বাংলা নিউজ
Monday, March 17, 2025
Home Blog Page 71

টাঙ্গাইলে জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোয়ন পেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফারুক

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোয়ন পেলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা ফজলুর রহমান খান ফারুক। আজ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মনোয়ন বোর্ড প্রবীন এই আওয়ামীলীগ নেতাকে নৌকার মাঝি হিসেবে টাঙ্গাইলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোয়ন দিয়েছেন বলে তার পুত্র খান আহমেদ শুভ এমপি নিশ্চিত করেছেন। মির্জাপুরের কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা ফজলুর রহমান খান ফারুক টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার মাঝি হিসেবে পুনরায় মনোয়ন পাওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি, মির্জাপুর প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক সংস্থা, ব্যবসায়ী সংগঠন, শিক্ষক সংগঠনসহ সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা ফজলুর রহমান খান ফারুক বর্তমান জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, একুশে পদকপ্রাপ্ত, সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি। তার পুত্র খান আহমেদ শুভ টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য, টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাট্রিজের সভাপতি ও এফবিসিসিআইসির পরিচালক।
জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা ফজলুর রহমান খান ফারুকের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার কহেলা গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। একাধারে তিনি কবি, সাহিত্যিক, গল্পকার, সমাজ সেবক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ নানা গুনে গুনান্মিত। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পরেন। ৫২ ভাষা আন্দোলন, ৫৪ যুক্তফ্রন্ট, ৬৯ এর গণঅভ্যুথান, ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি টাঙ্গাইলের আওয়ামীলীগকে অত্যান্ত সু-সংগঠিত করে রাখেন। তিনি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে অত্যান্ত দক্ষ ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন একুশে পদক। আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন। চেয়ারম্যান পদে বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদ ও টাঙ্গাইলের অভিভাবক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক নৌকার টিকেট পাওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হতে পারেন বলে একাধিক সুত্র জানেিয়ছেন।

মির্জাপুরে দুর্গা পূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলাসহ প্রস্তুতিমুলক সভা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আসন্ন শারদিয়া দুর্গা পূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলাসহ প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) মির্জাপুর থানা পুলিশের উদ্যোগে মির্জাপুর থানা অডিটোরিয়ামে সকাল সারে দশটায় এ প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মির্জাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মির্জাপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক, সদস্য সচিব বিপ্লব কুমার সহা, সদস্য বাবু পিষুষ কান্তি সাহা নন্দ, বাবু স্বপন মন্ডল, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্ট্রান ঐক্য পরিষদ মির্জাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক নিরজ্ঞন পাল, সাধারন সম্পাদক উত্তম কুমার সাহা ও মির্জাপুর থানার সেকেন্ড অফিসার মো. মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
মির্জাপুরে দুর্গা পূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলাসহ প্রস্তুতিমুলক সভা
মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আসন্ন শারদিয়া দুর্গা পূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলাসহ প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) মির্জাপুর থানা পুলিশের উদ্যোগে মির্জাপুর থানা অডিটোরিয়ামে সকাল সারে দশটায় এ প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মির্জাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মির্জাপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক, সদস্য সচিব বিপ্লব কুমার সহা, সদস্য বাবু পিষুষ কান্তি সাহা নন্দ, বাবু স্বপন মন্ডল, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্ট্রান ঐক্য পরিষদ মির্জাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক নিরজ্ঞন পাল, সাধারন সম্পাদক উত্তম কুমার সাহা ও মির্জাপুর থানার সেকেন্ড অফিসার মো. মোশারফ হোসেন প্রমুখ।

প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরেছেন মির্জাপুরের এমপি খান আহমেদ শুভ

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরেছেন ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, এফবিসিআিইয়ের পরিচালক, টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাট্রিজের সভাপতি ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য খানর আহমেদ শুভ এমপি। গতকাল বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরনের পর মির্জাপুরবাসির পক্ষ থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা খান আহমেদ শুভ এমপি ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। আজ শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) তিনি মির্জাপুরে আসলে মির্জাপুরবাসির পক্ষ থেকেও তার ব্যক্তিগত একান্ত সহকারী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মীর আসিফ অনিকসহ নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
আজ শুক্রবার মীর আসিফ অনিক জানান, ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রনে গত ৫ সেপ্টেম্বর মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের উচ্চপদস্থ্য কর্মকর্তা, মন্ত্রী, সচিবসহ কয়েকজন সংসদ সদস্য ভারতে সফরে যান। দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিআইসিসির পরিচালক হিসেবে এবং তরুন এমপি হিসেবে প্রধান মন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে যাওয়ার অনুমতি পান ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, এফবিসিআিইয়ের পরিচালক, টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাট্রিজের সভাপতি ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য খানর আহমেদ শুভ এমপি। প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি, রাজস্থান হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ মইনুদ্দিন চিশতি (রা.) আজমীর শরিফ আরও কয়েকটি গুরুত্বপুর্ন স্থান পরিদর্শনসহ ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।

মির্জাপুরে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর অবৈধ চুল্লি ধ্বংস,একজনকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সরকারী বনাঞ্চলের আশপাশে শতাধিক অবৈধ কয়লার চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর মহোৎসব চলছে। কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর ফলে একদিকে যেমন বনাঞ্চল ধ্বংস করে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে, তেমনি কয়লার চুল্লিতে কাঠ পোড়ানোর ফলে বিষাক্ত কাল ধোয়ায় এলাকার পুরিবেশ মারাত্বক হুমকির মুখে পরেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোপন সংবাদ পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া তেলিনা জলকুটির ও বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ কাঠ পুড়িয়ে কয়লার চুল্লি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় অসাধু চক্রের সদস্য হাবিবুর রহমান (৪৫) নামে একজনকে আটক করে বিশ হাজার টাকা জরিমনা করা হয়েছে। অভিযানের খবর পেয়ে অনেকেই পালিয়ে যায় বলে ভুমি অফিসের কর্মচারীগন আজ শুক্রবার জানিয়েছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. আমিনুর ্টসিলাম বুলবুল এবং, গোপন সংবাদ পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার আজগানা ইউনিয়নের কুুড়িপাড়া জলকুটির ও তেলিনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০-১২ টি অবৈধ কাঠ পুড়িয়ে কয়লার চুল্লি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় হাবিবুর রহমানকে আটক করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বনবিভাগ সুত্র জানায়, মির্জাপুর উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার ৮০০শ হেক্টর সরকারী বন ভুমি রয়েছে। বিশাল এই বন ভুমিতে গজারি, গর্জন, সেগুন, আকাশমনি, পিকরাশিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মুল্যবান গাছ রয়েছে। এছাড়া সমাজিক বনায়ন কর্মসুচীর আওতায় বনাঞ্চল ও এর আশাপাশে প্রচুর বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে।
আজগানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদের সিকদার ও ভুক্তভোগি একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, সরকারী বিধান মতে বনাঞ্চলের আশপাশের ১০ কি. মি. এর মধ্যে ইটভাটা, করাত কল এবং কয়লা তৈরীর চুল্লি স্থাপন নিষিদ্ধ ও দন্ডনীয় অপরাধ। স্থানীয় রাজনৈতিক দলের কিছু নেতাকর্মীর সঙ্গে সিন্ডিকেট করেই চলছে এ ব্যবসা। চক্রটি দীর্ঘ দিন ধরে মির্জাপুর উপজেলার গায়রাবেতিল, নয়াপাড়া, পেকুয়া, মুচিরচালা, বাঁশতৈল, বংশীনগর, বালিয়াজান, আজগানা, কুড়িপাড়া, পাথরঘাটা, তরফপুর, খুইদারচালা, ঘাগড়াই কুড়াতলী ও খাটিয়ারহাটসহ বিভিন্ন এলাকার বনের আশপাশে অবৈধ ভাবে কয়লার চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরী করে আসছে। শতাধিক কয়লার চুল্লিতে প্রতি দিন ৫-৬ টন কয়লা তৈরী হচ্ছে। কাঠ পুড়িয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চোরাকারবারিরা। কয়লার তৈরীর ফরে বিষাক্ত কাল ধোয়ায় ঐ সব এলাকায় বসবাস করা হুমকির মুখে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে বনজ সম্পদ ধ্বংস ও পরিবেশ বিপর্যয় নেমে এসেছে এবং আশপাশের গ্রামের গাছপালা ও ফসলি জমি নষ্ট হয়ে লোকজনের মধ্যে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পরেছে।
এ ব্যাপারে বন বিভাগ মির্জাপুর রেঞ্জ অফিসের রেঞ্জ অফিসার মো. আশরাফুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন সংরক্ষক এবং সহকারী বন রক্ষক মহোদয়ের নির্দেশনায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় গায়রাবেতিল, নয়াপাড়া, বাঁশতৈল, বংশীনগর, আজগানা, কুড়িপাড়া, পাথরঘাটা, তরফপুর ও খাটিয়ারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় ইতিপুর্বে অভিযান চালিয়ে অবৈধ কয়লার চুল্লি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আজগানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছেন। বন রক্ষার জন্য তাদের এ অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বনাঞ্চলের ভিতরে ও আশপাশে অবৈধ ভাবে কয়লার চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর সুযোগ নেই। যখনই খবর পাওয়া যাচ্ছে মোবাইল টিমের মাধ্যমে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় কয়লা তৈরীর অবৈধ চুল্লি গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান।

মির্জাপুরে বয়লার খামারে তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল ও মুরগী চুরি, বিপাকে খামারী

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
বয়লার খামারে রাধের আধাঁরে তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল ও মুরগী চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধারদেনা করে খামার করে পর পর দুই বার চুরি হওয়ায় চরম বিপাকে পরেছেন দরিদ্র খামারী সজীব রায় (৪৩)। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বাগজান গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে সজীব রায় বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সজীব রায় জানান, বাগজান গ্রামে গত দুই বছর ধরে বয়লার খামার নামে একটি মুরগীর খামার দিয়ে তিনি মুরগীর ব্যবসা করে আসছেন। গত ১৮ আগস্ট রাতে তার খামারের কর্মচারী রুবেল মিয়া খামারে ঘুমিয়ে পরেন। চুরের দল খামারে বাহিরের দরজা তালা দিয়ে কর্মচারী রুবেলকে আটকিয়ে রেখে খামারের দুইটি পানি তোলার পাম্প (মটর), নগদ টাকা ও ২৩০ টি মুরগী চুরি করে নিয়ে যায়। একই ভাবে দ্বিতীয় দফায় গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ঐ খামারে একই কায়দায় চুরি হয়। ১৫ দিনের ব্যবধানে দুই বার চুরি হওয়ায় খামারে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সজীব রায় জানান।
এ ব্যাপারে সজীব রায় বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি লিখিত দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার জানিয়েছেন।

মির্জাপুরে শিল্পপার্ক স্থাপনে সরকারী খাস জমি উদ্ধারে বিশেষ উচ্ছেদ অভিযান

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোড়াই শিল্পাঞ্চলে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) শিল্প মন্ত্রনালয়ের অধিনে শিল্পপার্ক স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহনে ৩৩ ভূমিহীন পরিবারকে আজ বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) উচ্ছেদ করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি ও মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমানের দিক নির্দেশনায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান, মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং বিসিক শিল্পনগরী পার্ক স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন। ক্ষতিপুরন না পেয়ে উচ্ছেদ হওয়া কয়েক শতাধিক ভূমিহীন অসহায় পরিবার খোলা আকাশের নিচে জীবন যাপন করছেন বলে জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উচ্ছে অভিযানে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান বলেছেন, সরকারী খাস জমিতে তারা দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ ভাবে বসবাস করে আসছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করার পরও তারা খাস জমি থেকে সরে যাননি। সরকারী নির্দেশনায় তাদের উচ্ছে করা হলেও ৩৩ পরিবারকে বসবাসের জন্য বিনামুলে জমি ও ঘর বরাদ্ধ দেওয়া হবে এবং তাদের বিষয়ে ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার গোড়াই মমিননগর এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারগুলোর মধ্যে সাত্তার, তাহের মিয়া, জিয়ারুল, হাসেম, আরিফা বেগম, আছমা বেগম, হাসিনা বেগম, মালেক ও আলহাজ¦ মিয়াসহ অসহায় ৩৩ পরিবার জানান, মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলের মমিননগর মৌজায় ৩০৯ নং ক্ষতিয়ানের সাবেক দাগ নং ৩০৪৫ এবং বর্তমান দাগ নং ২৩৭২ এ জমি ক্রয় করে যুগ যুগ ধরে তারা বসবাস করে আসছেন। যারা বসবাস করছেন তারা সবাই অতি দরিদ্র, দিনমজুর ও অনেকেই ভিক্ষাবৃতি করে জীবন নির্বাহ করে আসছে। তাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে বলে দাবী করেন। আমাদের এই ভিটেমাটি টুকুই শেষ সম্বল। তারা অভিযোগ করেন আমাদের কোন ক্ষতিপুরন ও পুর্নবাসনের ব্যবস্থা না করেই ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিমের সহায়তায় ভোল্ডডোজার নিয়ে বাড়িঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় গিয়ে দাড়াবো তার কোন ঠিকানা নেই। পরিবার পরিজন নিয়ে মাথা গোজার ঠাই পাওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রনালয় ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট মানবিক সহায়তা চাই।
এদিকে টাঙ্গাইল জেরা প্রশসকের কার্যালয় এবং উপজেলা ভূমি অফিস জানায়, এলাকার বেকারদের জন্য অধিক কর্মসংস্থানের লক্ষে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলের মমিননগর মৌজায় ৪৯ দশমিক ৩৫ একর জমির উপর বিসিক শিল্প পার্ক (শিল্প নগরী) স্থাপনের জন্য ২০১৬ সালে জমি অধিগ্রহন শুরু করে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়। ইতিমধ্যে জমি অধিগ্রহন, ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবার এবং বেশ কিছু জমির মালিকদের ক্ষতিপুরন দেওয়া শুরু হয়েছে। যারা ক্ষতিপুরন দাবী করছে এই জমি সরকারী খাস খতিয়ানভুক্ত। তারা বেআইনী ভাবে যুগযুগ ধরে সরকারী খাস জমিতে বসবাস করে আসছিল। বারবার নোটিশ দেওয়ার পরও তারা জমি ছাড়তে রাজি হয়নি। নিরুপায় হয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান করা হলেও ঐ ৩৩ পরিবারকে পুর্নবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারা বিনামুল্যে জমিসহ ঘর পাবেন। এ বিষয়ে সকল প্রস্তিুতি নেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উচ্ছেদ অভিয়ান পরিচালনার প্রধান সমন্ময়ক ও টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় বিসিক শিল্পনগরীর (শিল্পপার্ক স্থাপনের জন্য) স্থানে যারা সরকারী খাস জমিতে অবৈধ ভাবে বসবাস করেছিলেন সেই সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার হয়েছে। কারও প্রতি কোন অন্যায় করা হয়নি। সরকারী নিয়ম মেনেই উচ্ছেদ পরিচালনা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিসিক শিল্পনগরী স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রল্পের আওতায় বিসিক শিল্পপার্ক স্থাপনের কাজ দ্রুত নির্মানের জন্য অবৈধ ভাবে বসবাস কারীদের জেলা প্রশসক মহোদয়ের সহযোগিতায় উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখানে শিল্পপার্ক স্থাপন হলে পুরো এলাকায় নতুন দিগন্তের সুচনা হবে। যাদের উচ্ছদ করা হয়েছে তাদরে পুর্নবাসন করা হবে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেরা নির্বাহী অীফসার মো. হাফিজুর রহমান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় গোড়াই শিল্পাঞ্চলের মমিননগর এলাকায় বিসিক শিল্পপার্ক নির্মান হচ্ছে। ২০১৬ সাল থেকে ঐ এলাকায় জমি অধিগ্রহনসহ মাটি ভরাটের কাজ চলছে। এটির নির্মান কাজ শেষ হলে এলাকায় নতুন দিগন্তের সুচনা হবে। যাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে তারা ক্ষতিপুরন পাচ্ছেন। যারা ক্ষতিপুরন পাচ্ছেন না তাদের জমির বৈধ কাগজপত্র নেই। যেহেতু পরিবারগুলো দরিদ্র তাদের উচ্ছদ করা হলেও জেলা এবং উপজেলা প্রশাসন দেওহাটা এলাকায় তাদের অর্থ, জমি ও ঘরসহ পুর্নবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মির্জাপুরে লতিফপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিশাল কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

মীর আনোয়ার হোসেন
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে লতিফপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের এক বিশাল কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঁনপুর বাজার সংলগ্ন এ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মী সভায় লতিফপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগেী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। লতিফপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ সিকদারের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় কর্মী সভায় বক্তব্য রাখেন, মির্জাপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মো. আমিনুর রহমান আকন্দ, মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপির একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিক, লতিফপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক সেলিম মিয়া, লতিফপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ফয়সালসহ আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কর্মী সভায় বক্তাগন বলেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার জনবান্ধব সরকার। সরকার দেশ ও জাতির উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে একটি গোষ্টি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শিতা ও সুষ্ঠু চিন্তা ধারায় যোগাযোগ, শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসা, বিদ্যুৎসহ প্রতিটি সেক্টরে দেশ আজ অনেক এগিয়েছে। বিশে^র দরবারে মাথা উচু করে দাড়িয়েছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যহৃত রাখতে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে আবার বিজয়ী করতে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অনুরোধ জানান।

মির্জাপুরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মেয়েদের ফুটবলে দেওহাটা ও হ্যান্ডবলে পাইলট বালিকা বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গ্রীষ্মকালিন আন্তমাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ফুটবলে দেওহাটা আলহাজ¦ জোনাব আলী উচ্চ বিদ্যালয় (৩-২) গোলে ভারতেশ^রী হোমসকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অপর দিকে হ্যান্ডবলে মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (৮-০) গোলে দেওহাটা আলহাজ¦ জোনাব আলী উচ্চ বিদ্যালয়কে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আজ বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলা সদরের মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে উৎসব মুখর পরিবেশে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরন করা হবে বলে আয়োজক কমিটি জানিয়েছেন। এ সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হায়দার, একাডেমিক সুপার ভাইজার প্রবীল কুমার চৌধূরী, অফিস সহকারী মো. খলিলুর রহমান, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনির, মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান উদ্দিন মিয়া, ম্যানেজিং কমিটির কো-অপট সদস্য মো. হযরত আলী মিঞা, সদস্য মাখন, দেওহাটা আলহাজ¦ জোনাব আলী উচ্চ বিদ্যালয়কে প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম প্রমুখ।

মির্জাপুরে রাতের আধাঁরে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জমি দখলের অভিযোগ, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি

বিশেষ প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল তেলিপাড়া গ্রামে রাতের আধাঁরে আবজাল হোসেন নামে এক নিরীহ পরিবারের জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। আজগানা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের সিকদার, তার বড় ভাই আব্দুল লতিফ সিকদার ও ভাতিজা আতিকুর সিকদারের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের ভাড়াটে লোকজন রাতারাতি জমি দখলে নামেন বলে ভুক্তভোগি পরিবার অভিযোগ করেন। তাদের ভয়ে নিরীহ আবজালের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন। চেয়ারম্যান আব্দুল কাদরে সিকদার ও তার লোকজন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আবজাল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযৈাগ করেছেনে।
এদিকে ন্যায় বিচার চেয়ে অসহায় ঐ পরিবার টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবুল হাসেমের আদালতে আবেদন করলে বিচারক জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি (নিষেধাজ্ঞা) করে মির্জাপুর থানা পুলিশ এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গতকাল সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) নির্দেশ প্রদান করেছেন। মির্জাপুর উপজেলার ১৩ নং বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল গ্রামের তেলিপাড়া মৌজায় জমি দখলের এ ঘটনা ঘটেছে।
আজ মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগি আবজাল হোসেন অভিযোগ করেন, তার পিতা মৃত মনির উদ্দিন ও দুই বোন হনুফা, কদভানু এবং ভগ্নিপতি ২০০৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর ১২৯১ নং দলিলের মাধ্যমে তেলিপাড়া মৌজায় ২২৯ দাগের ৫২ খতিয়ানের ২২ শতাংশ জমি লিখে দেন। জমির সমস্ত কাগজপত্র তার নামে রয়েছে। এই জমি তিনি ভোগ দখল করে আসছেন।
এদিকে ২০১৯ সালে প্রতারনার মাধ্যমে আজগানা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বেলতৈল গ্রামের মৃত মজিবর সিকদারের ছেলে আব্দুল কাদের সিকদার, তার বড় ভাই আব্দুল লতিফ সিকদার ও ভাতিজা আতিকুর সিকদার তার বোন কদভানু ও হনুফার নিকট থেকে ২২ শতাংশ জমি লিখে নেন বলে দাবী করে আসছেন। গত ৩/৪ দিন পুর্বে তাদের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন ভাড়াটে লোকজন রাতের আধাঁরে জমি জবর দখলের চেষ্টা চালায়। বাঁধা দিলে গেলে তাদের প্রাণ নামের হুমসকি দেয়। এ ব্যাপারে গত রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) স্বারক নং ১৭৫৮(২) এবং পিটিশন নং-৮৬২/২০২২ আব্দুল কাদের সিকদার, লতিফ সিকদার, আতিকুর সিকদার, শাজাহান, সোহেল ও আলকাছসহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে আসামী করে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবুল হাসেমের নিকট ন্যায় বিচার চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনর পর বিচারক উক্ত জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন। বিচারক নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকেই চেয়ারম্যান ও তার লোকজন নানা ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের সিকদার, তার ভাই আব্দুল লতিফ সিকদার এবং ভাতিজা আতিকুর রহমান বিভিন্ন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই তেলিপাড়া মৌজায় ২২৯ খতিয়ানের ৫২ দাগের ২২ শতাংশ জমি তারা মনির উদ্দিনের দুই কন্যা কদভানু এবং হনুফার নিকট থেকে দলিল মুলে ক্রয় করে দখল বুঝে নিয়ে মাটি ভরাট করেছেন। বর্তমানের হাল সনের খাজনা খারিজও রয়েছে। হিসাব নং-৪৮০, নামজারি নং-২৩৫৪, খতিয়ান নং-৪৯৭ (২০১৯-২০২০)। রাতের আধাঁরে কারও কোন জমি দখল করা হয়নি। আবজাল হোসেন মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে লোকজনকে বিভ্যান্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার এসআই মো. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, আবজাল হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া তিনি ন্যায় বিচার চেয়ে টাঙ্গাইলের আমলী আদালতে আবেদন করলে বিচারক ঐ জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি (নিষেধাজ্ঞা) করেছেন।

মির্জাপুরে মাদ্রাসা ছাত্র সিফাত হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল মানব বন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশ

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সপ্তম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্র সিফাত হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। আজ সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঘাতকদের হাতে নিহত সিফাতের পরিবার, এলাকাবাসি ও সহপাঠীরা কর্মসুচীর আয়োজন করে। সকাল দশটার দিকে হাতে হাতে বিভিন্ন প্লাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে সহ¯্রাধিক নারী পুরুষ ও শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলটি সিফাতের নিজ গ্রাম গোড়াইল থেকে বের হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও মির্জাপুর শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিন শেষে কলেজ রোডে প্রেস ক্লাবের সামনে ঘন্টা ব্যাপি মানব বন্ধন কর্মসুচী পালন করে। মানব বন্ধন শেষে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবী জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, সিফাতের বাবা মো. শহিদুর রহমান, মির্জাপুর পৌরসভার তিন নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আলী আজম সিদ্দিকী, সাবেক ভিপি ও উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সাইদ মিয়া এবং মো. জাহাঙ্গীর আলম মৃধা প্রমুখ।
উল্লেখ যে, সিফাতের পিতার নাম মো. শহিদুর রহমান। গ্রামের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামে। সিফাত মির্জাপুর উপজেলা সদরের আফাজ উদ্দিন দারুল উফুম সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। গত সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে ফুসকা খাওয়ার জন্য সিফাত মির্জাপুর বাইপাস রেল স্টেশনে আসে। এখান থেকে দুবৃত্তরা সিফাতকে ধরে নিয়ে পাশবিক নির্যাতনের পর নির্মম ভাবে হত্যা করে লাশ মির্জাপুর রেল লাইনের পাশে ক্ষেতে ফেলে রাখে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ঐ দিন রাতেই পুলিশ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় সিফাতের লাশ উদ্ধার করে। র‌্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্দেহ ভাজন দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আবু সাইদ বলেন, মাদ্রাসা ছাত্র সিফাত হত্যার মামলার গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এ পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে নজরদারীতে রাখা হয়েছে। যে কোন সময় তারা গ্রেফতার হতে পারে।