পরেছে। ন্যায় বিচার নিয়ে সংশয়ের কথা জানিয়েছেন তানিয়ার অসহায় পিতা হারুন অর রশিদ। তানিয়ার আতœহত্যার ঘটনা এবং মুল আসামী পাঁচ দিনেও গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। থানা পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন মামলার পর থেকেই আসামী সুজনকে গ্রেফতারে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
আজ রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কলেজ ছাত্রী তানিয়ার হারুন অর রশিদ জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার আট নং ভাতগ্রাম ইউনিয়নের সিংজুরি গ্রামে। এক পুত্র ও তিন কন্যার মধ্যে তানিয়া বড়। অভাবের সংসারে বড় ছেলে আবু তালেবকে হবিগঞ্জ কলেক থেকে ডিপ্লোমা পাশ করিয়েছে। মেয়ে তানিয়া মির্জাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। এক মেয়ে ৯ম ¤্রণেীতে এবং ছোট মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পরে। অভার অনটনের মধ্যে হারুন অর রশিদ সন্তানদের লেখাপড়া করার বেষ্টা চালিয়ে আসলেও মেয়ে আতœহত্যার ঘটনায় সব তছনছ হয়ে গেছে বলে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন। বখাটে ও ঘটনার মুরহোতা সুজনের পিতার নাম আব্দুর রশিদ মিয়া, গ্রামের বাড়ি একই ইউনিয়নের বুড়িহাটি গ্রামে। কলেজে আসা যাওয়ার পথে বখাটে সুজন তানিয়াকে দীর্ঘ দিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিল। নানা কৌশলে তানিয়াকে তুলে নিয়ে ধর্ষন এবং ব্লাক মেইল করে ধর্ষনের নগ্ন ভিডিও ধারন করে সুজন। তানিয়া লোক লজ্জায় বিষয়টি পরিবারকে জানাতে পারেনি।
এদিকে ধর্ষনের নগ্ন ও আপত্তিকর ভিডিও ধারন করে বখাটে সুজন ফেইজবুকে ছড়িয়ে দিবে এই হুমকি, ভয় ভিতি দেখিয়ে ব্লাক মেইল করে তানিয়ার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিত। গত দুই সপ্তাহ পুর্বে সুজন তার মোবাইলের লোকাল সাফি নামে একটি ফেইজবুক আইডি থেকে তানিয়ার ধর্ষনের নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও দেখে তানিয়া মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পরে। এক পর্যায়ে গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তানিয়া পরিবারের অজান্তে লোকলজ্জায় সুইসাইড চিটি লিখে গত বুধবার নিজ বাড়িতে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তানিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার এবং সাইসাইট নোট উদ্ধার করে। বখাটে সুজনের কারনে আমার পরিবার তছনছ হয়ে গেছে। আমি বখাটে সুজনকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও ফাঁসি চাই।
আতœহত্যার আগে তানিয়া সুইসাইড নোটে যা লিখে গেছে তা হুবহু তুলে ধরা হলো—–আমারে তুমরা সবাই মাফ কইরা দিও, আমার জন্য তুমাগো অনেক মান-সম্মান নষ্ট হইছে, আমি চাই না তুমাগো আরো মান-সম্মান নষ্ট হোক। তোমরা জানো না ঐতি কি কি করছে আমার সাথে। আমারে জোর কইরা ব্লাকমেইল কইরা আমার সাথে ধর্ষন করছে। তারপর আমার ছবি তুইলা সেই ছবি দিয়া আমার ব্লাকমেইল করেছে। আমার কাছ থাইকা দেড় লাখ টাকার জিনিস নিছে।
ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম আজাহার ও তানিয়ার ভাই আবু তালেব বলেন, সুজনের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অভিযোগ রয়েছে। সুজন শুধ তানিয়াকেই নয় এলাকার আরও অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছে। তার বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগের অন্তনেই। সর্বশেষ ব্লাক মেইল করে কলেজ ছাত্রী তানিয়াকে মৃত্যুর কুলে ঠেলে দিয়েছে। তানিয়ার কলেজের অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদসহ তানিয়ার সহপাঠী, শিক্ষক-কর্মচারী এবং এলাকাবাসি সুজনকে অবিলম্বে গ্রেফতার এবং ফাঁসির দাবী জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবু সাইদ বলেন, তানিয়ার আতœহত্যার ঘটনায় তার বাবা মো. হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে সুজনকে প্রধান আসামী করে মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকেই বখাটে সুজন পলাতক। বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে গ্রেফতারের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বহিনিীল কয়েকতটি টিম মাঠে কাজ করচেন। অচিরেই সে গ্রেফতার হবে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, কলেজ ছাত্রী তানিয়ার আতœহত্যার মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ঘটনার মুলহোতা সুজনকে গ্রেফতারে একাধিক টিম মাঠে রয়েছেন।
মির্জাপুরে নাশকতার অভিযোগে জামাত-শিবিরের পাঁচ নেতা গ্রেফতার
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
নাশকতার অভিযোগে গোপন আস্তানা থেকে জিহাদী বই ও চাঁদা আদায়ের রেজিষ্টারসহ জামাত-শিবিরের পাঁচ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোড়াই শিল্পাঞ্চলের সৈয়দপুর এলাকার মইননগর গ্রামের মো. আরিফ হোসেনের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আইয়ুব হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বাড়ির মালিক ও ১০ নং গোড়াই ইউনিয়নের জামাতের এক নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি মো. আরিফ হোসেন (৪০), মো. মনিরুজ্জামান মনির (৪৫), আজগানা ইউনিয়নের জামায়াতের সাধারন সম্পাদক মো. রুহুল আমিন খান (৪২), বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার মো. নুরুজ্জামান মিয়া (৩৯), এবং জয়পুরহাট জেলার মো. মমিনুল ইসলাম (৩৪)।
আজ শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও পুলিশের উপপরিদর্শক এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আইয়ুব হোসেন খান জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন, ৪০-৫০ জনের জামাত-শিবিরের নেতা গোড়াই শিল্পাঞ্চলের সৈয়দপুর মইননগর এলাকায় মো. আরিফ হোসেনের বাড়িতে গোপন আস্তায় নাশকতার পরিকল্পনা করছেন। ওসি শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিমের নির্দেশনায় থানা পুলিশের সহযোগিতায় উক্ত বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জামাত-শিবিরের পাঁচ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিমেল উপস্থিতি টের পেয়ে অনেকেই পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪০ টি জিহাদী বই, চাঁদা আদায়ের রেজিষ্টার খাতা উদ্ধার করা হয়। পলাতকদের গ্রেফারে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারি মির্জাপুর উপপরিদর্শক মো. বাশার মোল্লা বলেন, গ্রেফতারকৃতদের নামে আজ শনিবার ৯২৪ সেপ্টেম্বর) নিয়মিত মামলা হয়েছে। তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা অফিসার মির্জাপুর উপজেলার আলমগীর হোসেন
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২২ সালের টাঙ্গাইল জেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন মির্জাপুর উপজেলার শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন। তিনি বাংলাদেশ উপজেলা শিক্ষা অফিসার সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি। এছাড়া টাঙ্গাইল জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন মির্জাপুর উপজেলার ওয়ার্শি ইউনিয়নের মস্তমাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এস এম রাকিবুল হাসান এবং ঝড়েপরা রোধে বিশেষ ভূমিকা রাখায় শ্রেষ্ঠ স্কুল ভাতগ্রাম ইউনিয়নের সিবিএ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (প্রধান শিক্ষক উর্মিলা পাল)। আজ শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলায় শ্রেষ্ঠ মির্জাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা উন্নয়ন বিচারক মন্ডলীদের উপস্থিতিতে প্রতিটি উপজেলার শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষা অফিসার, প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক এবং স্কুলের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্বাক্ষাত নেওয়া হয়। বিচারক মন্ডলী স্বাক্ষত গ্রহনের পর মির্জাপুর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন টাঙ্গাইল জেলায় শ্রেষ্ঠ, শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক মির্জাপুর উপজেলার মস্তমাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এস এম রাকিবুল হাসান এবং ঝড়েপরা রোধে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় মির্জাপুর উপজেলার সিবিএ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (প্রধান শিক্ষক উর্মিলা পাল) নির্বাচিত করেছেন। বিচারক মন্ডলীদের মধ্যে ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্য সদস্যগন।
এ ব্যাপারে ঝড়েপরা রোধে টাঙ্গাইল জেলায় শ্রেষ্ঠ সিবিএ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উর্মিলা পাল বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়ন, মুক্তিযোদ্ধা কর্নার স্থাপন, অভিভাবক সমাবেশ, শিশুদের ঝড়েপরারোধসহ এলাকার প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সকলের সহযোগিতায় কাজ করে যাচ্ছি। প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা পেলে বিদ্যালয়ের আরও উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।
এদিকে টাঙ্গাইল জেলায় মির্জাপুর উপজেলার শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষক এবং একটি বিদ্যালয় টাঙ্গাইল জেলায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় তাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আমদ শুভ এমপি, উপজেলা শিক্ষা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম, মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ, মির্জাপুর উপজেলা বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মঞ্জুর কাদের, সাধারন সম্পাদক মো. মোতাহার হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
মির্জাপুরে এস কে পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত শহীদ মিনার উদ্ধোধন
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা সদরের মির্জাপুর এস কে পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত শহীদ মিনারের উদ্ধোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নবনির্মিত শহীদ মিনারের উদ্ধোধন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মির্জাপুর এস কে পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান।
এ সময় সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুর রহমান শহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, মির্জাপুর সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. সালাউদ্দিন আহমেদ বাবর, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হায়দার, একাডেমিক সুপারভাইজার প্রবীর কুমার চৌধূরী, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী প্রধান শিক্ষক বাবু প্রফুল্ল কুমার সরকার, উপজেলা সহকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবু তাহের মোল্লা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।
মির্জাপুরে পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কমিটির পরিচিতিসভাসহ নানা অনুষ্ঠান
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা পরিষদ চত্তরে মুক্তির মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, ইউএনওর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়, প্রেস ক্লাবে পরিচিত অনুষ্ঠান এবং আওয়ামীলীগের সভাপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার নেতৃবৃন্দ মুক্তির মঞ্চে শ্রদ্ধা জানান। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য স্বাক্ষত করে তাকে ফুলের শুভচ্ছা জানান। এর আগে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ ও নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেখা করেন। সৌজন্য স্বাক্ষাতের সময় নেতৃবৃন্দ পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়িনে ২৫৬ পূজা মন্ডপে সার্বিক সহযোগিতা চান।
এ সময় উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক সুরঞ্জন শেঠ তাপস, সদস্য সচিব সুশিল সরকার, বিকাশ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ গোষ্মামী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের মির্জাপুর উপজেরা শাখার সাবেক সাধারন সম্পাদক প্রমথেস গোষ্মামী সংকর, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা ও প্রেস ক্লাবের সভাপতি নিরঞ্জন পালসহ আহবায়ক কমিটির সকল নেতৃবৃন্দে উপস্থিত ছিলেন।
অপর দিকে বেলা এগারটায় মির্জাপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কমিটির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন, মির্জাপুর সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যাপক শক্তিপদ ঘোষ, বাবু উত্তম কুমার সেন লালু, শিল্পী নন্দ দুলাল গোষ্মামী, সচিব বাবু সরঞ্জন শেঠ তাপস, সদস্য সচিব সুশিল সরকার ও বিকাশ গোষ্মামী প্রমুখ।